Hello Friends,
আমি গ্রামে থাকি, আর এই গ্রামের প্রাকৃতিক দৃশ্য সবসময় উপভোগ করি। আমার আজকের দিনলিপিতে ভাগ করে নিব, আমার গ্রামের উপভোগ্য কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্য।
আজকের সকাল শুরু হয়েছিল লাল চায়ের সাথে। সকালে অন্য কোনো খাবার খেতে ইচ্ছা করছিল না।
|
---|
খোলা আকাশের নিচে হাঁটতে মন চাচ্ছিল, তাই বেরিয়েছিলাম। বাড়ি থেকে বেরোতেই একটি তেঁতুল গাছ। তেঁতুল গাছের ঘন সবুজ পাতা সূর্যের আলো মাটিতে পৌঁছাতে দেয় না। এখানে সব সময় ছবি তোলার জন্য উপযুক্ত। ছবি গুলো অনেক বেশি সুন্দর হয়।
ঐ মুহুর্তে আমার এক শিক্ষকের কল এসেছিল। তাই সল্প সময়ের মধ্যে আবার বেরিয়ে পড়লাম। আমার শিক্ষকের মোবাইল ব্যাংকিং এ একটু ঝামেলা হচ্ছিল। আমি সেই সমস্যার সমাধান করলাম।
হঠাৎ দেখি আমার পাশেই একটি অটো ভ্যান দাঁড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু যাত্রী ও চালক দু'জনই অন্য মনস্ক। কারণ তাদের অর্থনৈতিক একটা সমস্যা চলছে। উপার্জন আগের মতো, কিন্তু দ্রব্য মূল্য অনেক গুন বেড়েছে। গ্রামে থাকা মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের খুব দুর্দিন চলছে।
এখানে দুই কাকা কাজ করছিলেন। একজনের সাথে আমার জরুরী কথা ছিল। যাইহোক, ভালো হলো দেখা হয়ে। কারণ কিছুদিন পূর্বে এই কাকার মেয়ের বিবাহের কথা চলছিল।
মেয়েটি সবেমাত্র একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছে। সব কিছু কাকাকে বুঝিয়ে বললাম, কারণ ঐ মেয়ে আমার কাছেই পড়তো। যথেষ্ট মেধাবী , গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এটাই যে এই বিবাহ আইনত অপরাধ। এটা বাল্য বিবাহের মধ্যে পড়ে।
বেড়াতে কাঁটাতার বাঁধার জন্য নারকেলের ছড়ার ওপরের মে আবরণ সেটিকে নেওয়া হয়েছে। কারণ এটি যথেষ্ট শক্ত আবার আলাদা করে ক্রয় করতে হয় না। যার ফলে অর্থ বেঁচে যায়।
এই স্থানে চির নিদ্রায় ঘুমিয়ে আছে আমার এক বন্ধু। ছোটবেলা থেকেই এক সাথে বেড়ে ওঠা কিন্তু এতো সল্প সময়ের হবে সেইটা কখনো ভাবতেই পারিনি। এক বছর হলো, আমাদের সবাইকে রেখে চলে গিয়েছে।
প্রতিদিন ফজরের নামাজ শেষে আমার বন্ধুর মা এখানে এসে দোয়া করেন এবং তাঁর বড় কণ্যার জন্য কান্না করেন। আমি সব সময় ঐ বন্ধুর সাথেই থাকতাম। অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে, যেটা প্রতিনিয়ত কষ্ট দেয়। ভাবতেই একটা চাপা কষ্ট অনুভব হয়।
এই যে ফাঁকা স্থান দেখছেন, এটা ছয় মাস পূর্বে এরকম ছিল না। এখানে ছিল একটি পঁচা ডোবা। উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে মাটি দিয়ে এই ভূমি উঁচু করা সম্ভব হয়েছে। উন্নত প্রযুক্তির উন্নয়নের ছোঁয়া গ্রামে ও লেগেছে, সেইটা বোঝানোর জন্যই এই ছবিটি তুলে ধরেছি।
এটা আমাদের গ্রামের পরিচিত একটি দৃশ্য। সুপারি বাগান, এই সুপারির মূল্য ও অনেক বেশি। যাদের সুপারি বাগান আছে, তারা বেশ লাভবান হয়েছে।
তারপর একটু মরিচ গাছের যত্ন নিতে গেলাম। এবার কাঁচা মরিচ আটশত টাকা প্রতি কেজি হয়েছিল একবার। মানুষ মরিচ খাওয়া বাদ দেয়ার অবস্থা হয়েছিল।
তারপর স্নান সেরে দুপুরে হালকা কিছু খাবার খেয়েছিলাম। তারপর কমিউনিটির কিছু কাজ নিয়ে বসেছিলাম।
কিছু চ্যালেন্জের পোস্ট নোট করেছিলাম খাতায় লিখে। এভাবেই সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় অতিবাহিত করলাম।
এবার একটু বিশ্রাম দরকার। তাই টিউব-ওয়েলে গিয়ে চোখে মুখে জল দিয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করলাম। রাস্তাতে লোকজন ছিল না। মৃদু বাতাসে এভাবে হাটতে ভালোই লাগছিল। এভাবেই সারাটি দিন আজ অতিবাহিত করলাম।
আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।