Hello Everyone,
আশাকরি, আপনারা সকলেই কুশলে আছেন। আজ আমি দুর্দান্ত একটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য উপস্থিত হয়েছি। প্রথমেই কমিউনিটির এডমিন মহোদয়া দিদি'কে ধন্যবাদ জানাই, এই অসাধারণ বিষয়বস্তু নির্বাচন করার জন্য।
আমি অনেক অনেক বেশি আনন্দিত কারণ এখানে আমি উপস্থাপন করতে চলেছি আমার জন্মস্থান সম্পর্কে। আমি মনে করি আমার মতো প্রত্যেকের কাছেই তাঁর জন্মস্থান অনেক প্রিয়। এ যেন এক অদৃশ্য বন্ধন।
|
---|
হয়তো এই অনুভূতি লেখার মাধ্যমে ও সম্পূর্ণ ভাবে প্রকাশ করা সম্ভব না। তবে এটা আমার অভিমত যে এখানেই আমার শিকড়, এখানেই আমার বেড়ে ওঠা, অনেক আপনজন সবাই যেন সবার সাথে একই শিকলে গাঁথা । আর এ কারণেই হয়তো আমার কাছে আমার এলাকা মূল্যবান।
এখন আমি বাস্তবে চলে আসি, আমি এখন কিছুটা হলেও আবেগ থেকে বেরিয়ে এসেছি আর তাই বলছি এখানে কি আছে এটা বলা মুশকিল। কারণ আমার দেশ কৃষি প্রধান দেশ, তাছাড়া আমার দেশের মানুষের প্রধান খাবার ভাত ও মাছ। আমার এলাকায় ধান ও মাছের কোনো ঘাটতি নেই।
|
---|
➡️ প্রথমেই আমি উপস্থাপন করছি, আমার এলাকার মাছের চিত্র। আমাদের এলাকায় এমন পরিবার নেই যে যাদের পরিবার মাছ চাষ করে না। যার ফলে দেখা যায় প্রতিটি পরিবার নিজেদের পরিবারের মাছের চাহিদা পূরণ করে বাজারে মাছ বিক্রি করতে পারে। যদিও বাণিজ্যিকভাবে মাছ রপ্তানি করা হয় এবং ছোট ছোট পরিবার মাছ বিক্রি করে তাদের জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করে।
➡️ বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশের পাশাপাশি নদীমাতৃক দেশ ও বটে। বাংলাদেশের এমন কোনো স্থান নেই যে সেখানে নদী নেই। তবে মজার বিষয় হল, এত নদী হলেও এই সকল নদীর উৎপত্তিস্থল কিন্তু আমাদের দেশের মধ্যে না। আমাদের পার্শ্ববর্তী বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের সাথে আমাদের দেশের ৫৪ টি নদীর সরাসরি সংযোগ আছে।
নদী আমাদের দেশের সম্পদ, তাছাড়া আমি জন্মসূত্রে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বসবাস করি। আমি এই ছবিটি ধারন করেছিলাম, আমার বাড়ির পশ্চিম পাশের একটি নদী যার নাম চৌ-মানা। এটা বইয়ের কোনো নাম কি না আমি সঠিক জানিনা।
তবে এই নদীতে বারো মাস প্রচুর পরিমাণে মাছ পাওয়া যায়। বিশেষ করে বর্ষাকালে বেশি মাছ পাওয়া যায়। নদীর পাশে থাকা পরিবার গুলো এই নদী থেকেই তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। পাশাপাশি আমরা পাই তাজা মাছ যেটা আমাদের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে।
➡️আমার এলাকায় দুইটি ধানের ফসল হয়। এটা শীতের ধান- শীতের ধান বলতে যে ধান শীতের সময় মাড়াই করে ঘরে তোলা হয়। আমাদের এলাকায় প্রচুর পরিমাণে এই ধানের দৃশ্য দেখা যায়।
➡️আমার এলাকার রাস্তা, রাস্তায় গেলেই যেন মনটা ফুরফুরে হয়ে ওঠে। বিশেষ করে শীতের সময় সকালের সূর্য উদিত হলেই ঠাকুরদা বয়সী মানুষদের দেখা যায়। গল্প করতে করতে কখন যেন সময় অতিবাহিত হয়, এটা বোঝার উপায় নেই। আমার এলাকার মানুষেরা এখনো দলবদ্ধভাবে বসবাস করে। সবাই যেন একটা সূতোয় গেঁথে আছে।
➡️ বিকেল বেলা চায়ের দোকানে আড্ডা দেয়ার এক মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই আমার এলাকায় একত্রিত হয়। আমি কখনো আমার এলাকায় ভদ্র সমাজে বৈষম্য দেখিনি। এটা থেকেই শৈশবে থাকা আগামী প্রজন্মের শিশুরাও শিখছে। হয়তো তাঁরাও এভাবে মিলেমিশে বসবাস করবে।
➡️ আমার এলাকায় একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। যার ফলে শিক্ষার ক্ষেত্রে অনেক সুযোগ ও রয়েছে। মেয়েদের শিক্ষার কথা চিন্তা করে আছে বালিকা বিদ্যালয়। আমি দেখেছি অনেক এলাকায় দূরত্বের জন্য মেয়েরা শিক্ষায় পিছিয়ে। সেই দিক বিবেচনা করলে আমার এলাকা সত্যিই শ্রেয়।
|
---|
হ্যাঁ, আমি একদমই সহমত এই বিষয়টির সাথে দীর্ঘদিন থাকতে থাকতে যেন একটা নির্দিষ্ট এলাকার সবকিছুই আলাদা স্থান পায় আমাদের কাছে। আমার কথাই বলি, ২০১৭ সালে আমি এক বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম কিন্তু একটি রাত পার হতে না হতেই যেন মনটা ছটফট করছিল বাড়িতে যাওয়ার জন্য।
I would like to invite some of my honourable friends @cruzamilcar63, @sailawana and @max-pro to participate this attractive topic.
END |
---|