Hello Everyone,
Hope all of you are healthy and fine. I am also fine by the grace of Almighty. Now I will share my activities with you. I hope that my Diary Game will be enjoyable to you. So, let's start the diary game.
Morning: |
---|
সকালে আমি ৭টার দিকে ঘুম থেকে উঠেছিলাম। উঠেই নিজেকে পরিষ্কার করে ওষুধ খেয়ে পড়ার টেবিলে বসেছিলাম। আবহাওয়া ভীষণ খারাপ, তাই দিনের বেলা ও বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলছে আমার কক্ষে। অন্যথায় বই পড়া সম্ভব না। সকালে প্রথমেই ৩৮ম বি সি এস প্রশ্নগুলো নিয়ে বসেছিলাম। দুইশত MCQ, আবার প্রতিটা প্রশ্নের বিস্তারিত। কারণ আমার সব মিলিয়ে বর্তমান PSC এর আওয়াতাভুক্ত ১৭টি পদে চাকরির আবেদন করা রয়েছে। সামনেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন, তবে ইং, ০৮-১২-২০২৩ তারিখ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন বিভাগের প্রথম ধাপ পরীক্ষা। তারপরই আমার বিভাগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথমেই আমি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের প্রোফাইল নিয়ে বসেছিলাম। কারণ খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ বাংলা সাহিত্যের তথ্যের মধ্যে এটি একটি । যেখানে ২/৩শতাধিক MCQ প্রশ্ন রয়েছে। জন্ম থেকে মৃত্যু এবং এই সময়ের মধ্যকার সকল কার্যক্রম।
৪৬তম বি সি এস এর চার্কুলার প্রকাশিত হয়েছে। তাই আমি পড়ার বিরতিতে একটু ভালো করে পরিদর্শন করেছিলাম। কারণ আমার পছন্দ প্রশাসনিক ক্যাডার যেখানে এবার পদসংখ্যা খুবই কম। তবে আমি আবেদনের প্রথম পছন্দ ঐটাই রাখবো। তারপর সকালের খাবার শেষ করে একটু বিশ্রাম নিয়েছিলাম। তাছাড়া কমিউনিটির কিছু পোস্ট পরিদর্শন করেছিলাম।
Noon: |
---|
এভাবেই দুপুর আগত, হঠাৎ বন্ধুর কল পেয়ে একটু সেখানে গিয়েছিলাম। আমি প্রথমেই সজ্জিত করা মেইন গেটের সামনে পৌঁছেছিলাম। আবহাওয়ার জন্য এতোটা সাজ সজ্জা করার পরেও বেশি আলোকিত মনে হচ্ছিল না। আবার ডেকরেশনের লোকজন বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা ও করে নি।
তারপর আমি সজ্জিত নির্দিষ্ট স্থানের মধ্যে প্রবেশ করেছিলাম। সেখানে পৌঁছে দেখেছিলাম আমার কিছু শৈশবের বন্ধুরাও উপস্থিত। কারণ সোনিয়ার দুই কাকাতো ভাই ও আমি একই সাথে পড়াশোনা করতাম। আবার আমাদের বাড়ি একই গ্রামে, যার ফলে ছোটবেলা থেকেই আমাদের বেড়ে ওঠা এক সাথে। অনেক দিন বাদে আবার গতকাল অনেক বন্ধুদের সাথে দেখা হয়েছিল।
তারপর আর বিলম্ব করিনি, কারণ আমার স্নানের সময় অতিবাহিত হচ্ছিল এবং বাড়ি থেকে আমার জ্যাঠাবাবু কল করে জানিয়েছিল মা দ্রুত বাড়িতে যেতে বলেছে। খুব দ্রুত বাড়িতে পৌঁছে স্নান শেষ করেই , বাবা-মা ও আমি দুপুরের খাবার খেতে বসেছিলাম। আমরা সবাই খাচ্ছিলাম, মা হঠাৎ বলল যে আমার দক্ষিণ পাড়ার বড়মা অনেক অসুস্থ। তাকে আজই ইন্ডিয়াতে নিয়ে যাবে। এটা শুনে আর খেতেই ইচ্ছে করলো না।
Afternoon: |
---|
এই ছবিটি আমার অনেক আগে থেকেই মোবাইলে ছিল। আমি ইতিমধ্যে এই ছবি কোনো একটি পোস্টে উপস্থাপন ও করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমি আর বড়মার দেখা পাইনি গতকাল। আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছিল। কারণ আমি যদি আমার মায়ের মতো ২য় কোনো নারীকে ভালোবাসি ও শ্রদ্ধা করি, তিনি হলেই এই বড়মা।
আমি যখন খুব ছোট ছিলাম, তখন একবার এই বড়মা অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তখন মোবাইলের সচরাচর ব্যবহার ছিল না। একটা গুজব শুনেছিলাম যে বড়মা আর নেই। কিন্তু পরবর্তীতে বড়মা সুস্থ্য হয়েই ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে এসেছিল।
এই মুহূর্তে আমার বড়মা ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত। কিন্তু আবহাওয়ার জন্য কলকাতায় আমার এক কাকুর বাড়িতে পৌঁছেছে গতকাল ও আবহাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। ট্রেনে করে বেঙ্গালোর নিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থাতে ও নেই বড়মা। কারণ বিমানে করে যাওয়ার জন্য আবহাওয়া ভালো হওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঈশ্বর যেন আমার বড়মা'কে আবার আমাদের মাঝে সুস্থ্য করে ফিরিয়ে দেন এটাই প্রার্থনা করি।
তারপর বাড়িতে ফিরে একটু বিশ্রাম নিয়েছিলাম। কিন্তু দুশ্চিন্তা যেন মাথাটাই গ্রাস করে রেখেছিল। এভাবেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
END |
---|