দৈনিক ডিম খাওয়ার ব্যাপারে অনেক বিতর্ক রয়েছে । গবেষণায় দেখা গেছে যে সকালের খাবারে ডিম খেলে তা ওজন হ্রাসের ব্যাপারে ভূমিকা রাখে। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই ডিম খেতে ভালোবাসে। ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। করোনাভাইরাসের এই সময়ে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়া উচিত।
শরীর দুর্বল হলে চিকিৎসকরা সকালের খাবারে সেদ্ধ ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন।নিয়মিত ডিম খাওয়া সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে খুবই সহায়ক । ডিম খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। এটি ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং প্রোটিনের ভালো উৎস। এখন প্রতিদিন একটি ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক:-
১.প্রতিদিন একটি ডিম শরীরের ভিটামিন ও মিনারেলের চাহিদা পূরণ করে। এটি শরীরের কোষগুলিকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে এবং শক্তি বৃদ্ধি করে।
২. চোখ সুস্থ রাখতে প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়া উচিৎ। ডিমে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,লুটেইন এবং জেক্সানথিন, যা ছানি ও অন্ধত্ব প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৩. ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেল থাকে যা মস্তিষ্কের কোষকে সুস্থ রাখে। এছাড়াও ডিম আমাদের স্নায়ুকে সুস্থ রাখে এবং স্মৃতিশক্তি ভালো করে।এছাড়া ডিমে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং উচ্চ মাত্রার প্রোটিন, যা শরীরের মাংসপেশিকে সুস্থ রাখে এবং পেশী শক্তি এবং কার্যকারিতা উন্নত করে।
৪.গবেষকরা বলছেন, ডিম খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে। এটি অন্যান্য খাবারের প্রতি আকাঙ্ক্ষা হ্রাস করে এবং প্রতিদিনের ক্যালোরির প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে।
৫. ডিমে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১২ এবং সেলেনিয়াম যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ডিমে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভালো চর্বি থাকে। অনেকেই মনে করেন সব চর্বিই খারাপ। এটা মোটেই ঠিক না। ডিম রয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি যা শরীরের জন্য খুবই ভালো।
৬. আমাদের শরীরে দুই ধরনের কোলেস্টেরল থাকে। খারাপ কোলেস্টেরল এবং ভাল কোলেস্টেরল। ডিম খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়।
৭. কোলিন আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শরীরে কোলিনের অভাবে লিভারের সমস্যা হয়। ডিমে প্রায় ৩০০-৫০০ গ্রাম কোলিন থাকে। তাই ডিম লিভার, স্নায়ু ও যকৃতের জন্য ভালো। অনেকের নখ মরে যায় বা ভেঙে যায়। ডিমের সাদা অংশ মরা বা ভাঙা নখে লাগালে সেগুলি সেরে যাবে। ডিম নখ ও আঙ্গুলের ত্বকের কালো দাগও দূর করে।
তাই রোজকার খাবারে আমাদের ডিম রাখা উচিৎ।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।