Hello Friends,
Hope you are all fine and healthy. I am also fine by the grace of Almighty. Now, I will share my Diary Game with you. So, let's start the main topic.
আবারো ঈশ্বরের থেকে একটি নতুন সকাল উপহার পেলাম। এজন্যই ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমাদের জীবনটাই একটা যুদ্ধ ক্ষেত্র। আমরা প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো বিষয়ের মুখোমুখি হই ।
আমি এখন আপনাদের সাথে আমার গতকালকের কিছু উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম উপস্থাপন করবো। আমিও এই পরিস্থিতি থেকে অনেক শিক্ষা গ্রহণ করেছি। কারণ আমাদের প্রয়োজন সবার উর্ধ্বে।
সকাল ৭:০০টা থেকে শুরু হয়েছিল, আমার দিন। ঘুম থেকে উঠেই দেখলাম, আমার বাবা সব ঘরের কাজ সেরে রেখেছে। কারণ আমার কয়েকদিন অনেক দৌড়াদৌড়ি করতে হচ্ছে। এক কথায় অনেক ধকল যাচ্ছে।
যেহেতু মা,বোন ও বোনের হাজবেন্ড এবং আমার একমাত্র ভাগ্নি, আমাদের বিভাগীয় শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে আছে, তাই আজ আবার খাবার পৌঁছে দিতে হবে।
আমার বাবা এক ঠাকুরমাকে এটা বলেছিল, তাই সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি রান্না প্রায় সম্পন্ন হয়েছিল। সব গুছিয়ে নিয়ে আমি খুলনা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম। তবে গতকাল আমার বাবা ছিল, আমার সাথে। কারণ কিছু প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ক্রয় করার প্রয়োজন ছিল।
বাবা ও আমি একটি অটোরিকশা করে ফয়লা বাজার পৌঁছেছিলাম। তারপর আমার ভাগ্নির জন্য একটি পাটি ও মশারী এবং একটি বালতি ক্রয় করেছিলাম।
তারপর ফয়লা বাসস্ট্যান্ড থেকে রূপসার একটি বাসে উঠেছিলাম।
এটা লোকাল বাস তাই বেশ কিছু সময় আবার কাটাখালি বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করেছিল। কারণ যাত্রী সংগ্রহ করে এই বাস গুলো প্রত্যেকটি বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। যেটা সত্যিই অনেক বিরক্তিকর হয়, যদি ব্যস্ততা থাকে বা জরুরী কোনো কাজ থাকে।
যাত্রাপথে কুদির গাছতলা নামক একটি বাস স্ট্যান্ড আছে। যেখানে প্রতিবছর খুব বড় করে কালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। রাস্তার এই অসাধারণ দৃশ্যটি আমার খুব ভালো লেগেছিল। তাই বিলম্ব না করে মোবাইল হাতে নিয়েই একটি ছবি তুলে নিয়েছিলাম।
তারপর অল্প কিছু সময়ের মধ্যে আমি রুপসা ট্রলার ঘাটে পৌঁছেছিলাম। তারপর খুব সতর্কতা অবলম্বন করে হাতে থাকা ব্যাগ নিয়ে ট্রলারে উঠে দাঁড়িয়েছিলাম।
তারপর একটি ইজি বাইকে করে আমার বোন যেখানে ভর্তি আছে সেই ক্লিনিকে পৌঁছেছিলাম। বোনের কেবিনে প্রবেশ করেই আগে ভাগ্নির খোঁজখবর নিয়েছিলাম।
গতকাল আমি সাথে করে মোবাইলের চার্জার নিয়ে গিয়েছিলাম। কারণ আমার ইচ্ছা গতকাল রাতে আমি ওই ক্লিনিকে বোন ভাগ্নি এদের সাথে থাকবো। ফ্রেশ হয়ে সবার সাথে দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম। আমার ভাগ্নি মাঝেমধ্যেই কান্না করছিল।
আমি যাওয়ার পর থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রায় তিনজন ডাক্তার আমাদের কেবিন পরিদর্শনে এসেছিলেন। তারপর যখন আমার ভাগ্নি ঘুমাচ্ছিল, মা আমাকে বলল ছাদে যাওয়ার জন্য। কারণ ভাগ্নির কিছু কাথা ও কাপড় শুকানোর জন্য ছাদে মেলে রাখা ছিল।
এই ক্লিনিকের অবস্থান খুলনা বিভাগীয় শহরের টুথপাড়া কবরস্থানের নিকটে। যদিও আমি পূর্ব থেকে এটা জানতাম, তবে এই কবরস্থান কখনো আমি পর্যবেক্ষণ করিনি বা লক্ষ্য করে দেখিনি।
হঠাৎ ছাদে যেতেই চোখ পড়েছিল সেই কবরস্থানের দিকে। তারপর হাতে থাকা মোবাইল নিয়ে একটি ছবি তুলে নিয়েছিলাম।
সাথে মেলে রাখা সব কাপড় গুলো আমি সংগ্রহ করে আমার হাতে নিয়ে নিয়েছিলাম। এটা ছাদ থেকে নামার মুহূর্তের একটি ফটোগ্রাফি।
ভাগ্নির জন্য ফ্লাক্সে গরম জল আনার জন্য যাচ্ছিলাম। গ্রান্ড ফ্লোরে জল গরম করার ব্যবস্থা আছে ক্লিনিকে।
রাত প্রায় ১২:৩০ আমার বোনের একটু ঠান্ডা লেগেছিল, তাই ডাক্তার একটি ওষুধ লিখে দিয়েছিল। বেরিয়ে পড়েছিলাম ফার্মেসির উদ্দেশ্যে ওষুধ ক্রয় করতে।
তারপর আমাদের কেবিনের দায়িত্বে থাকা এক নার্স আপুর সাথে বেশ কিছুক্ষন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতেছিলাম। এক পর্যায়ে দেখলাম তাঁর বাড়ি আমার পাশের মোংলা উপজেলা ।
এভাবেই গতকাল সকাল ৭.০০টা থেকে রাত ১.০০টা পর্যন্ত সময় অতিবাহিত করেছিলাম। তবে এর মধ্যে কোনো বিরতি ছিল না। কখন যে এতটা সময় অতিবাহিত হয়েছিল নিজেও বুঝতে পারিনি। আমার আজকের দিনলিপি সংক্রান্ত লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
End |
---|