প্রায় দশদিন পর কাল বাড়িতে এসেছি৷ প্রিয় মানুষ এবং প্রিয় সখগুলোর সাথে দেখা হয়েছে৷ এতদিনের জমানো আকাঙ্খাগুলো যেন গতকাল পূরণ হয়েছে। আগামী মাস থেকে মিডটার্ম এক্সাম শুরু হবে, এবং আগামী সপ্তাহ থেকে ক্লাস প্রেজেন্টেশন ও অ্যাসাইনমেন্ট শুরু হয়ে যাবে, বলতে পারেন মোটামুটি চাপে থাকতে হবে ঐ কয়টা দিন। তাই বাড়িতে যাওয়ার সুযোগ থাকবে না, এজন্য এসপ্তাহে বাড়ি থেকে ঘুরে যাওয়া নিছক মন্দ হবে না। যাইহোক, কাল রাতে এসে পৌঁছেছি বাসায়,এসে একটু ফ্রেস হয়ে বাহিরে বের হয়েছিলাম কিছু বন্ধুর সাথে দেখা করার জন্য।
বন্ধু-বান্ধবের সাথে অনেকদিন পর দেখা হলে কি কথার কোনো শেষ থাকে, এগল্প ওগল্প এসব করেই রাত প্রায় ১০ টা। তারপর সবাইকে বিদায় জানিয়ে বাসায় এসেছিলাম।আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে হালকা নাস্তা করে ছাদে গিয়ে গম দানা ছিটেয়ে আ আ করে ডাক দিতেই আমার সেই চিরচেনা সখগুলো হুমড়ি খেয়ে পড়ল আমার সামনে। মনে হলো খুবই ক্ষুধার্ত তারা,হয়তো বেশ কয়েকদিন হলো তৃপ্তি সহকারে খেতে পায়নি ওরা। খাবার হাতে নিয়ে আ আ করে ডাক দিলে আমার হাতের উপরে বসে খাবার খায় ওরা। একটু একটু ভয়ও পায়।আজ হয়তো ওদের পেটপুরে খাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। ওদের খাবার খেতে দিয়ে আমি খোপগুলো চেক করলাম এবং দেখলাম কিছু কবুতরের বাচ্চা অনেক বড় হয়েছে এবং কিছু কবুতর ক্যাবল ডিম দিয়েছে।
ফুটফুটে বাচ্চাগুলো দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে৷ আমি বের করেছিলাম বাচ্চাগুলো,এবং কিছু ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।আমার ধারণাই সত্য, আমার অবর্তমানে কবুতরের খোপগুলোতে প্রচুর ময়লা জমে গেছে,পানির পাত্রটা শ্যাওলায় ছেয়ে গেছে।
যাইহোক,এবাবের বাচ্চাগুলোর স্বাস্থ্য ছিলো দেখার মতো। একথা এজন্যই বল্লাম যে আগের বাচ্চাগুলো বড় হতে হতে একসময় স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতো এবং কিছু বাচ্চা মারাও যেতো।এবার আমি না থাকাতেও এগুলোর গ্রোথ অনেক ভালো হয়েছে।সকল প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার।
প্রিয় মানুষ এবং প্রিয় সখগুলোর সাথে একান্ত আলাপন শেষে আবারও ফিরতে হবে।আগামী শনিবার প্রেজেন্টেশন আছে, এজন্য প্রচুর পরিমাণ পড়তে হবে। অনেকদিন পর বাড়িতে এসে কেনো যেনো পড়াশোনার পরিবেশ পাচ্ছি না এখানে। কিছুতেই পড়ায় মন বসাতে পারছি না। হয়তো কাল আবার রাজশাহী চলে যেতে হবে। কারণ, বন্ধুদের সাথে গ্রুপ স্ট্যাডি করতে হবে। কিছু বিষয়ে আমার একটু জানার কমতি আছে। আমি মনে করি গ্রুপ স্ট্যাডি করলে বিষয়গুলো ক্লিয়ার হবে আমার৷
আজ এপর্যন্তই। সবার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।