"আমার বৃষ্টি মুখর সারা দিনের গল্প" |
---|
Hello,
Everyone,
কেমন আছেন আপনারা সকলে?
আশা করছি প্রত্যেকে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে।
বেশ কিছুটা মন খারাপ নিয়ে আজকের পোস্ট লিখতে বসলাম। সত্যি বলতে লিখতে এতটুকুও ইচ্ছে করছিল না। কিন্তু কমিউনিটির ইউজার হিসেবে এটা আমার প্রতিদিনকার একটা দায়িত্ব।
তাই মন খারাপকে উপেক্ষা করেই, আজকের পোস্ট লিখতে বসলাম। চলুন আজকের দিনটা সকাল থেকে কিভাবে শুরু হয়েছিল, আর সারাটা দিন কিভাবে কাটল, সেই গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করি, -
"আমার সকালবেলা" |
---|
প্রতিদিনকার মতো সেই ৭.৩০ মিনিটে ফোনের অ্যালার্মের শব্দে ঘুম ভাঙলো। গতকাল রাত থেকেই হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছিল, ঘুম ভাঙ্গার পরে বুঝলাম তখনও বৃষ্টি পড়ছে, বুঝলাম সারা রাতই টুপটাপ বৃষ্টি হয়েছে।
ঘরের দরজা খুলে ছাদের দিকে তাকাতেই মনে একটাই প্রশ্ন জাগলো, এখন কি কাল চলছে?
কারণ যখন বর্ষাকাল ছিলো, তখন বৃষ্টি ছিল না। আর এখন শীতকাল অথচ বৃষ্টি দেখে মনে হচ্ছে যেন বর্ষাকাল চলছে। যাইহোক প্রতিদিনের মতন ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে প্রথমে রুটি করে নিলাম। তারপর চা করে শুভকে ডাকতে এলাম।
অফিসে যাবে কিনা এই প্রশ্নটা অন্তত ৪ থেকে ৫ বার করেছি, কারণ আগের দিন ডাক্তারের কাছে নাম লিখিয়ে এসে অফিসে যায়নি। ভাবলাম যদি একবার বলে আজও যাবে না, তখনই আমি আবার শুয়ে পরবো। কিন্তু আমার কপাল এত সুখ সইবে কি করে!
তাই যখন শুনলাম অফিসে যেতেই হবে, সোজা নিচে গিয়ে রান্না বসিয়ে দিলাম।
ব্রেকফাস্ট করে অফিস যাওয়ার জন্য রেডি হয়েছে, তখনই বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে গেলো। দিন কুড়ি আগেই রেইনকোটটা ভালো করে রোদ্রের শুকিয়ে, ভাঁজ করে তুলে রেখেছিলাম, আবার সামনের বছর বর্ষাকালে লাগবে এটা ভেবেই। বুঝতে পারিনি শীতকালেই আবার বর্ষাকাল চলে আসবে। প্রথমে ভেবেছিলাম বৃষ্টি কমে যাবে, কিন্তু না কমার ফলে আবার আলমারি থেকে রেইনকোট বের করলাম, তারপর শুভ অফিসে বেরোলো।
শাশুড়ি মা চা, তাই বললাম আমাকে এক কাপ চা দেয়ার জন্য। ফ্রিজে পাউরুটি রাখা ছিলো, সেটি সেঁকে নিয়ে চা দিয়ে খেয়ে নিলাম ব্রেকফাস্ট হিসেবে। কারণ আজ আর অন্য কিছু খেতে ইচ্ছা করছিল না।
বাইরে তখনও অনবরত বৃষ্টি হচ্ছিলো। আবহাওয়াটা এতো সুন্দর ছিলো যে, ইচ্ছে করছিল আবার শুয়ে পড়ি, কিন্তু কমিউনিটির কাজগুলো করতেই হতো। তাই ঘরের কাজগুলো মোটামুটি সেড়ে নিয়ে কাজ শুরু করলাম।
"আমার দুপুরবেলা" |
---|
ইতিমধ্যে পাশের বাড়ি থেকে একজন মামা তার গাছের পেঁপে নিয়ে এলেন। গাছ পাঁকা পেঁপে তাই উনি আমাদের বাড়িতে একটা দিয়ে গেলেন। যদিও আমি পেঁপে পছন্দ করি না। তবে সকলে বললো, বেশ মিষ্টি ছিলো।
বৃষ্টি মাথায় করেই তিনি পেঁপে দিতে এলেন আমাদের বাড়ি। তাই ওনাকে এক কাপ চা করে দিলাম। তারপর কিছুক্ষণ গল্প করে, তিনি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলেন। ততক্ষণ ঘড়ির কাঁটায় প্রায় দুপুর ১টা বাজে।
যেহেতু আজ বৃহস্পতিবার, তাই পুজো করতে একটু বেশি সময় লাগে, এটা ভেবেই আমি তখন আর কমিউনিটির কাজ করলাম না, সোজা স্নান করতে চলে গেলাম। স্নান সেরে পুজো দিতে বসলাম।
বৃহস্পতিবার যেহেতু লক্ষ্মীবার। তাই পাঁচালী পড়ার একটা বিষয় থাকে, এই কারণে পূজা দিতে একটু বেশি সময় লাগে। পুজো দেওয়া শেষ করে, পিকলুকে লাঞ্চ দিলাম। শশুর মশাইকে অবশ্য আগেই শাশুড়ি মা লাঞ্চ দিয়ে দিয়েছিলেন।
এরপর আমি ও শাশুড়ি মা দুজনে লাঞ্চ শেষ করি। আজকে বাইরের বৃষ্টি দেখে ইচ্ছা করছিল খিচুড়ি খেতে, কিন্তু সকালেই ভাত রান্না করা হয়ে গিয়েছিল বলে, খিচুড়ি করা সম্ভব হয়নি। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সকলেই বিশ্রাম নিলো এবং আমি কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসলাম।
"আমার সন্ধ্যা বেলা" |
---|
সন্ধ্যার দিকে কমিউনিটির কাজের ব্যস্ততা একটু বেশি থাকে। একটু বাদে শুভ অফিস থেকে এলো। ওকে এক কাপ কফি করে দিলাম। ও ঘড়ির ব্যাটারি শেষ হয়ে গিয়েছিল বলে সেটা কিনতে দোকানে যাচ্ছিল, আমি বললাম আমার জন্য একটা চিপস নিয়ে আসতে।
কারণ আমার আজ চিপস খেতে ইচ্ছে করছিল। তাই আসার সময় আমার ফেভারিট চিপসটা নিয়ে এসেছিল, ইদানিং চিপসটা এই আমার খেতে বেশ ভালো লাগে।চিপস খেতে খেতে কমিউনিটির কাজ কিছুটা এগিয়ে নিয়ে, আমি আমার টিম মেম্বারদের সাথে টুর্নামেন্ট বিষয়ক বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছিলাম। ঠিক এর কিছুক্ষণ বাদেই এমন একটা ঘটনা ঘটলো, যেটা একদমই আশা করিনি।
"আমার রাত্রি বেলা" |
---|
সেই সব বিষয় নিয়ে ডিসকর্ডে ইউজার এবং মডারেটরদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা হলো। ততক্ষণে ফোনের চার্জও ফুরিয়ে এসেছে এবং আমার রুটি করার সময় হয়ে গিয়েছিল। এই কারণে ফোনটি চার্জে বসিয়ে আমি রুটি করতে গিয়েছিলাম।
এরপর পিকলুকে ডিনার করিয়ে দিলাম। আমার আর কিছু খেতে ইচ্ছা করছিল না, সেই কারণে আমি রাতে আর কিছুই খাইনি। বাকি সকলের ডিনার হয়ে গেলে, আমি এক প্যাকেট বিস্কুট নিয়ে রুমে চলে এসেছি।যদি খেতে ইচ্ছে করে তাহলে শোয়ার আগে খেয়ে নেবো। এইভাবে দিনটা কেটেছে।
যাইহোক কালকে আবার নতুন দিন। আশা করছি কালকের দিনটা নতুন ভাবে শুরু করব এবং সমস্ত মন খারাপ কাটিয়ে উঠে, আবার স্বাভাবিক জীবন শুরু হবে। আপনাদের সকলের আগামী দিনগুলো ভালো কাটুক, এই প্রার্থনা রইলো। ভালো থাকবেন। শুভরাত্রি।