🌺আসসালামুয়ালাইকুম🌺

• একটা সুন্দর দিন
• ১১-অক্টোবর-২০২৩
• বুধবার

আশা করি আপনারা সকলের ভালো আছেন সুস্থ আছেন আর আপনাদের আজকের দিনটা অনেক ভালো কেটেছে।

আজ আমি সকাল ৭ টায় ঘুম থেকে উঠলাম, আমি আরো একটি নতুন ভোরের জন্য আল্লাহ সুবহানাতায়ালাকে ধন্যবাদ জানাই, ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ করতে করতে টিউবওয়েল ওপর যাই।

তারপর হাত মুখ ধুয়ে রুমে চলে আসি। ছাত্র ছাত্রীদের পড়াই এবং পড়ানো শেষ করে তাদের ছুটি দিই। ছাত্র ছাত্রীদের ছুটি দিয়ে যেই একটু মোবাইল টিপা শুরু করলাম তখনই মাছ বিক্রেতা মাছ বিক্রি করতে করতে আমাদের দিকে আসে। তখন আমি রুমের দরজা খুলে বলি কি মাছ গো?

মাছ বিক্রেতা ভাই বলে টাটকেনি মাছ ভাই। আমি বললাম কত করে কেজি সে বলে একশত ষাট টাকা কেজি। তারপর আমি মাছ বিক্রেতা ভাইকে বললাম আপনি এখানে একটু দাঁড়ান। আমি আমার মায়ের কাছে শুনে আসি মাছ নেবে কিনা। তারপর আমি মায়ের কাছে শুনি।

মা বলল যে, যদি মাছ ভালো হয় তাহলে এক কেজি কিনে নিয়ে আই। তারপর এসে দেখি মাছ দেখার জন্য আর নেওয়ার জন্য অনেক লোক সেখানে সমাগম হয়েছে। আমার আব্বা ও মাছ দেখার জন্য এসেছে। তারপর আমি এক কেজি মাছ কিনি। আর অন্যান্যরা কেউ এক পোয়া আবার কেউ হাফ কেজি মাছ নিল।

তারপর মাছ বিক্রেতা চলে গেল। আমাদের বাড়িটা নদীর পাশে হওয়া আমরা প্রতিনিয়ত নদীর মাছ খেতে পারি। আর মাছ এখানে প্রতিনিয়ত পাওয়া যায় বলে। মাছ বিক্রেতা অভাব নেই আমাদের এখানে। প্রতিদিন দুই তিন জন মাছ বিক্রির করার জন্য আমাদের দিকে আসে। তাই আমরা প্রতিনিয়ত নদীর মাছ খেতে পাই।

তো যাইহোক, তারপর আমি সকালে খাবার খাই। সকালকার খাবার খেয়ে রুমে এসে বিছানায় শুয়ে শুয়ে মোবাইল টিপতে থাকি। মোবাইল টিপতে টিপতে আমি মনে মনে ভাবলাম যে, আমার স্টিময়ের গোপনীয় নাম্বার গুলো আমার নোট বুকে লিখে রাখা দরকার। কারন আমার মোবাইলটা যখন তখন নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

আর আমার ফোনটার অবস্থা খুবই খারাপ। ফোনটার বয়স সাত বছর হয়ে গেছে। আগের মত এখন আর কাজ করে না। ফোনটা খুবই ধীরগতি হয়ে গেছে। তারপর আমি নোট বুকে স্টিমের গোপনীয় নাম্বার গুলো লিখা শুরু করলাম এবং কিছুক্ষণ লেখার পর লেখা পর শেষ হলো।

তার কিছুপর আমার পাশের বাড়ির ভাবী আমার কাছে আসলো। এসে বলে যে, দেখতো ভাই আমার ফোনে কি হয়েছে? তারপর আমি তার মোবাইলটা দেখি এবং সমস্যা ঠিক করে দিই। ওই ভাবী বলে তোর ভায়ের এই পেসক্রিপশনটা ছবি তুই পাঠিয়ে দে তুই আমার ফোনে নেট নাই। পরে আমি আমার ফোন দিয়ে পাঠিয়ে দিই।

তারপর ওই ভাবী বাড়ি চলে যায়। আমার ছোট ভাই আমার মেজ চাচার লাগানো চালতে গাছ থেকে দুইটা চালতে পাড়ে নিয়ে আসে। সেই চালতে আবার আমার বড় ভাবী মাখানো শুরু করল। প্রথমে ভাবী চালতে দুইটা ভালো করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিল। তারপর বটি দিয়ে সেগুলো ছোট ছোট পিস করে নিল।

ছোট ছোট পিস করে সেগুলো একটা ডিসের ভেতরে রেখে পানি দিয়ে আবার ভালো করে ধুয়ে নেই। তারপর শুকনো মরিচ এর গুঁড়া, সজের গুঁড়া ও লবণ দিয়ে ভালো মতন মাখিয়ে নিল। তারপর সবাই মিলে সেটা খাওয়া শুরু করল। খুবই সুস্বাদু হয়েছিল চালতেটা মাখানো।

তারপর আমি রুমে আসি এবং আমার বন্ধু আমাকে ফোন দেয় আর বলে যে, আমি তোকে সব তথ্য দিচ্ছে তুই আমার খাদ্য অধিদপ্তরের  চাকরির আবেদনটা করে দে। তারপর আমি ওর চাকরি আবেদনটা করে দিই। তারপর আমি গোসল করি এবং দুপুরে খাবার খেয়ে প্রাইভেট পড়তে যায়।

[মোবাইল থেকে স্ক্রিনশর্ট নেওয়া]

প্রাইভেট পড়ানো শেষ করে আমি মোড়ের ওপর বসে সবাই সাথে গল্প করতে থাকি এবং সন্ধ্যা পর বাড়ি আসি। বাড়ি এসে দেখি ছোট বোন মুড়ি খাচ্ছে। আমি সেখান থেকে দুই তিন মুঠো মুড়ি খেয়ে রুমে আসি। রুমে এসে সারাদিনের কার্যক্রম লেখা শুরু  করি।

কিছুক্ষণ লেখার পর আমার এলাকায় একছোট ভাই এসেছে আমার কাছে ওর রেজাল্ট দেখার জন্য। পরে আমি ওর রেজাল্টটা দিখি। ও এক বিষয়ে ফেল করেছে।

[মোবাইল থেকে স্ক্রিনশর্ট নেওয়া]

ফেল করার খবরটা শুনে ওর মন খারাপ হয়ে গেল। তারপর আমি ওকে শান্তনা দিই। তারপর ও বাড়ি চলে যায়। আমি আবার লেখা শুরু করি। এভাবে আমার আজকে দিনের কার্যক্রম শেষ হলো।

এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন চলে গেল। জানিনা আজকে আমি কোন ভালো কাজ করতে পেরেছে কিনা। তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। খুব সুন্দর ভাবেই আরো একটা দিন পার করতে পেরেছি তার জন্য।

সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আমি আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি। আর আমার লেখা আপনাদের সকলের কাছে কেমন লাগল সেটা বলবেন। আল্লাহ হাফেজ।