প্রতিদিনের দিনের মতো সকালে ঘুম থেকে উঠলাম। এরপর ছাতা নিয়ে কলপাড়ে গেলাম। কারণ প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছে। ওখানে গিয়ে অজু করে এসে ফজরের নামাজ আদায় করলাম। নতুন একটা সকালের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করলাম। নামাজের বিছানায় কিছুক্ষণ বসে থাকলাম। এরপরে বাহিরে গিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম। মনটা তেমন একটা ভালো লাগছে না।
আজকে পান্তা ভাত ছিল। তাই আর নাস্তা বানানো হয়নি। ডিম ভাজি করে সবাই মিলে পান্তা ভাত দিয়ে সকালের খাবারটা সেরে নিলাম। খাবার খাওয়ার পর আমি রান্নাবান্না করার জন্য, রান্নাঘরে চলে গেলাম। এর ফাঁকে ছেলেকে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দিলাম।
হঠাৎ করে ছাদের দিকে তাকিয়ে দেখি। আমাদের বড় পেঁপে গাছের মধ্যে একটা পাখি বসে পাকা পেঁপে খাচ্ছে। এরপর আমি বড় একটা লাঠি নিয়ে ছাদে গেলাম পেঁপে পেড়ে আনার জন্য। ওখানে গিয়ে দেখি একটা নয় মোটামুটি পাঁচটা পেঁপে পেকে আছে। এরপর আমি একটা একটা করে প্রত্যেকটা পেঁপে পেড়ে নিলাম। নিচে এসে সুন্দরভাবে কেটে, আমি নিজে খেলাম এবং বাড়ির সবাইকে দিলাম।
রান্নাঘরে যাওয়া মাত্রই বৃষ্টির পরিমাণটা আরো বেশি বৃদ্ধি পেল। বৃষ্টির কারণে চারপাশ অন্ধকার হয়ে আছে। কোনমতে রান্নাটা সেরে নিলাম। রান্না করতে করতে আমার প্রায় 11:30 টার মত বেজে গেল। এরপর সব কিছু গুছিয়ে ঘরে নিয়ে আসলাম। একটু পরে দেখলাম বৃষ্টি কমে গেছে।
তাড়াতাড়ি করে ছোট ছেলেকে গোসল করিয়ে দিলাম। এবং নিজেও গোসল সেরে নিলাম। এরপর এসে জোহরের নামাজ আদায় করে নিলাম। ছোট ছেলেকে আগে দুপুরের খাবার খাইয়ে দিলাম। এরপর আমি নিজেও খাবার খেয়ে, ওকে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করলাম কিন্তু ও ঘুমালো না।
ও নিজের খেলনা গুলো নিয়ে খেলতে শুরু করল। আমি আমার কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করলাম। এরপরে দুপুর তিনটা নাগাদ একটু ঘুমিয়ে পড়লাম। চারটার সময় ঘুম থেকে উঠে, আসরের নামাজ আদায় করে নিলাম।
বিকেলে একটু বাজারে গিয়েছিলাম। ওই দিন গিয়েছিলাম কিন্তু আমি আমার ঔষধ আনতে ভুলে গিয়েছি। তাই আবার বিকেলে বাজারে গিয়ে, আমার ওষুধ নিয়ে আসলাম। এবং ওখান থেকে আসার সময়, পরোটা এবং গরুর কলিজা ভুনা নিয়ে এসেছিলাম।
সন্ধ্যায় ছেলেদেরকে পরোটা এবং গরুর কলিজা ভুনা খেতে দিয়েছিলেন। এরপর আমি ওদেরকে পড়াতে বসলাম। পড়ানো শেষ হলে ওদেরকে খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছিলাম। নিজের কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করতে করতে, প্রায় রাত বারোটা বেজে গেল।
এভাবেই আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন পার হয়ে গেল। জানিনা কতটুকু ভালো কাজ করতে পেরেছি। কিন্তু একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এটা বেশ ভালো বুঝতে পারছি। সবার সুস্থতা কামনা করে, আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
meraindia