আমার সখের হারমোনিয়াম ও তবলা |
---|
Hello everyone
আমি @sairazerin লিখছি বাংলাদেশ থেকে।আজ আমি একটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য মনস্থির করছি। কারন প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তূটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। তাই আমি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে খুব আনন্দ বোধ করছি। বিষয়টি খুব চমৎকার।একে বারে বাস্তব ধর্মী একটি বিষয় নিয়ে আমাদের এডমিন মহোদয় এই প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করেছেন। তাই লিখার শুরুতেই আমি আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ম্যাম কে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।এখন আমি নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরগুলো দিয়ে আমি আমার অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করছি।
আপনার মেজাজ পুনরুজ্জীবিত করতে আপনি কি অনুসরণ করেন? |
---|
মন পুনরুজ্জীবিত করার জন্য ভিবিন্ন কৌশল অবলম্বন করা যায়।একেক জন একেক ভাবে তাদের মন পুনরুজ্জীবিত করে থাকে। আমার মন ও কোন না কোন কারনে খারাপ হয়।তখন আমি আমার মন ভালো করার জন্য যে পদক্ষেপ গ্রহণ করি তা এখন শেয়ার করছি।
মেয়েদের মন আর আকাশের রং বুঝা বড় ই দায়।কখন যে কোন রং ধারণ করে তা বোঝা মুশকিল।আমিও এর ব্যতিক্রম নই,আমার ও মাঝে মাঝে পরিবেশ ও পরিস্থিতির কারণে
মন খারাপ হয়ে যায়।আর যখন আমার কোন কারনে মন খারাপ হয়,তখন আমি গান করি। কারন গান ও নাচ আমার পছন্দে একটি কাজ। আমি ছোটবেলায় ওস্তাদজির কাছ থেকে গান শিখেছি এবং নাচের স্কুলে নাচ ও শিখেছি।এখন পড়াশোনার চাপে খুব একটা চর্চা করতে পারিনা।তো আমার খুব ইচ্ছে গানটাকে
ধরে রাখার। আমি সময় পেলেই হারমোনিয়াম নিয়ে বসে যাই।
নাচের পোশাক ওগহনা |
---|
আমার খুব পছন্দের অনেক গুলো গানই আছে, এরমধ্যে একটি গান অনেক বেশি পছন্দের
এটি একটি রবীন্দ্র সংগীত।
অনেক কথা যাও যে বলে কোন কথা না বলি
তোমার ভাষা বুঝার আশা দিয়েছি জলাঞ্জলি।।
যে আছে মম গভীর প্রাণে ভেদিবে তারে হাসির বানে
চকিতে চাহ মুখের পানে তুমি যে কৌতুহলী
আর নাচের চর্চা নেই তেমন একটা। তাই গান ই গাই
সময় সুযোগ হলে। আমার মা আমার বয়স যখন তিন বছর তখন ই হারমোনিয়াম কিনে দিয়েছিল।কারন আমার পাশের ফ্ল্যাটের এক দিদি গান শিখতেন । আমি যেয়ে ঐ দিদির হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান করতাম।আবল তাবল মা মনে আস্ত তাই আর কি।তা দেখে মা ও আমার জন্য এই হারমোনিয়াম টি কিনে এনেছিল সাথে তবলা ও ছিল। তাই আমার মন পুনরুজ্জীবিত করার একমাত্র হাতিয়ার হলো গান।আমি গুন গুন করে সারাদিন ই গান গাই,যখন যা মনে আসে।গান আমার প্রাণ।গানের রেওয়াজ করলে আমি সব ভুলে যাই।অন্য জগতে চলে যাই। আর তখন একটার পর একটা গান গাইতে থাকি তখন মনটা আস্তে আস্তে চাঙ্গা হতে থাকে। তাই আমার মন তখন কোন কারনে খারাপ থাকে তখন ই আমি গান গাইতে থাকি। অনেক সময় ইউটিউব থেকে ও ভিবিন্ন ধরনের গান শুনি।তবে রবীন্দ্রনাথ সংগীত আমার খুব ভালো লাগে।
কোন জিনিস গুলি আপনাকে সবচেয়ে বেশি বিরক্ত করে এবং আপনার মেজাজ পরিবর্তন করে? |
---|
যে জিনিসগুলো আমার সবচেয়ে বেশি বিরক্ত করে এবং আমার মেজাজ পরিবর্তন করে দেয় তা হলো আমার রুমের খাটে যদি কেউ কিছু রেখে অগুছালো করে রাখে,তখন আমার চট করে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে ই ভালো মেজাজটা খারাপ হয়ে যায়।কারন হলো আমি দিনের সিংহ ভাগ ই খাটে শুয়ে
বসে কাটাই ,যখন বাসায় যাই।আর বাসায় গিয়ে যখন দেখি খাটের এই অবস্থা তখন চিল্লাইতে ইচ্ছে করে ।আর এই কাজ টা করে আমার মা। আমি যদি বলি তুমি আর জায়গা খুঁজে পাওয়া না কাপড় রাখার
জন্য তখন প্রতিত্তোরে মা বলে তুই কি বাসায় থাকিস না কি?
আমি বাসায় থাকি না বলে কি আমরা রুমটা এই ভাবে রাখবা তুমি,বলেই দেই জোরে এক চিল্লানি।কারন আমার খুব বিরক্ত লাগে ব্যাপারটা।সহ্য করতে পারিনা
কোন ভাবেই। মোটকথা আমার রুম টা থাকবে পরিপাটি।যেখানে আমি থাকব,সেই পরিবেশ টাই যদি
অনুকূলে না থাকে, তাহলে কোন কিছুই মনে বসানো যায় না।তা ঘরে হোক আর বাহিরের জগতে হতো। তাছাড়া পরিপাটি থাকলে মনটাও ভালো লাগে।
আপনি কি কখনও অন্যদের তাদের মেজাজ পরিবর্তন করতে সাহায্য করেছেন (এটি শিশু বা বয়স্ক হতে পারে)? গল্প শেয়ার করুন। |
---|
হ্যা,আমি আমার ছোট ভাই কে যখন কোন বিষয় তার মত করে করতে দেই না তখন স্বাভাবিক ভাবেই তার মেজাজ খারাপ থাকে,তখন আমি তার পছন্দের খাবার গুলো তাকে কিনে এনে দেই,তাতে তার মেজাজ অনেক টাই ভালো হয়ে যায়।কারন ও একটু
খাবারের প্রতি দুর্বল। তাই তার পছন্দের তালিকায় থাকা যে কোন ধরনের খাবার তার সামনে হাজির করলে।তার মেজাজ ভালো হয়ে যায়। আমি তখন দেখি তার মেজাজ খুব বেশি খারাপ, তখন আস্তে করে
তার পাশে খাবার টি রেখে চলে আসি।কারন আমি সামনে থাকলে সে খাবেনা,রাগ তো আমার সাথে তাই
আমাকে দেখিয়ে খেলে তো রাগের অমর্যাদা হবে। তাই আমাকে দেখিয়ে খাওয়া বারন।
আমি আমার কয়েকজন বন্ধুকে এই প্রতিযোগিতায় নিমন্ত্রণ যানাচ্ছি,যাতে তারাও তাদের অনুভূতিগুলো প্রকাশ করতে পারে।
আমি আমার মনের অনুভূতি গুলো আমার মতো করে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সর্বপরি মনের যত্ন নিবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
good bye |
---|