বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
হ্যালো স্টিম প্রিয় বন্ধুরা! আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভালো আছি সুস্থ আছি। শুরু করছি আমার আজকে সারাদিনের কার্যক্রম।
প্রতিদিনের ন্যায় আজকেও সকাল সকাল উঠার চেষ্টা করেছি, তবে আজকে উঠতে উঠতে ১৫ মিনিট দেরি হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ ঘুম থেকে উঠে দেখি ছয়টা বাজে নামাজের খুবই কম সময় বাকি আছে। তাই খুব তাড়াতাড়ি অজু করে ফজরের সালাত আদায় করে নিলাম, ফজরের সালাত আদায় করে যখন সূর্য উদিত হওয়ার ফটোগ্রাফি উঠানোর জন্য বাড়ির সামনে যাই, তখন দেখলাম আকাশের অবস্থা খুব বেশি ভালো নয়। তাই সূর্য উঠতে অনেক দেরি হয়েছে। এরপরেও সূর্য উদিত হওয়ার একটি ফটো উঠাতে সক্ষম হয়েছি।
আজকে সকাল থেকেই আমাদের কাজ করতে হয়েছে, তাই দিন খারাপ হওয়ার কারণে টেনশন এর মধ্যে ছিলাম, কারণ ৫০ শতক জমিনের ধান কেটেছে। যদি আবহাওয়া খারাপ হয় তাহলে কিভাবে ধানগুলো ঘরে ওঠাবো! আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে দিন একটু খারাপ হলেও বৃষ্টি হয়নি। সেই সকাল থেকেই আমাদের ধানের কাজ শুরু হল।
সকালে আমরা হালকা নাস্তা করে কাজের জন্য চলে গেলাম, আমার বাবা ধান মাড়াই করার মেশিন বাড়ি থেকে ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে গেল। কিন্তু আমার বাবা মেশিন স্টার্ট করতে পারে না, তাই আমি নিজেই স্টার্ট করে দিলাম।
ধান মাড়াই করার মেশিনটি আমরা কিনেছি, প্রায়ই ৩২ হাজার টাকা খরচ করে। এখন আলহামদুলিল্লাহ চালান উঠেছে এবং অনেক লাভও হয়েছে। আজকে আমাদের ধান মাড়াই করার জন্য দুইজন ছিল আমার বাবা এবং আরেকজন সম্পর্কে আমার চাচা হয়, ওনাকে আজকে দিনমুজুর হিসেবে নিয়েছেন।
আমার বাবা এবং ওই কাকা দুজনে ধান মাড়ানো শুরু করল, আমি নিজেও ধানের আঁটি মেশিনে ধরতে পারি, কিন্তু এর আগে আমি ধানের আঁটি মেশিনে ধরতে গিয়ে হঠাৎ একটি দুর্ঘটনা ঘটে এবং অল্পের জন্য আমি বেঁচে যাই। তাই সেই দিন থেকে আমাকে দিয়ে আর ধান মাড়াই করার জন্য দেয় না। আমি করতে চাইলোও বাবা আমাকে নিষেধ করে।
এজন্য আমাকে বলল তুমি শুধু ধানের আঁটিগুলো এক জায়গায় জমা করে দাও। তাই আমি এবং আমার চাচাতো ভাই দুইজন শুধু ধানের আঁটিগুলো জমা করে দিলাম। দুপুরের মধ্যে তিন ক্ষেত শেষ হয়ে গেল, আর বাকি ছিল শুধুমাত্র একটি ক্ষেত। দুপুরে সবাই খাওয়া দাওয়া করে আবার কাজের জন্য চলে আসলো। আমিও দুপুরে খাবার খেয়ে নামাজ পড়ে কাজের জন্য চলে গেলাম।
আসরের নামাজ পর্যন্ত কাজ করে বাসায় চলে আসলাম। আসরের নামাজ বাসায় আদায় করে আবার কাজের জন্য চলে গেলাম, তখন সব ধান মাড়াই করা শেষ হলো। এবং সমস্ত ধান বাড়িতে নিয়ে আসা হলো।
এরপরে মাগরিবের আজান হলো আমি বাসায় চলে আসলাম, মাগরিবের নামাজ বাসায় আদায় করে মসজিদের দিকে চলে গেলাম। মসজিদের মাঠে কিছু সময় বসে কমিউনিটিতে ঢুকে কয়েকটি পোস্ট পড়ে সেই অনুযায়ী কমেন্ট করলাম।
হালকা হালকা শীত লাগছিল, তাই ভাবছিলাম একটা কফি খেয়ে আসি। তাই কফি খাওয়ার জন্য চা স্টলে চলে গেলাম, এবং একটি কফি বানাতে বললাম, সুন্দর করে আমাকে একটি কফি বানিয়ে দেওয়া হল। শীতের বিকালে কফিটা খেয়ে শরীরটা অনেক গরম হয়ে গেল, তখন এশার নামাজ আদায় করে বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে রাত্রে খাবার খেয়ে আবার কমিউনিটির কাজের জন্য বসে গেলাম।
এই ছিল আমার আজকে সারাদিনের কার্যক্রম। তো বন্ধুরা কেমন লেগেছে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন, সকলেই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।|
Device | Name |
---|---|
Android | Samsung A12 |
Camera | 48MP 5MP 2MP 2MP |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @abdulmomin |
10% for beneficiary in community @meraindia account