আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আজকে আমি সবার প্রিয় কমিউনিটিতে ছোট্ট একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হলো:আমার গতদিনের কার্যলিপি নিয়ে।তাহলে বন্ধুরা চলুন আজকের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক:
আপনারা সবাই জানেন আমার গতকাল ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে।আলহামদুলিল্লাহ আমার সবগুলো পরীক্ষা ভালো ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হওয়া মানে মনের ভেতর কতটা আনন্দের অনুভূতি কাজ করে সেটা শুধু যে পরীক্ষা দেয় সেই জানে। গতকালকে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর আমার খুব কয়েকজন কাছের বন্ধু বলে আজকে বাইরে খেতে যাবে। আমিও বললাম তাহলে আজকে রাতে বাইরে খেতে যাব। পরীক্ষা শেষ করে সবাই রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আমরা সবাই মিলে রাতে খাওয়ার জন্য রংপুর শহরের ভিতরে আসি।
সবাই বলেছিল আজকে আমাদের রংপুর শহরের মধ্যে বর্তমান সবথেকে বড় শপিং কমপ্লেক্স RAMC তে খেতে যাবে। তাই আমরা সবাই মিলে RAMC চলে যাই। সেখানে মূলত খাওয়ার রেস্টুরেন্ট বা নাস্তা করার জায়গা ৬ তলায়। আমরা চারজন মিলে সেখানে খেতে গিয়েছিলাম। তাই আমরা লিফটে ছয়তলায় উঠি। তারপর আমি সবাইকে জিজ্ঞেস করলাম যে আজকে কি খাবে। তারপর সবাই মিলে ডিসিশন দিল ডিম চটপটি খাবে। আর মেয়ে মানুষ মানে বোঝাই যায় চটপটি খাবে। তারপর আমরা ডিম চটপট এর অর্ডার দিয়ে দেই। কিছুক্ষণের মধ্যে আমাদের খাবার সার্ভ করে দেয়। আমরা সবাই মিলে ছবি তুলি আড্ডা দেই। আজকে রংপুর শহরের Weather টা একটু ঠান্ডা। আমরা সবাই জানি বর্তমান সব জায়গাতেই আবহাওয়া খারাপ।
আমরা সবাই মিলে সেখানে করে অনেকক্ষণ আড্ডা দেই। সবাই মিলে গল্প করি আমাদের যেহেতু ফাইনাল পরীক্ষা শেষ এখন কে কোথায় গিয়ে চাকরি করব এগুলো নিয়ে কথা হয়েছিল। আসলে পরীক্ষা শেষ হলে যতটা খুশি লাগে তার থেকে আবার বেশি টেনশন হয়। কারণ এখন কর্মজীবনের পথে এগিয়ে যেতে হবে। এগুলো নিয়ে অনেকক্ষণ আমরা কথাবার্তা বলে তারপর সেখান থেকে খাবারের বিল দিয়ে বের হই। আমরা বাইরে এসে অনেকগুলো ছবি তুলি। আসলে এভাবে রাতের বেলা ডিম চটপটি খাওয়ার মজাটাই আলাদা। বর্তমানে রংপুরের মধ্যে এই RAMC শপিং কমপ্লেক্স সব থেকে বড়। এখানে এমন কোন জিনিস পাওয়া যায় না এরকম নেই বললেই চলে। আমরা সবাই অনেকক্ষণ আশেপাশে ঘোরাঘুরি করে তারপর রুমে আসার জন্য বের হই।
হালকা ঝিমঝিম করে বৃষ্টি পড়েছিল তাই আমরা একটা রিক্সা নিয়ে সোজা আমাদের ছাত্রাবাসার দিকে রওনা হই।আমাদের সাথে যেহেতু মেয়ে দুজন ফ্রেন্ড ছিল, আর যেহেতু রাত হয়ে গেছে তাই আমরা তাদেরকে কলেজ হোস্টেলে উঠিয়ে দিয়ে আসি। তারপর আমি রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে রাতের খাবার খেয়ে নেই। আমার যেহেতু পরীক্ষা শেষ তাই আর পড়াশোনার কোন চাপ নেই। খাওয়া শেষ করে সবার সাথে একটু আড্ডা দিয়ে আমি ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি নেই। তারপর ঘুমিয়ে যাই।