ঘড়ির কাটায় রাত এখন ১১ টা বেজে ৫ মিনিট।। কিছুক্ষণ পূর্বে আজকের টিউটোরিয়াল ক্লাস শেষ করে এখন পোস্ট লেখা শুরু করলাম।।
কিছুদিন যাবত শারীরিক এবং মানসিক দুই দিক দিয়েই ভিষণ অসুস্থতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আজকে তেমনই কিছু অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখতে বসেছি।।
আমাদের জীবনের সব থেকে বড় নিয়ামত হলো সুস্থতা,এটা অস্বীকার করার মতো কোনো উপায় নেই ।।আর আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে হলে আমাদের প্রয়োজন কিছু নিয়ম মেনে চলা।। কিন্তু আমাদের জীবনে এতটাই ব্যস্ততা যে নিজেদের সুস্থ রাখার জন্য প্রয়োজনীয় নিয়ম গুলো মেনে চলতে আমাদের খুবই অসুবিধা হয়ে যায়।আর দিনের পর দিন এই অনিয়মের মধ্যে দিয়ে চলতে চলতে একটা সময় এই অনিয়মের ফল স্বরূপ অসুস্থতায় ভুগতে হয়।
আমরা মায়েরা বা গৃহিণী যারা আছি,,একটা কাজ মনে হয় কম বেশি সকলেই করে থাকি তা হলো পরিবারের সকলের সকল প্রকার প্রয়োজন মিটিয়ে সময় পেলে নিজেকে একটু সময় দেই, আর নাহলে অনেক সময়,ভুলেই যেতে হয় যে আমার নিজেরও একটু সময় প্রয়োজন।।
কিন্তু এই কাজটা আমরা সব থেকে ভুল করে থাকি,,কারণ আমাদের পরিবারকে ভালো রাখতে হলে সর্ব প্রথমে নিজেকে ভালো রাখা প্রয়োজন,, নিজেকে সুস্থ রাখা প্রয়োজন।আর তাহলেই আমরা আমাদের সন্তান ও পরিবারকে ভালো রাখার জন্য সময় দিতে পারবো।।তাই আমি মনে করি নিজেকে ভালো রাখার দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে।কারণ মাঝে মাঝে নিজের ভালোর জন্য একটু স্বার্থপর হইতে হয়।আর তা না হলে সবার কাছেই অনেকটা মূল্যহীন হতে হয়।
আমি বেশ কয়েক মাস ধরেই অসুস্থতা কে সঙ্গী করে নিয়ে দিন পার করছি,, কিন্তু এর মাঝে এক বারের জন্য ও ডাক্তার দেখানোর সময় হয়ে উঠে নি,, কিন্তু পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে ঠিকই ডাক্তার দেখাতে নিয়ে ছুটেছি।নিজেকে নিজেই অবহেলা করতে করতে এমন একটা পরিস্থিতি গিয়ে পৌছিয়েছি যে, অসুস্থতাকে আমি নিজেই নিজের শরীরে বাসা বাধতে স্থান করে দিয়েছি।।
গতদিন যখন ক্লিনিকে স্যালাইন দিতে গিয়ে নিজের পাশে কাউকে পেলাম না থাকার জন্য ,শুধু মাত্র কয়েক জন পরিচিত নার্স ছাড়া তখন সত্যিই অনেকটা অসহায় লাগছিল।। আর তখন নিজের ভুল গুলো সব এক এক করে খুব ভালো করে বুঝতে পারছিলাম।। সেই সময় আমি কমিউনিটির এডমিন ম্যামের সাথে কথা বলছিলাম কারণ অসুস্থতার কারণে পোস্ট করা সম্ভব হচ্ছিল না আমার,,তখন ম্যাম একটি কথা বলেন যে, আমরা আমাদের প্রয়োজনে সব ক্ষেত্রেই টাকা খরচ করি,,কিন্তু নিজের শরীরে কোনো সমস্যা হলে ডাক্তার দেখানোর সময় আমাদের হয়ে উঠে না। ম্যাম কথাটা একদম শত ভাগ ঠিক বলেছিলেন।
সময় থাকতে আগে নিজেকে নিয়ে ভাবাটা প্রয়োজন, নিজেকে সময় দেওয়াটা প্রয়োজন,, কারণ আমাদের নিজেকে ভালো রাখার দায়িত্বটা আমাদের নিজেরই। কারণ সকলেই নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত, কেউ কখনোই সম্পূর্ণ ভাবে কাউকে ভালো রাখার দায়িত্বটা নিতে পারে না।