আচ্ছা, এই চ্যালেঞ্জে তো দেওয়া আছে যেকোনো ভাষায় লেখা যাবে!
তাহলে প্রথমবার নিজের মাতৃভাষায় অংশগ্রহণ করে দেখি!
যদিও চ্যালেঞ্জের বিষয়টি নিজের নির্বাচন তথা পোস্ট কমিউনিটিতে নিজের করা!
আরে বাবা তাতে কি যায় আসে?
বাড়ির গরুও মাঝেমধ্যে বাড়ির ঘাস খায়, খিদে পেলে সব খায়!
যাইহোক, সময়ের অভাবে আমি এই সপ্তাহে কোনো কমিউনিটিতে অংশগ্রহণ করতে পারিনি।
তার পিছনের কারণটা আপনারা নিজেরাই সময় হলে জানতে পারবেন।
আপাতত আমার আগমন কমিউনিটিতে যে চ্যালেঞ্জ ঘোষিত তাতে অংশগ্রহণ করে নিজের মান বাঁচানোর। কেনো শোনেননি, 'নেই মামার চাইতে কানা মামা ভালো!'
আর কথা না বাড়িয়ে আপনাদের মাঝে প্রথমবার বাংলায় চ্যালেঞ্জের লেখা তুলে ধরতে চলেছি:- পোস্ট লিঙ্ক
বাংলায় লেখার কারণ যে বিষয়টি নির্বাচন করেছি এই প্রতিযোগিতায়, তার বেশকিছু অনুভূতির মধ্যে দিয়ে আমি বর্তমান সময় পার করছি।
চলুন তাহলে প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে কারণগুলো তুলে ধরি আপনাদের মাঝে।
If you get the opportunity to change your three habits, what are they? and why? |
---|
- প্রথম আমি পরিবর্তন করতে চাই:-
এমনিতে সকলেই আমরা জানি যে, রাগ শারীরিক এবং মানসিক সবদিক থেকেই ক্ষতিকারক। তবে ওই যে, আমরা তো জ্ঞান পাপী, এবং আমি নিজেও তাই! রাগ হলে আমার হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। কাজেই সুযোগ পেলে আগে এটাকেই বিদায় করবো।
রাগের সময় আমার নিজের উপরে একদম কন্ট্রোল(বাংলায় কি বলবো?)থাকে না। আমি ভান করতে পারিনা আর ঠিক সেই কারণে যা মনে, তাই মুখে এটা আসলে বর্তমান সমাজে চলে না। এখানে সাধু সেজে থাকতে পারলে সকলের কাছেই প্রিয় থাকা যায়। কাজেই, আমিও সকলের কাছে প্রিয় পাত্র হতে চাই, আর ঠিক সেই কারণে প্রথম আমার রাগকে পরিবর্তন করে, তেল দেওয়া শিখতে চাই।
- দ্বিতীয় আমি পরিবর্তন করতে চাই:-
আমার স্পর্শকাতরতা:-
মানুষকে বিশ্বাস করে, মনে জায়গা দেওয়ার অভ্যেসটা;
আমাকে ভেতর থেকে বহুবার ভেঙে দিয়ে গেছে।
কেউ এসে নিজের কষ্টের কথা শুনিয়েছে, ভিজে গেছি কথায়! তারপর অন্যের সাহায্যের জন্য হাত পেতেছি আরেক জনের কাছে। যেই পথ চিনে গেছে, সাথে সাথে একরাশ মিথ্যের স্বীকার হতে হয়েছে আমাকে, কত অপমান অকারণে শুনেছি, রোজ চোখের জল ফেলেছি ঈশ্বরের সামনে। তাকে প্রশ্ন করেছি তুমি তো সত্যিটা জানো প্রভু! বিচার করো?
শারীরিক আঘাত দৃষ্টিগোচর হয়, কিন্তু মানসিক আঘাত দৃষ্টিগোচর না হলেও তার যন্ত্রণা কিন্তু ভয়ঙ্কর।
সম্পর্কহীন জীবনে সম্পর্ক গড়তে গিয়ে পেয়েছি শুধু চোখের জল আর অপমান। কাজেই, এখন আমি আর আগের মত থাকতে চাই না। তাই আমার দ্বিতীয় পরিবর্তনশীল স্বভাবে আমি আমার
- অবশেষে আমি পরিবর্তন করতে চাই:-
আমার জেদ
আমি ভীষণ জেদী স্বভাবের। তাই বলে সেটা অন্যের ক্ষেত্রে নয়, নিজের সাথে আমার জেদ, যেমন গতকালের একটা ছোট্ট ঘটনা আমি এখানে লিখেছিলাম, যেখানে উল্লেখিত ছিল লাইট কেনার সময় যখন দোকানের লোকটি ভয় শব্দটি উচ্চারণ করেছিলেন;
তখনই জেদের বশে একপ্রকার লাইট কিনে এনে নিজে সেটাকে সংযুক্ত করেছি।
তবে এই জেদের কারণে আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে ব্যাক্তিগত জীবনে। তাই যদি সুযোগ পাই আমি এই স্বভাবটা পুরোপুরি না হলেও খানিকটা শিথিল অবশ্যই করতে চাই।
How those changing habits can influence your lifestyle and improve your relationships in the personal and professional field? Describe. |
---|
কিছুটা উপরিউক্ত উত্তর দেবার সময় জানিয়েছি, বাকিটা এই প্রশ্নের উত্তরে রইলো আমার প্রিয় বন্ধুদের জন্য।
উদ্দেশ্য মহৎ হলেও যেহেতু আমরা কেউ কারোর মন পড়তে পারি না, তাই অনেকসময় অনেক কথায় সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবার পূর্ণ সম্ভবনা থাকে।
আর আমি নিজের জীবনে আমার সবচাইতে মূল্যবান সম্পর্কগুলো রাগের কারণেই হারিয়েছি।
আমার সোজা সাপটা বলে দেবার অভ্যেসটা আমাকে আমার প্রথম টীম লিডার নীলা দি একবার বলেছিলেন।
তিনি আমাকে বলেছিলেন, সত্যি জেনেও অনেক সময় ক্ষেত্র বিশেষে চুপ করে থাকতে হয়।
পরে আমিও বুঝেছি!
- আর স্পর্শকাতর স্বভাবের কারণে আমি ব্যাক্তি জীবনে ডিপ্রেশনের স্বীকার। এর আগেও জানিয়েছিলাম একটি চ্যালেঞ্জের পোস্টে কোনো কথা যদি আমার মনে লেগে যায় আমি চুপ করে যাই।
কথা বন্ধ করে দিই সকলের সাথে, এবং এর সাথে শুরু হয়ে যায় আমার নিজের মানসিক লড়াই। কাজেই, বাস্তবিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে সমস্ত বিষয় দেখলে সহজে কেউ আঘাত হানতে পারে না মনের উপরে।
অবশেষে,
তবে হিসেব করে জীবন তো চলে না! কাজেই কাজের ক্ষেত্রে সংকল্পতে দৃঢ়তা থাকুক, কিন্তু ব্যাক্তি সম্পর্কে জেদ ক্ষতির কারণ, এটা আমার বাস্তবিক অভিজ্ঞতা থেকে অর্জন করে একে ত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
Do you believe before indicating other mistakes; we should work on our drawbacks? Justify your point. |
---|
একেবারেই তাই হইয়া উচিত। কারণ, আত্মশুদ্ধি সবচাইতে আগে প্রয়োজন। আমি নিজেকে উন্নত না করে অন্যের ত্রুটি নিয়ে সমালোচনা করবো সেটা আমার কাছে অনৈতিক।
যে অন্যায় আমি করছি, সেটা নিয়ে আমার কারোর প্রতি আঙ্গুল তোলার কোনো অধিকার নেই।
তবে, যদি নিজের ভুল থেকে কোনো শিক্ষা সত্যি নিজের বিবেকের খোঁচা খেয়ে শিখে থাকি, সেটা থেকে অন্যদের বিরত অবশ্যই রাখা উচিৎ।
এই পৃথিবীতে খুব কম মানুষ আছেন, যারা নিন্দা শুনতে পছন্দ করেন! 'না' শুনে খুশি হন।
তবে একেবারেই নেই, তেমটাও নয়। আমি সম্পা কে দেখেছি, আরো কিছু ব্যাক্তিকে দেখেছি এবং কিছুক্ষেত্রে মুষ্টিমেয় মানুষের বারণ আমি সাদরে গ্রহণ করি।
জাতকের এক গল্প পড়েছিলাম ছোটবেলায়, যেখানে উল্লেখিত ছিল মানুষ তার নিজের ভুল দেখতে পায় না, কারণ নিজেদের দোষ পিঠে বাঁধা থাকে।
তাই বেশিরভাগ সময় আমরা নিজের পরিবর্তে সামনের মানুষের দোষ ধরতেই অভ্যস্ত।
তবে, পরিশেষে এইটুকু বলতে পারি মানুষ কিছুটা দেখে শেখে, আর বেশিরভাগটাই ঠেকে!
যতদিন জীবন ততদিন শিক্ষা।
তাই রোজ কিছু না কিছু শেখার চেষ্টা করি, আর যতদিন বাঁচবো শেখার চেষ্টা করে যাবো।
আমি মানুষ, তাই ভুলের উর্ধ্বে নই, কাজেই লেখার শেষে ক্ষমাপ্রার্থী সেই সকল মানুষের কাছে যাদের নিজের অজান্তে কখনো হয়তো অকারণে আঘাত করে ফেলেছি।
আজকে এই পর্যন্তই, প্রতিযোগিতার নিয়মানুসারে, আমি আহ্বান জানাতে চাই, @graceleon, @goodybest এবং @suboohi দের।