সরিষা শাকের পুষ্টিকথা:

হ্যালো বন্ধুরা

IMG_20231201_120726.jpg

Source:Mobile Camera

গবেষকরা বলছেন, সরিষার শাকে পালং শাকের চেয়ে বেশি ভিটামিন এ এবং কমলার চেয়ে বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। শীতকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় সরিষা শাক। আপনি এই সবজিটি ভাজি, পাকোড়া বা সালাদে মিশিয়ে নিতে পারেন অনন্য পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এ শাক। সরিষার শাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে এবং এতে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ থাকে।

চলুন জেনে নিয় সরিষা শাক খাওয়ার নানা উপকারিতা সম্পর্কে।

IMG_20231201_120720.jpg

Source:Mobile Camera

ক্যালোরি কম হলেও, সরিষার শাকে ফাইবার এবং অনেক প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ থাকে। বিশেষ করে ভিটামিন সি এবং কে-এর একটি চমৎকার উৎস হলো এই শাক। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে নিয়মিত সরিষা শাক খান।শীতকালের পর এ শাক আর পাওয়া যাবে না।

সরিষার শাক দীর্ঘমেয়াদী যেসব রোগ রয়েছে তার ঝুঁকি কমায়। এটি শক্তিশালী ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ। এই উদ্ভিজ্ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি বার্ধক্য, পরিবেশ এবং জীবনযাত্রার আচরণ থেকে আমাদের দেহে জমা হওয়া ফ্রি র‍্যাডিকেলের কারণে সৃষ্ট স্ট্রেস এবং ক্ষতি থেকে কোষকে রক্ষা করে। ফলে ক্যান্সারের মতো দুরারোগ থেকেও দূরে থাকা সম্ভব। সরিষার শাকে গ্লুকোসিনোলেট নামক পুষ্টি উপাদান থাকে , যার কারনে এ শাক খেতে কিছুটা তেতো লাগে। তবে গ্লুকোসিনোলেটস ক্যান্সার কোষের সাথে লড়াই করতে পারে এবং শরীরে টিউমার গঠন প্রতিরোধ করতে পারে।

pexels-tausif-hossain-7558816.jpg

Source

সরিষার শাক হল ভিটামিন কে-এর অন্যতম উৎস। এই ভিটামিন হাড় এবং হার্টের স্বাস্থ্যে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে। মাত্র এক কাপ সরিষার শাক প্রতিদিনের ভিটামিন সি চাহিদার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি পূরণ করতে পারে। এই ভিটামিন একটি শক্তিশালী ইমিউনিটি সিস্টেমের জন্য অপরিহার্য। এছাড়াও, সরিষার শাকে উপস্থিত ভিটামিন এ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং কোষের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। দেহের দূষিত পদার্থ দ্রুত বের করে দিতে সাহায্য করে সরিষা শাক।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে ফ্ল্যাভোনয়েড এবং বিটা-ক্যারোটিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।যা এই সরিষা শাকে আপনি পেয়ে যাবেন।যার ফলে এসব রোগ হওয়া থেকে কিছুটা হলেও ঝুঁকিমুক্ত থাকবেন।সরিষার শাকের ভিটামিন কে সুস্থ হাড় বজায় রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন কে এর অভাব হাড়ের খনিজ অস্বাভাবিকতার দিকে নিয়ে যায় এবং অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি বাড়ায়।তাই এসব ঝুঁকির হাত থেকে বাঁচতে সরিষা শাকের ভূমিকা অপরিসীম।

pexels-jan-van-der-wolf-14844393.jpg

Source

দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখে সরিষার শাকে থাকা লুটেইন এবং জেক্সানথিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আবার লুটেইন মস্তিষ্কের টিস্যুও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে।মোটকথা সরিষা শাকে থাকা পটাশিয়াম, আয়রন,ফসফরাস এবং কপার আমাদের রোগমুক্ত থাকতে সাহায্য করে।

কাজেই আমাদের সুস্বাস্থ্যে সরিষা শাকের ভূমিকা অপরিসীম। তাই রোজকার খাদ্যতালিকায় এই সরিষা শাক রাখার চেষ্টা করা উচিৎ আমাদের।তবেই ভালো থাকব আমরা।

তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।

ধন্যবাদ
H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
14 Comments