আমি সর্বপ্রথম অ্যাডমিন মহাশয়াকে ধন্যবাদ জানাই, এই কন্টেস্টর উপস্থাপনা করে আমাদের জীবনের স্মরণীয় দিনের ঘটনা প্রকাশ করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। আমি আমার কমিউনিটির তিন জন সদস্যকে @jakaria121, @yoyopk ও @sairazerin অনুরোধ করছি এই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করার জন্য।
1. Share one memorable day through a diary game |
---|
এক দুর্লভ দ্বিপ্রাহরিক নির্ভেজাল আড্ডা। প্রদীপ ঘোষ, হীরেন সিংহ রায়, নিরুপম ভাদুড়ী, বিদ্যুৎ কুমার গঙ্গোপাধ্যায়, সুস্মিত হালদার ও আরো অনেকে। আমরা সবাই নরেন্দ্রনাথ বিদ্যামন্দির এর প্রাক্তনী। প্রদীপদার হাজার গল্পে যেমন হলাম মাতোয়ারা, ১৯৬৫ র হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষায় পশ্চিমবঙ্গে প্রথম স্থানাধিকারী হীরেন দার আন্তরিকতাও ছিল অতুলনীয়। মনে থাকবে চিরদিন।
2. Mention the reason why that day is still memorable for you |
---|
আজ মনটা খুব ভারাক্রান্ত লাগছে , হাতটা অবশ হয়ে আসছে, চোয়াল শক্ত হয়ে গলা ভার হয়ে যাচ্ছে। চোখের কোনে জল নিয়ে লিখছি ঐ ছবির নিরুপম আর প্রদীপদা (নিরুপমের হাত ধরে আছেন) আমাদের ফাঁকি দিয়ে চলে গেছেন। আজ ওদের জাগায় পৃথিবীর কাউকে এনে, ঐ দিনের পুনরাবৃত্তি করা যাবে না।
আমাদের স্কুল
3. Share the day from morning to night while describing the reason |
---|
যদিও আমাদের প্রাক্তনীদের মিলন উৎসব প্রতিবছরই অনুষ্ঠিত হয় কিন্তু নানা করেন সবার একত্রিত হওয়া সম্ভব হয়না। অন্তত পক্ষে আমি যে দুবার উপস্থিত ছিলাম, এই দিনের অংশ গ্রহণ কারি সদস্যদের কাউকেই দেখতে পাইনি। এই দিনের আয়োজনটা হয়েছিল সম্পুর্ন হীরেনদার প্রচেষ্টা ও ইচ্ছায়। যেহেতু আড্ডার আয়োজন হয়েছিল ফ্লেটে তাই সদস্য সংখ্যা ছিল সীমিত।
হীরনদা, প্রদীপদা (Kazi Sabyasachi awarded by Government of West Bengal) ও প্রায় বাকি সবার সঙ্গে সেই দিন আমার প্রথম আলাপ হয়। হীরেনদা বিদেশে থাকেন। নিরুপম ছিল আমার আগের ব্যচের পাড়ার বন্ধু এবং হীরেনদার স্থানীয় ছায়াসঙ্গী ও এলামনাই এসোসিয়েশন কোষাধ্যক্ষ। আমার অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল হীরেনদার সঙ্গে একবার দেখা করার, আমাদের ছোটবেলায় হীরেনদা ছিল আদর্শ ভাবমূর্তি এবং অঞ্চলের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। আমাকে যখন নিরুপম জানাল হীরেনদার সঙ্গে একটা সারাদিন কাটানো জন্য আমি আমন্ত্রিত আমি উচ্ছ্বসিত হয়ে ঐদিন রাতে ঘুমাতে পারিনি। আস্তে আস্তে দিনটা এগিয়ে এল। আমার বাড়ির খুব কাছেই ছিল ফ্লেটটি, আমি তারাতাড়ি পৌঁছে গেলাম। প্রদীপদাকে দেখে প্রথমে মনে হয়েছিল উনি বিশিষ্ট অতিথি হয়ে এসেছেন। পরে প্রদীপদার মুখেই শুনলাম উনি আমাদের স্কুলের ১৯৫৮ সালের প্রথম দলের ছাত্র ছিলেন। আমি আগে জানতাম না। প্রদীপদা আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওনার সময়ের শিক্ষকদের সম্পর্কে নানা গল্প করলেন। নিরুপম আবার জোগাড় করে এনেছিল হীরেনদার ফার্স্ট হওয়ার খবরের সব সংবাদপত্র। সেগুলোর থেকে একটা প্রদীপদা বাচ্চাদের মত নেয়ার জন্য আবদার করছিল, মেয়েকে দেখাবার জন্য। হীরেনদা অবশ্যই ওর লেখা একটা বাংলা বই কুঁদুল প্রতিবেশী ও অন্যান্যরা সকলকে হস্তাক্ষর করে দিয়েছিলেন। Sundarban: পরিচারিকার কাজ ছেড়ে ফুটবল খেলছে মল্লিকা, সুজাতারা হীরেনদাকে নিয়ে আনন্দবাজার ওন লাইনে একটি প্রতিবেদন।
এর পর শুরু হলো একের পর এক প্রদীপদার কবিতা আবৃত্তি। এক সময় প্রদীপদা আর সুমিতের আবৃত্তি যুগলবন্দী মনে হচ্ছিল। জীবনে খুব কম মূহুর্তে এই রকম অনুভুতি হয়েছে। একজন পেশাদারি মানুষ যখন স্বমহিমায় উপস্থাপনা করেন তখন তা একটা আন্তরিকতার ও সাবলীলতার রূপ পায়।
আমাদের দুপুরে খুব রাজকীয় ভোজের ব্যবস্থা ছিল, নানা রকম আমিষ ও নিরামিষ পদ দিয়ে। প্রদীপদা অবশ্য ইনশুলিন নিয়ে সামান্য কিছু খেলেন। ওরা প্রদীপদাকে নিয়ে একাডেমী ওফ ফাইন আর্টসে চলে গেল মিলনদার আর্ট একজিবিশন দেখতে।
আমি বাড়ি ফিরে এলাম।
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।