আমাদের কমিউনিটির এডমিন ম্যাম কর্তৃক আয়োজিত কনটেস্টের প্রতিটি বিষয় আমাদের বাস্তব জীবনের সাথে মিলে যায় । আজ কনটেস্টের শেষ দিনে আমার এন্ট্রি পোস্ট নিয়ে এসেছি ।ম্যামের জিজ্ঞাসা প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে আমার অনুভূতিগুলো সকলের সাথে শেয়ার করছি।
প্রতিযোগিতায় নিয়ম অনুসারে আমার তিনজন স্টিমিট বন্ধুদের @remade,@ @monikarmakar ,@ YoYoPk কে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি আশা করি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করবে ।
✅ আপনার মেজাজ পুনরুজ্জীবিত করতে আপনি কি অনুসরণ করেন? |
---|
এত আধুনিকতা, এত বিনোদন কেন্দ্র তারপরেও মানুষগুলো যেন দিন দিন রোবোটে পরিণত হচ্ছে। বিশেষ করে মহামারি ’করোনার’ পর থেকে মানুষ যেন একা হয়ে যাচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের সাথে তেমন সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছে না ।বন্ধুদের সাথেও সম্পর্ক তেমন ভালো যাচ্ছে না ।সবাই শুধু নিজেকে সুখী করার চেষ্টায় ব্যস্ত থাকে ।এই সুখ পাখিটার খোঁজ করতে করতে মানুষ ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছে তবু সে ধরা দেয় না ।মাঝে মাঝে ধরা দেয় কিন্তু বেশি সময় থাকে না ।আবার কোথাও হারিয়ে যায় ।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি , সন্তানদের প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা ,কর্মস্থলে কাজের প্রেসার ,পরিবারের সদস্যদের সুখী করার চেষ্টা এসব নিয়ে আমাদের মনের উপর ঝড় বয়ে যাচ্ছে । মাঝে মাঝে ভুলে যেতে হয় নিজের মন বলে কিছু কথা আছে ।
ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি নারীদের মন বলতে কিছু থাকতে নেই ।বিয়ের আগে বাবা-মায়ের দেখানো পথে চলতে হবে আর বিয়ের পরে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ি লোকেদের দেখানো পথে চলতে হবে ।তুমি শুনতে পারবে কিন্তু বলতে পারবে না, দেখতে পারবে কিন্তু কাউকে সঠিকটি দেখিয়ে দিতে পারবে না ।তবেই তুমি লক্ষী বউ হতে পারবে।
জীবন তো একটাই ,তাই দিনশেষে আমি শুধু আমার। নিজের অনুভূতিকে নিজেকে বুঝতে হবে । দশজনকে সুখী করার বৃথা চেষ্টা না করে নিজেকে সুখে রাখার চেষ্টা করাটাই ভালো ।আমার মেজাজকে পুনরুজ্জীবিত করতে কিছু পথ অনুসরণ করি ।
🔷 মুড ভালো করার জন্য আমার ছোট্ট ঠাকুর ঘরে গিয়ে কিছু সময় গোপাল সোনার সাথে আমার মনের সকল কথা শেয়ার করি। তাতে আমার মনটা অনেক হালকা মনে হয় ।তিনি আমাকে ভরসা দিয়ে থাকেন ।
🔷 সংগীত এমনই একটি বিনোদনের মাধ্যম যা আমরা সকল মুডে শুনতে পারি । সংগীত আমাদের ভাড়া ক্লান্ত মনকে শীতল করে দেয় আবার আনন্দ উদযাপন করত সহায়তা করে ।আশা করি আমার সাথে একমত সবাই ।
🔷 আমি নিজেকে মনে মনে বুঝাই নিজেকে ভালো রাখতে হবে। সেজন্য ’গোপাল ভার’ কাটুন দেখি আর নিজে একা একা হাসি ।তাতে আমার মন অনেকটা refresh হয়।
✅ কোন জিনিসগুলি আপনাকে সবচেয়ে বেশি বিরক্ত করে এবং আপনার মেজাজ পরিবর্তন করে? |
---|
🔷 আমরা মানুষগুলো যেহেতু ভিন্ন সেহেতু আমাদের মন মানসিকতা হয়ে থাকে ভিন্ন ।সকলের চিন্তা ধারা এক হয় না । কিছু কিছু মানুষ আছে যারা সুন্দরভাবে সহজে মিথ্যা কথাগুলোকে সাজিয়ে সত্য বলে চালিয়ে দিতে পারে ।অথচ সে বুঝতে পারে না আমি সেই সত্যটা জানি ।সত্যটা জানা সত্ত্বেও তার এই মিথ্যে কথাগুলো আমাকে শুনতে হয়। যা আমার মনে বিরূপ প্রভাব ফেলে ।
🔷 আমার মাকে বারণ করা সত্ত্বেও তিনি যখন পানের সাথে বেশি জর্দা খেয়ে থাকেন তখন আমার মেজাজ কে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে মাকে কিছু কথা শুনিয়ে দেই। যা আমাকে পরে মানসিক চিন্তা দিয়ে থাকে।
🔷 মেয়েটা যখন স্কুল থেকে এসে সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল নিয়ে গেম খেলতে বসে পরে তখন আমার মনে বিরক্তিকর প্রভাব ফেলে।তখন তাকে বকা দিলে সেও রাগ করে ।
আর আর্মি বাবুর (আমার স্বামীর) কথা আজ আর বললাম না। তবে পোস্টে অনেক বড় হয়ে যাবে।
✅ আপনি কি কখনও অন্যদের তাদের মেজাজ পরিবর্তন করতে সাহায্য করেছেন (এটি শিশু বা বয়স্ক হতে পারে)? গল্প শেয়ার করুন। |
---|
🔷 একজন সুগৃহিনী হতে হলে পরিবারের সকলের মন যুগিয়ে চলতে হয় ।এবার আর্মি বাবুর কথা বলা যায় ! তিনি যখন অফিসের কোন কারণে চিন্তিত থাকেন তখন আমি তার মেজাজ পুনরুজ্জীবিত করার জন্য তার প্রিয় পায়েশ রান্না করে দেই । যা তার মেজাজকে পুনরুজ্জীবিত করতে ম্যাজিকের মত কাজ করে ।
🔷 কোন কারণে আমার মেয়ের মন খারাপ হলে তার মন ভালো করার জন্য আমি পোস্ট কেক ও চিপস নিয়ে আসি ।যা পেলে সে অনেক খুশি হয়ে যায় ।
🔷 অনেক সময় আমার বাবা-মায়ের মধ্যে কোন কারণ নিয়ে ঝগড়া হলে মা রাগ করে সবার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেন ।তখন বাবাকে আমি পরামর্শ দেই মায়ের জন্য কিছু পান নিয়ে আসতে মা পেলে মা সকল রাগ ভুলে যায় এবং স্বাভাবিক হয়ে আবার সবার সাথে কথা বলা শুরু করে।
আমি মনে করি সকল মানুষের জীবনে এ রকম হাজারো গল্প আছে ।প্রিয় বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে পারেন এবং মনকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারেন ।