বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা,
"শুভ বিকাল"
আমার সকল বন্ধুদেরকে জানাই সালাম ও শুভেচ্ছা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ সুবহানাতায়ালার অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি এবং সুস্থ আছি আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থাপনা করব স্বাস্থ্য বিষয়ক কিছু কথা আজকের আর্টিকেল এর মূল বিষয়বস্তু হলো ডিম কাঁচা খাওয়া ভালো না রান্না করে খাওয়া ভালো।
source |
---|
আজকের বিষয়টি কোনরকম হলেও আমাদের জানা খুবই প্রয়োজন যে ডিম কিভাবে খেলে ডিমের পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরের জন্য ভালো। আমি ছোটবেলা থেকেই জেনে আসছি যে ডিম কাঁচা খাওয়া খুবই উপকারী এবং এর ভিটামিন পরিপূর্ণ পাওয়া যায় এই বিষয়টি কি আসলেই সত্য তবে চলুন প্রথমে আমি ডিম কাঁচা খাওয়ার সম্পর্কে একটু আলোকপাত করি।
ডিম কাঁচা খাওয়া কি আমাদের শরীরের জন্য উপকার |
---|
বিজ্ঞান এখন উন্নতি হয়েছে তাই ল্যাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে প্রতিটা খাবার এখন অনুমোদন দেয়া হয়। আদিমকালের মানুষরা হয়তোবা সব জিনিস কাঁচা খেতো তবে তার অনেক বিষয় অবগত ছিল না কোন জিনিস কাঁচা খেলে সেই জিনিসের ব্যাকটেরিয়া আমাদের শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে তেমনি ভাবে ডিম কাঁচা খেলে ডিমের ভিতরে থাকা সালমোনেলা যা খাদ্যে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। সালমোনেলা ফুড পয়জনিং এর উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা এবং জ্বর ইত্যাদি।
source |
---|
আমরা এই বিষয়টি অনেকেই জানি যদিও কাঁচা ডিম থেকে কিছু পুষ্টি পাওয়া সম্ভব থাকে, তবে এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয়। সমীক্ষায় দেখা গেছে যে যারা কাঁচা ডিম খায় তাদের খাদ্য বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে কাঁচা ডিম খেলে সালমোনেলা ফুড পয়জনিং হওয়ার ঝুঁকি রান্না করা ডিম খাওয়ার ঝুঁকির চেয়ে বেশি। কারণ ডিমের সাদা অংশে ব্যাকটেরিয়া বেঁচে থাকে এতে করে পেটের বদহজম হয়ে থাকে অনেকের আবার কাঁচা ডিমের এই গন্ধে নিয়া মাত্রই বমি হয়ে যায়।
রান্না করা ডিমের পুষ্টি গুনাগুন,
আমরা অনেকেই জানি যে ডিম হল একটি জনপ্রিয় খাবার যা সারা বিশ্বের মানুষ উপভোগ করে অনেকেই মাছ-মাংস পছন্দ করেন না তবে তারা ডিম পছন্দ করে থাকেন। কিন্তু অনেক মানুষ বুঝতে পারে না যে ডিম একটি সত্যিকারের সুপারফুড, পুষ্টির সুবিধার একটি দীর্ঘ তালিকায় পরিপূর্ণ। এখন আমি বিশ্লেষণ করবো ডিমের ভিতরে থাকা পুষ্টি গুণাগুন সম্পর্কে।
source |
---|
১/ ডিম হল পুষ্টির একটি পাওয়ার হাউস, এতে এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, আমাদের প্রতিটি মানুষের প্রোটিনের চাহিদা মিটানোর জন্য প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়া খুবই জরুরী।
২/ একটি ডিমের ভিতরে পর্যাপ্ত পরিমাণ স্বাস্থ্যকর চর্বি, ভিটামিন এবং খনিজ যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই প্রয়োজন।
৩/ ডিমের ম্যাজিক পুষ্টি উপাদানগুলি আমাদের রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করতে, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে উন্নতি করে ছোট বাচ্চাদের ডিম খাওয়ালে তাদের মেধা শক্তি আরো প্রখর করে।
৪/ ডিমের পুষ্টি উপাদানগুলি আপনাকে স্বাস্থ্যকর ত্বক ও চুলকে উন্নীত করতে সাহায্য করবে তাই আমাদের উচিত খাওয়ার তালিকায় প্রতিদিন একটি করে ডিম রাখা।
source |
---|
তো বন্ধুরা আমার সামান্য জ্ঞান থেকে স্বাস্থ্য বিষয় কিছু টিপ আপনাদের কাছে শেয়ার করছি কেমন হয়েছে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন যদি আমার লেখা ভিতরে কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশাই করি আল্লাহ সবার মঙ্গল করুন।