Editing using [Canva apps] |
---|
সময় খুব দ্রুত চলে যায়। এই তো মনে হচ্ছে কয়েকদিন আগেই ২০২৩ সাল টা শুরু করলাম। কিন্তু দেখুন কি দ্রুত ১১ টি মাস বিদায় নিয়ে আজকে ডিসেম্বর মাস শুরু হয়ে গেলো। ডিসেম্বরের ১ তারিখ কিভাবে কাটালাম সেটাই আজকে সবার সাথে শেয়ার করছি।
বছরের শেষ মাসের প্রথম ভোরে ঘুম ভেংগে গেলো আজানের শব্দে। ফজরের নামাজ পড়ে আবার বিছানায় শুয়ে পড়লাম। কিছুক্ষন এপাশ ওপাশ করতে করতেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ঘুম থেকে ঊঠতে ঊঠতে সকাল হয়ে গেলো। চলে গেলাম আমার প্রিয় যায়গা বাগানে। গাছগুলোতে পানি স্প্রে করে দিলাম।
মেয়েকে সকালের মিস্টি রোদ খাওয়াতে হবে। তাই মেয়েকে নিয়ে চলে গেলাম ছাদে। ছাদে গিয়ে কবুতর দেখাতে দেখাতে তাকে সকালের খিচুড়ি খাওয়ানোর চেষ্টা করলাম আমরা দুজন।
মেয়েকে ছাদে নিয়ে ভাত খাওয়ানো ছাদে পালিত কবুতর |
---|
ছাদে গিয়ে পোষা বিরাল জিকোকে ডাকলাম। এটা আমাদের ৭ তলার হাফসাদের বিড়াল। বিড়ালটি আমাদের সবার সাথে পরিচিত। ডাকলেই কাছে চলে আসে।
বিড়াল ছানার নাম জিকো |
---|
ছাদ থেকে আরো বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। সকালের আকাশটা অনেক সুন্দর ছিল।
ছাদে ১ ঘন্টার উপর কাটিয়ে বাসায় চলে এলাম। এসে সকালের নাস্তা খিচুড়ি খেয়ে নিলাম।
দুপরে আমি বেটার হাফকে রান্নায় হেল্প করলাম। যেহেতু শুক্রবার তাই মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে যেতে হবে। আমি আর মেয়ে রেডি হয়ে চলে গেলাম নামাজ পড়তে।
শুক্রবারের জুমার নামাজ এর জন্যে আমরা রেডি |
---|
নামাজ শেষে বাসায় এসে হাসের মাংস ভূনা দিয়ে ভাত খেয়ে নিলাম। অসাধারণ ছিল এর স্বাদ। অবশ্যই এই মাংস রান্নার রেসিপি আরেকদিন শেয়ার করবো।
হাসের মাংস ভূনা |
---|
খাওয়া শেষে কিছুক্ষণ টিভিতে বাংলাদেশের খেলা দেখে একটু ঘুমিয়ে নিলাম।
ঘুম থেকে ঊঠে আসরের নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ে বেলকনিতে গিয়ে মেয়ে আর আমি কিছুক্ষণ দোলনায় দোল খেলাম।
এদিকে বিকেলের সূর্য মামার ডুবোডুবো ভাব। একটু পড়েই সিন্ধ্যা নামবে।
বেলকনিতে মেয়ের দোল খাওয়া সূর্যাস্থের আগে আগে |
---|
মাগরিবের আযান দিলে নামাজ পড়ে বিকেলের নাস্তা খেয়ে নিলাম। আজকে বাসাতেই মোগলাই বানিয়েছিলাম। যেটা খেতে দোকানের থেকে কোন অংশে কম মজার হয় নি।
নাস্তা করে সামনের পরীক্ষার জন্যে একটু বই নিয়ে বসেছিলাম। পড়া লেখা এখন আর আগের মতোন ভালো লাগে না। এই মাসের ১০ তারিখে আমার এক্সাম অথচো পড়ার নাম নেই।
একটু পরেই কলিংবেলের শব্দ,দরজা খুলে দেখলাম পাশের প্রতিবেশী আমার মেয়ের জন্যে এক বাটি পিঠা নিয়ে এসেছে। আমাদের প্রতিবেশীদের এই বন্ধন টা খুব ভালো লাগে আমার কাছে। পরিবারের মতই আমরা, অথচো তাদের সাথে মাত্র এক বছরের পরিচয়।
মেয়ের পিঠা বাপ-মা-বেটি মিলে খেয়ে সাবাড়। রাতে তেমন আর ক্ষিধে নেই। মেয়েকে ভাত খাইয়ে আমরাও হালকা খেয়ে নিয়ে নোটিফিকেশন চেক করতে বসলাম। নতুন শুরু হওয়া টুর্ণামেন্টের প্রথম সপ্তাহটা আমার তেমন ভালো কাটবে না। এক্সাম নিয়ে একটু বেশি ব্যস্ততা। তবে আশায় আছি ২য় সপ্তাহে ঘুড়ে দাড়াবো। তখন খেলা হবে।
এই তো এভাবেই বছরের শেষ মাসের প্রথম দিনটির সমাপ্তি ঘটলো। কেমন লাগলো আমার আজকের ডাইরি। অবশ্যই আপনাদের মতামত জানাবেন। ভালো থাকবেন।