আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠতে অনেকটা বেলা হয়ে গেল। আজকে সকাল ৮:৩০ নাগাদ আমি ঘুম থেকে উঠেছি। অন্যান্য দিন সকাল ৭টা থেকে ৭টা ৩০ মিনিটের মধ্যে আমি ঘুম থেকে উঠে যাই কারণ আবর্জনা নিতে গাড়ি আসে ওই সময়। আজকে আর ঘরের আবর্জনা ফেলা আমার পক্ষে সম্ভবপর হলো না কারণ গাড়ি ততক্ষণে চলে গেছে। গতকাল রাতে কেন জানিনা আমার ঠিক মতো ঘুম হয়নি। সেই জন্যই হয়তো আজকে সকালে উঠতে আমার এতটা দেরি হলো।
রোজকার মতো ফ্রেশ হয়ে নিয়ে এক কাপ চা বানিয়ে আমি খবরের কাগজ নিয়ে বসলাম। চা খাওয়া এবং খবরের কাগজ পড়া হয়ে যাবার পর আমি মার রুমে গেলাম। মাকে ফ্রেশ করিয়ে তারপর মাকে চা খাওয়ালাম। এরপর আমি বাসি বাসন-কোসন যা পড়েছিল সব মেজে পরিষ্কার করলাম।
গতকাল রাতে অনেকটা ভাত বেচেছিল, তাই আজকে সকালে আমি আর রোজকার মতো পাউরুটি খাইনি। ওই বাসি ভাত গরম করে নিয়েছি আর অন্যদিকে কুকারে আলু সিদ্ধ করে নিয়েছি। আজকে আমি ব্রেকফাস্টে ঘি দিয়ে মেখে আলু সিদ্ধ ভাত খেয়েছি। আমার সকালের টিফিন খাওয়া হয়ে যাওয়ার পর আমি দু পিস স্লাইস ব্রেড দুধের সাথে মিক্সিতে ব্লেন্ড করে মাকে খাইয়ে দিয়েছি। মার কথা বলা বন্ধ হয়ে যাবার পর আমাকে রোজ অনেকটাই সময় দিতে হচ্ছে মার জন্য।
ব্রেকফাস্ট পর্ব সাঙ্গ হবার পর আমি সকাল দশটা নাগাদ লাঞ্চ আর ডিনার রান্না করার প্রস্তুতি শুরু করলাম। রান্না শেষ হতে হতে বেলা ১২টা বেজে গেল। এরপর আমি মার গা মুছিয়ে আর ড্রেস চেঞ্জ করিয়ে লাঞ্চ খাইয়ে দিলাম। আজকে মাকে লাঞ্চে আমি ডিম সেদ্ধ আর ভাত মিক্সিতে পেস্ট করে খাইয়েছি। মাকে খাওয়ানো কমপ্লিট হয়ে যাওয়ার পর আমি স্নান করে নিয়ে নিজে খেতে বসলাম। আজকে আমি অনেকগুলো পদ রান্না করেছি। আমার খুব খারাপ লাগে যখন আমি মাকে এসব খাবার খাওয়াতে পারি না। আজকের মেনুতে ছিল মুলা শাক ভাজা, মুলা ছেঁচকি, বিট ও আলুর তরকারি, ছোট ছোট ট্যাংরা মাছের আলু দিয়ে ঝোল আর ডিম সেদ্ধ। লাঞ্চ হয়ে যাবার পর আমি ঘন্টাখানেক ঘুমিয়ে নিলাম।
বিকেল ৪টে নাগাদ ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার বেশ শীত করছে। তাই আমি এক কাপ কফি বানিয়ে খেয়ে নিলাম তারপর হাঁটার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম।
আজকে হাঁটার পথে এই রাধা-কৃষ্ণের মন্দিরটা পড়েছে কিন্তু গেট তখনো বন্ধ ছিল। আরেকটু এগিয়ে গিয়ে এই ছোট লেকটা চোখে পড়ল তাই একটা ছবি তুলে নিলাম।
তারপর বাড়ি ফিরে সন্ধ্যে দিলাম। অন্যান্য দিন সন্ধ্যে দেওয়ার পরে মাকে চা খাওয়াই। কিন্তু আজকে মা ঘুমিয়ে আছে দেখে মাকে আর ডিস্টার্ব করলাম না। আমি নিজের জন্য এক কাপ চা করে নিয়ে ডেইলি ডায়েরি লিখতে বসলাম।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের সারাদিনের কার্যাবলী। পরবর্তী দিনলিপি নিয়ে খুব শীঘ্রই হাজির হবো আপনাদের সামনে। সকলকে শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানিয়ে আজকের লেখা এখানেই শেষ করছি।