প্রত্যেকের জীবনে ই কিছু বিশেষ দিন রয়েছে।যা স্মরণীয় হয়ে থাকে সারাজীবন ধরে। তেমনি আমার একটি স্মরণীয় দিন আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করছি।লিখা শুরু করার পূর্বে আমি এই কমিউনিটির এডমিন মহোদয় কে ধন্যবাদ জানাই এতো সুন্দর একটি বিষয় নির্বাচন করার জন্য । আমি প্রতিযোগীতার নিয়মানুযায়ী আমি আমার তিন জন বন্ধুকে নিমন্ত্রণ যানাচ্ছি। তাদের স্মরনীয় দিন গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
@mdsahin111
@farhanahossin
@rana2423
আমিনির্ধারিত প্রশ্নোত্তরগুলো দিয়ে ঐ বিশেষ দিন টির বর্ননা দেওয়া চেষ্টা করছি।বিশেষ দিন টি ছিল ৭ই অক্টোবর।তো কেন ৭ই অক্টোবর আমার কাছে বিশেষ এক দিন ছিল যা আমৃত্যু আমার কাছে বিশেষ হিসেবে ই থাকবে তা ব্যাখ্যা করছি নির্ধারিত প্রশ্নের আলোকে।
Share one memorable day through a diary game. |
---|
আমি আমার পূর্বের একটি পোস্টে ও উল্লেখ করেছিল যে বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে থাকার সাহাবাগ একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়,এর ই ফলশ্রুতিতে আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিসিন ক্লাব কতৃক আয়োজিত হয় কেন্দ্রীয় সম্মেলন।এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশের সকল মেডিসিন ক্লাবের সদস্যরা।৩ দিন ব্যাপি চলে সেই অনুষ্ঠান।তবে ৭ই অক্টোবর ঝাঁক ঝমক ভাবে পালিত হয়।সকাল থেকে রাত অব্দি চলে আমাদের অনুস্ঠান ঐদিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়ি এবং সবাই মিলে সেজে গুজে বেরিয়ে পরি।পুরো মেডিক্যাল কে খুব সুন্দর ভাবে সাজানো হয়।এই কাজ গুলো চলে প্রায় ১ সপ্তাহ আগে থেকেই ।আমরা জুনিয়র ও সিনিয়র বন্ধুরা মিলে নানা রকমের আলপনা এঁকে সু সজ্জিত করি আমাদের প্রাণের ক্যাম্পাসকে।কেউ দেয়ালে রং তুলির কাজে ব্যস্ত ,কেউ আবার রং তুলি দিয়ে ভিবিন্ন নকশা তৈরিতে ব্যস্ত। আমার দায়িত্বে ছিল আলপনা। তাই আমি ও আলপনা কাজে সাহায্য করি।নিজে কিছু করে অন্য দের কে ও করার সুযোগ করে দেই।হাতে রং মেখে সবার হাতের ছাপ দিয়ে ও আলপনা এঁকে দেয়ালে
লাগিয়ে রাখি।যখন এই ক্যাম্পাসে আমরা থাকবনা
তখন আমাদের রং তুলিতে আঁকা ছবি গুলো আমাদের হয়ে থাকবে সারা জীবন।
পুরো সপ্তাহ জুড়েই ছিল আমাদের ব্যস্ততা।৫ও ৬ তারিখে ও ক্লাবের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করার জন্য কিভাবে কাজ করতে পারি তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। এবং ৭তারিখ ছিল মূল অনুষ্ঠান। তাই সবাই মিলে সম্মেলন কক্ষে যাই।
আমাদের তৈরি কৃত বিভিন্ন ধরনের নকশার ও আলপনা ছবি তুলি ও অনেক মজা করি।তারপর দুপুরের খাবার শেষ পুনরায় আলোচনা সভায় যাই । আলোচনা সভা চলে রাত পর্যন্ত।
সবাই মিলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহন করি। বিকালে ৫টার দিকে চা বিরতি তে সবাই মিলে মাঠে গিয়ে
বিশাল আকারের বেনার হাতে নিয়ে ছবি তোলে রাখি।২৫ তম বার্ষিক সম্মেলনকে স্মরনীয় করে রাখার জন্য। আমরা সবাই মিলে অনেক আনন্দ করি।পরে সবাই কে বিদায় দিয়ে রুমে চলে আসি রাত ৮ টার দিকে।
Mention the reason why that day is still memorable for you. |
---|
কেন ৭ই অক্টোবর আমার কাছে স্মরনীয় ও বরণীয় তা এখন ব্যাখ্যা করছি। আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী।আর কয়েক মাস পর ইনশাআল্লাহ আমি ফাইনাল পরীক্ষা দিব।তো স্বাভাবিক ভাবেই ঐ দিন টি আমার জীবনে
দ্বিতীয় বার আসার কোন সুযোগ নেই। তাছাড়া আমি
মেডিক্যালে ভর্তি পর থেকে এই মেডিসিন ক্লাবের সাথে জড়িত আছি। আমার প্রানের ক্লাব এই মেডিসিন ক্লাব। তাই আমার কাছে খুব মাহিত্বপূর্ণ এই
দিনটি। আমি যতদিন বেঁচে থাকব ঐ দিনের স্মৃতি মন থেকে মুছে যাবেনা। মনের মনিকোঠায় আঁকা থাকবে চিরকাল। তাই এই দিন এখনো পর্যন্ত আমার কাছে স্মরনীয়।
Share the day from morning to night while describing the reason. |
---|
আমি খুব উত্তেজিত ছিলাম ঐ দিন টির জন্য। তাই অন্যান দিনে থেকে একটু আলাদা ভাবে ই কেটচ্ছে দিন টি।সকালে সবাই মেলে আড্ডায় মেতে উঠেছিলাম আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে কিছু ছবি ও তোলে রেখেছি।এক ফাঁকে নাস্তা ও সেরে নিয়েছিলাম সবাই মিলে। এরপর আলোচনা সভায় যোগ দেই , আলোচনা চলাকালীন সময়ে দুপুরের খাবারের সময় হয়ে যায়। তাই ১ঘন্টার মত বিরতি দেয়।ঐ সময় দুপুরের খাবার খেয়ে ফেলি। দুপুরের খাবারের শেষে সবাই আবার সভায় যোগদেই। অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমাদের সাথে চেয়ারম্যান মহোদয় শেয়ার করেন।যা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিকেলের চা বিরতি তে আবার সবাই আনন্দে মেতে উঠি। পুনরায় সভায় যোগদেই।
সভা শেষে রাত ৭টা দিকে কলেজ গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলে নিলাম।
পরিশেষে সবাই কে বিদায় দিয়ে হল রুমে ফিরে আসি হলরুমে এসে দেখি তখন রাত প্রায় ৮টা বাজে।
অনেক আনন্দ ঘন মূহূর্ত ছিল আমার জন্য ৭ই অক্টোবর ।তাই এই দিনটি আমার জীবনের স্মরণীয় দিন।আমি আমার মতো করে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সর্বপরি মনের যত্ন নিবেন।