হ্যালো স্টিমিট বন্ধুরা |
---|
পশ্চিম আকাশে সূর্য অস্তমিত যাওয়ার
সাথে সাথে ই আমাদের জীবন থেকে একটি দিন বিদায় নিয়ে নেয়,সেটি কি খেয়াল করেছেন বন্ধুরা। প্রতিদিন সূর্য উঠার মানেই হলো আপনাদের জীবন থেকে একটি দিন কমে যাওয়া।তা কিন্তূ আমরা সংসার জীবনের ঘূর্ণিপাকে ঘুড়তে গিয়ে ভুলেই যাই।বা সেভাবে ভাবি ও না আমরা।যত দিন যাচ্ছে ততই সংকীর্ণ হয়ে আসছে আমাদের জীবন।
খেলার ছলেই হয়তো বা এক দিন জীবন প্রদীপ নিভে যাবে । তাই যে যাই করি ভালো ও মন্দ মধ্যে ফারাক
রেখেই যেন করি।বেলা শেষ হওয়ার সাথে সাথে আমাদের খেলা ও শেষ হয়ে যাবে।সে দিকে খেয়াল রেখে ই আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
তো এখন আসি কী বিলম্বনায় পড়েছিলাম আজ মেহেদী দিতে গিয়ে। মেহেদী পড়তে আমার খুবই ভালো লাগে।একটা সময় ছিল যে, আমার হাতের মেহেদী চলে যাওয়ার সাথে সাথেই আবার নতুন করে
মেহেদী হাতে দিয়ে ফেলতাম।
এখন আগের মতো সখ ও নেই আবার সময় সুযোগ ও
তেমন একটা নেই।এতো ফাস্ট হয়েগিয়েছি আমরা মনের খোরাক যোগাতে তেমন একটা ইচ্ছুক নই আমরা।চলছে তো চলুন না,এতো ভাবার কি আছে,
ভেবে ই বা তেমন কি হবে। এমন টাই বলি আমরা।
সত্যি বলছি তো বন্ধুরা।এক দম ই তাই। সাধারণত আমরা এ কথা গুলো ই বলে থাকি। আসলে জীবন তো একটাই তাকে যদি প্রতিটা জিনিসের স্বাদ,গন্ধ ও সৌন্দর্য বুঝতে না দেই তাহলে একটা সময় সে আর উপভোগ করার সুযোগ ই পাবে না। তাই জীবন কে উপভোগ করতে হবে।
এখন বলি মেহেদী নিয়ে।আজ বিকেলে হাতে মেহেদি
দিতে গিয়ে হঠাৎ মনে হলো,এই মেহেদী নিয়ে ও তো
একটি টিউটোরিয়ালের মতো করে পোস্ট লিখতে পারি। সেভাবে ই প্রস্তূতি ও নিয়েছি। কিন্তূ যখন ই হাতে দিতে নিয়েছি। এমনি শুরু হলো বিরম্বনা। আমার শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে ও মেহেদী বের করতে পারছিনা।অনেক কষ্টে অল্প একটু দেওয়া পর, ভাবলাম মেহেদী বের করে নারকেলের শলা দিয়ে দিব।তবুও হাল ছাড়বো না , ছোট বেলায় গাছ থেকে মেহেদী পেরে শিল পাটায় বেটে হাতে ও পায়ের নখে দিতাম।আবার মেহেদীর রং যাতে টকটকে লাল রঙের হয়, সেইজন্য আগে হাতের নখে চূন ও সাবান একসাথে মিশিয়ে দিয়ে কিছুক্ষন রেখে দিতাম ,যখন দেখতাম শুকিয়ে গেছে,তখন উপর থেকে ফেলে দিতাম চুন ও সাবানের মিশ্রন টি। তারপর মেহেদী দিতাম।
রাতে শুয়ার আগে মেহেদী দিতাম শলা দিয়ে,আর এই মেহেদী পড়া হাত নিয়েই শুয়ে পড়তাম,হাতের ও পায়ের মেহেদী বিছানায় বা বালিশের কভারে লাগলে,মায়ের হাতের মাইর একটাও মাটিতে পড়তো না বন্ধুরা। মেহেদী রং গাঢ় করার জন্য, মায়ের হাতের
মাইন খাওয়া কোন ব্যাপার ই না,মাইর গেয়েছি তো কি হয়েছে। তাই বলে কি বসে থাকব। খুঁজে বের করতাম, নারকেল তেল বা সরিষার তেল।হাত ধুয়ে তেল দিলে মেহেদীর রং আরো টকটকে লাল রঙের দেখায়।
যাইহোক এই মেহেদীর গল্প টি শেয়ার করার জন্য ই মূলত টিউব মেহেদী টি কিনে এনেছিলাম। আধুনিক প্রযুক্তির যুগে সব বদলে গেলেও আমাদের শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত দিনগুলো কে কোন ভাবেই ভূলা যায় না।আজ তো আর হলো না,তবে অন্য কোন দিন মেহেদীর টিউটোরিয়াল নিয়ে আসব ইনশাআল্লাহ।
সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সর্বপরি মনের যত্ন নিবেন বন্ধুরা।