স্মার্টফোন আসক্তির কারনে ভয়াবহ বিপদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আমরা।

কিছুদিন আগেই কোথায় যেন পড়েছিলাম যে,দেশে প্রতি বারো সেকেন্ডে একটি করে ফেসবুক একাউন্ট খোলা হয়।যা কিনা জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারকেও ছাড়িয়ে গেছে। শুধুমাএ ফেসবুকই না এর তালিকায় ইন্সটাগ্রাম,টুইটার, স্ন্যাপচ্যাট ইত্যাদির মতো অনেক সোশ্যাল মিডিয়াই আছে। আর এসব জনপ্রিয় সব সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবেশ করার একটা অন্যতম বাহন হচ্ছে আমাদের হাতে থাকা মোবাইল ফোন যাকে স্মার্ট ফোন বলা হয়ে থাকে।এসব ফোন একটা পার্সোনাল কম্পিউটার এর চেয়ে কোন অংশে কম শক্তিশালী না।


pixabay

সমস্ত পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে থাকা প্রিয়জনের সাথে যুক্ত রাখার ক্ষেত্রে এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে।এটা শুধু প্রিয় জনের সাথেই যুক্ত রাখে না এর মাধ্যমে আমরা ব্যবসা,পড়শোনার মতো অনেক কিছুই করে থাকি।
এর ব্যবহার বৃদ্ধি একদিকে যেমন আমাদের আর্থিক সক্ষমতার পরিচয় বহন করে অপর দিকে আমাদেরকে আসক্ত করে তুলছে এতে।
একসময় আমি নিজেও আসক্ত ছিলাম এতে। বর্তমানে আমরা এর সাথে এমন ভাবে যুক্ত হয়ে গেছি যে কিছু সময়ের জন্য আমরা এটা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকলেই মনে হয় যে,এইবুঝি অনেক কিছু মিস হয়ে গেল।আর একারণেই নোটিফিকেশন ছাড়াও কিছু সময় পর পর ফোন চেক করা আমাদের অনেকেরই স্বভাবে পরিনত হয়ে গেছে। তবে অভ্যাস ও আসক্তি এক জিনিস না। আসক্তি জিনিসটা হলো এটা আমাদেরকে যেকোনো জিনিসের প্রতি নির্ভরশীল করে তুলে।


pixabay

দিনে কতক্ষন ফোন ব্যবহার করলে সেটাকে আসক্তি বলা যাবে এটা এখনো জানা না গেলেও পাঁচঘন্টার ওপরে হলে সেটাকে বাড়াবাড়ি পর্যায় বলা যায়।
তবে কেউ আসক্ত কিনা এটা বুঝার সবচেয়ে সহজ হলো, কেউ যখন ক্রমশ তেমন কোন কারন ছাড়াই ফোন ব্যবহারের সময় বাড়াতে থাকেন তখনি বুঝতে সে আসক্তির দিকে এগোচ্ছে। আর যখন কারো হাতে ফোন না থাকলে বা নাগালের বাইরে থাকলে অস্থিরবোধ করতে থাকেন বা অনিয়ন্ত্রিত প্রতিক্রিয়া দেখান তখন বুঝতে হবে সে এতে আসক্ত হয়ে পরেছে।
আর এই আসক্তি কারনে মানুষের শারিরীক, মানসিক ও সামাজিক জীবনে প্রভাব পরছে।


pixabay

বিশেষ করে শিশু ও তরুন সমাজই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।আগে দেখা যেত তারা জ্বর, সর্দি,ডাইরিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হতো কিন্তু এখন মাথাব্যথা, চোখের সমস্যা, বিষনতা, ঘুনের সমস্যার, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে তারা।

এসব কারনেই আমাদের সচেতন হবার এখনই সময় । বিশেষ করে শিশু কিশোরেরা কতটা সময় ফোনের পেছনে ব্যায় করছে এবিষয়ে সবার আগে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। তারা এবং নিজেরা যাতে আসক্ত না হয়ে পরে এদিকে খেয়াল রাখতে হবে।এই আসক্তি থেকে আামদের মুক্তি পেতে হবে নিজেদেরকে ভালো রাখার জন্যই।


pixabay


◦•●◉✿ Thanks Everyone ✿◉●•◦

image.png

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
8 Comments