ব্যস্ততার মাঝে আজকের সকাল
প্রতিদিনের তুলনায় আজ একটু খুব সকালে ঘুম থেকে উঠেছি, উঠে সৃষ্টিকর্তার নাম স্মরণ করে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। আমার সাথে সাথে মেয়ের ও ঘুম ভেঙেছে তাই ওকেও ফ্রেশ করে নিলাম, মেয়ে বই নিয়ে বসে পড়েছে একা একা পড়তে ছিল, আজ খুব তারা আছে কারণ, আজ আমার ফরম ফিলাপের ডেট তাই সকাল সকাল কলেজে যেতে হবে। তাই রান্নাঘরে গিয়ে প্রেসার কুকারে কিছু খুদে ভাত সাথে আলু ভর্তা দিয়ে রান্না করে নিলাম। অন্য পাশে খুদে ভাতের সাথে ডিম ভিজে নিলাম, এই যে চাল টা দেখতে পাচ্ছেন এটা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু ধানের চাল, এটা আমাদের জমিতে আমরা লাগিয়ে ছিলাম, ভাত টা খেতে মজা ভালো লাগে, আজকে প্রথম রান্না করা হয়েছে তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম, এভাবেই আজকের সকাল টা কেটেছে ।
আজ যে কারণে কলেজে গিয়ে ছিলাম
সকালের নাস্তা শেষ করে, রুমে এসে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিয়েছি, কারণ আমার কলেজে যেতে হবে তাই। বোরকা পরে হিজাব লাগিয়ে ব্যাগ টা ঘাড়ে নিতে, দেখেছি বান্ধবী চলে এসছে বাড়ি গেটের কাছে, এরপরে দুজনে মিলে বের হলাম, কিছুক্ষণ হাঁটতে দেখি গাড়ি আসছে তাই দুজনেই গাড়িতে উঠে পড়েছি এবং কলেজের সামনে এসে নেমেছি, প্রথমে কিছু বান্ধবীদের সাথে হাই, হ্যালো🖐️ করে নিলাম,,,,
তারপর, কলেজের অফিস রুমে চলে যাই, এবং সেখানে গিয়ে অনার্সে দ্বিতীয় বর্ষের ফরম ফিলাপ টা করে এসেছি। আমার এখানে প্রায় ৪,৯০০ টাকা লেগেছে, অন্যদের একটু কম লেগেছে আমার বেশি লাগার কারণ হচ্ছে, আমি সেমিনার ফ্রী টা দেই নি আগে এর জন্য। অফিস রুমের কাজ শেষ করে, ক্লাস রুমে চলে যাই, কিন্তুু আজ কোন ক্লাস হয়নি ফরম ফিলাপের জন্য,,,,
তাই আর দেরি না করে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা করি। গাড়িতে উঠে বসে আছি কিন্তুু সময় না হওয়ার কারণে গাড়ি চাষ ছিল না ।অন্য দিকে এই বাচ্চাটা আমার দিকে তাকিয়ে হাসতে ছিলো খুব ভালো লাগছিল দেখতে তাই আমি একটু ছবি তুলে নিলাম, কিছুক্ষণ পরে গাড়ি ছেড়ে দেয় আমিও বাসায় চলে আসি।
ব্যস্ততার মাঝে আজকের দুপুর
কলেজ থেকে আসতে প্রায় দুপুর বারো টা বেজে গেছে, অন্যদিকে আমার শ্বশুর তিন টা মুরগী নিয়ে আসছে, এটা দেখে আমার শাশুড়ি তো পুরাই মাথা গরম কারণ, এগুলোকে পরিষ্কার করে নিয়ে আসে নি এর জন্য, আরো দুপুর বেলা, আমাদের বাসায় মাঝে মধ্যে কাজ করে পাশের বাসার একটা খালাম্মা, আমি তাড়াতাড়ি তাকে গিয়ে ডেকে নিয়ে আসি, এবং তিনি এগুলো পরিষ্কার করে দিয়ে গিয়েছেন আমি অন্য দিকে মেয়েকে গোসল করিয়ে, আমি ও গোসল করে নিলাম, এর পরে সবাই মিলে দুপুরের খাবার খেলাম, আজকে দুপুরের খাবার ছিল আলু ভাজি, সাথে ছিল মুরগির গোশত ভুনা খাবার টা বেশ মজার ছিল, আমার শাশুড়ির হাতের রান্না সত্যি চমৎকার হয়। এরপরে কিছু সময় রেস্ট নিলাম, এবং এস্টিমেট কিছু বন্ধুদের পোস্টে কমেন্ট করলাম এবং কমেন্টের রিপ্লাই দিলাম, এই কাজটা করতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে।
আজকের বিকেল টা খুব পরিবারের সাথে খুব সুন্দর কেটেছে
দুপুর শেষে বিকালে মেয়ে ঘুম থেকে উঠেছে, এবং মনে হচ্ছিল মেয়েটার মন খারাপ হয় তো, তাই আমি ওর মন ভালো করে দেওয়ার জন্য ওর হাতে একটা চকলেট দিলাম পেয়ে তো খুব খুশি এবং আমার মেয়ে কখনো একা একটা জিনিস খায় না। সে টা যতই ছোট হোক না কেন, আমাকে ভেঙে একটু দিবেই এটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে,,,
এরপরে, বিকালের নাস্তার তৈরি করার জন্য রান্নাঘরে গিয়ে দেখি শাশুড়ি আম্মা সেমাই রান্না করেছে, সাথে কিছু ফল কেটে রেখেছে ।ভেবে ছিলাম আজকে নাস্তা টা আমি বানাবো কারণ সে দুপুরে অনেক কাজ করেছে, কিন্তুু আমি আসার আগেই সে চলে এসেছে তাই কিছু করার ছিল না আর ।এরপরে সবাই মিলে অনেক আনন্দের সাথে বিকালের নাস্তা করে নিলাম।
আমি আজকে সন্ধ্যা ও রাতে যা যা করেছি
সন্ধ্যার পরে মেয়ে কে পড়তে বসিয়েছি, সাথে আমিও কিছুক্ষণ বই পড়ে নিলাম। রাত নয় টা বাজে সবাই রাতের খাবার টা খেয়ে নিলাম, এরপরে আমি মেয়ে কে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছি, আমার শ্বশুর এবং শাশুড়ি দুজনে মিলে টিভিতে খবর দেখতে ছিলো, আমি অন্য দিকে ল্যাপটপ টা অন করে বসে পড়েছি, প্রথমে কিছু ভোট দিয়ে নিয়েছি, এরপরে এই পোস্ট টা রেডি করতে ছিলাম প্রায় শেষের দিকে, পোস্ট টা করা হলে ল্যাপটপ অফ করে, সৃষ্টিকর্তার নাম স্মরণ করে ঘুমিয়ে পড়বো।