নাটক রিভিউ // জুবায়ের ইবনে বকরের "সুপারভাইজার" নাটকের রিভিউ।

আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও আল্লাহর মেহেরবানীতে ও আপনাদের দোয়ায় বেশ ভাল আছি। আসলে পড়ালেখার ব্যস্ততার কারণে এখন তেমন একটা নাটক সিনেমা দেখাই হয় না। তবে আমি আজকে যে নাটকটি রিভিউ দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছি এই নাটকটি অনেক শিক্ষনীয় একটি নাটক। এ নাটকের যারা অভিনয় করেছেন সবাই আমার খুব প্রিয়। এই নাটকের প্রধান চরিত্রে মোশারফ করিম ও তানিয়া বৃষ্টি আমার খুবই প্রিয় অভিনেতা অভিনেত্রী। যখনই সুযোগ পাই তাদের নাটকগুলো আমি খুব স্বাচ্ছন্দে দেখে থাকি আমার কাছে এই দুইজনের অভিনয়টা অনেক অনেক ভালো লাগে। আসলে মানুষ বেধে যেরকম একটা ভিন্নতা আছে তেমনি প্রতিটা মানুষের অভিনয় ক্ষেত্রে অনেক ভিন্নতা রয়েছে সেই ভিন্নতার মাঝে এই দুইজনের অভিনয় গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।

Screenshot_2023-08-23-12-56-02-636_com.google.android.youtube.jpg

তাহলে চলুন বন্ধুরা নাটকটি রিভিউ আকারে দেখে আসবেন। অবশ্যই এই রিভিউ দেখার পর আপনারা নাটকটি ইউটিউবে দেখে নেবেন।

নাটক রিভিউ
নাটকের নামসুপারভাইজার
রচনা ও পরিচালনায়জুবায়ের ইবনে বকর
গল্পরাখি চৌধুরী
অভিনয়েমোশারফ করিম, তানিয়া বৃষ্টি, রাখি চৌধুরী, জাবেদ গাজী, সেজুতি খন্দকার, ফাতেমা হেরা ও সাজ্জাদ চৌধুরী সহ আরো অনেকে।
সময়কাল৪৮:৩৩ মিনিট।
কাহিনী সংক্ষেপ

Screenshot_2023-08-23-12-51-14-083_com.google.android.youtube.jpg

Screenshot_2023-08-23-12-50-46-748_com.google.android.youtube.jpg

Screenshot_2023-08-23-13-03-18-559_com.google.android.youtube.jpg

নাটকের শুরুতে দেখা যায় সুপারভাইজার মোশারফ করিম ওরফে আকাশ মোল্লা সেই গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি বাইরে দাঁড়িয়ে মোবাইল করছে, মোবাইল করছে সে তানিয়া বৃষ্টি ওরফে কুলসুম বেগমকে। কিন্তু কুলসুম বেগম বারবার তার মোবাইল কেটে দিচ্ছে কারণ সে ওই মুহূর্তে কাজ করছিল। এদিকে আকাশ মোল্লা একজন সহকারী ছিল সেই দৌড়ে এসে তাকে বলছিল যে তার ফ্যাক্টরির কাজের সমস্যা আর সেজন্য কয়েকজন ওয়ার্কার লাগবে এবং সে তাকে তার মোবাইলে থাকা যেসব মেয়েদের নাম্বার রয়েছে সেগুলোকে ফোন দিতে বলেন তাদেরকে আসতে বলতে বলে। এরমধ্যেই কুলসুম বেগম দৌড়ে এসে তাকে বলতে লাগলো কেন সে বারবার ফোন দিচ্ছে? তখন আকাশ মোল্লা বলল তাকে দেখতে ইচ্ছে করছিল কথা বলতে ইচ্ছে করছিল তাই ফোন দিচ্ছিলাম। তারপর সেখানে তারা কিছু রোমান্টিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করে এরপর কুলসুম বেগম আবার তার কাজে ফিরে যায়।

Screenshot_2023-08-23-13-04-23-697_com.google.android.youtube.jpg

Screenshot_2023-08-23-13-06-52-114_com.google.android.youtube.jpg

Screenshot_2023-08-23-13-13-09-561_com.google.android.youtube.jpg

আকাশ মোল্লা যখন তার কাজের জন্য ফ্যাক্টরির ভিতরে যায় তখন সবগুলো মেয়ে তার প্রতি দুর্বলতা প্রকাশ করে এবং তার সাথে অনেক রোমান্টিক রোমান্টিক কথা বলে এগুলো দেখে কুলসুম সহ্য করতে পারে না। না পারার কারণ হলো কুলসুম বেগম হচ্ছে মোশারফ করিমের বিবাহিত স্ত্রী। কোন স্ত্রী তার স্বামীকে মেয়েদের সাথে এসব রোমান্টিক বিষয় নিয়ে কথা বলা পছন্দ করবে? তারপর গার্মেন্টসের একটি মেয়ে নাম তার খাদিজা সে মোশারফ করিমের জন্য পাঙ্গাস মাছের পেডি ভুনা করে নিয়ে আসে সেটা শুনে আকাশ মোল্লা অনেক খুশি হয়ে যায় এবং সে দুপুরবেলায় খাবে বলে তাকে নিশ্চিত করে। দুপুরবেলা যখন মোশারফ করিম ও তার সহকারী খেতে বসলো তখন খাদিজা তার রান্না করা মাছের পেডি মোশারফ করিমকে খেতে দেয় কিন্তু তার সহকারীকে শুধু ঝোল আর আলু দিয়ে দেয়। মাছ না দেওয়াতে এসে রেগে যায় আকাশ মোল্লা বিষয়গুলো দেখে হাসতে থাকে। এরই মধ্যে খাদিজা চলে যায় তখন আরেকটি মেয়ে এসে গরুর মাংস নিয়ে আসে এবং সেগুলোকে সুপারভাইজার আকাশ মোল্লাকে খেতে দেয় এবং সে বলে পাঙ্গাস মাছ মানুষের খায় এই মেয়েটি ও আকাশ মোল্লার সহকারীকে মাংস দেয় না শুধু ঝোল আর আলু দেয় তখন মেয়েটি তাকে বলে এগুলো কি আমি তোমার জন্যে এনেছি এগুলো আমি এনেছি আকাশ ভাইয়ের জন্য। আর এই বিষয়গুলো আকাশ মন্ডল দেখে হাসতে থাকে।

Screenshot_2023-08-23-13-14-15-440_com.google.android.youtube.jpg

Screenshot_2023-08-23-13-15-11-898_com.google.android.youtube.jpg

কিছুক্ষণের মধ্যেই তার স্ত্রী কুলসুম বেগম তাদের খাওয়ার টেবিলের এসে হাজির হয়, সে এগুলো দেখে কোন ভাবে সহ্য করতে পারছিল না। তখন সে বলেছে তরকারিতে লবণ কম হয়েছে কথা বলে পুরো লবনের বাটি আকাশ মোল্লার পাতে ঢেলে দেয় এতে করে আকাশ মোল্লার খাওয়াটা নষ্ট হয়ে যায়। এগুলো দেখে মেয়ে দুইটা সহ্য করতে পারছি না কারণ তারা জানে না যে সে আকাশ মোল্লার স্ত্রী তখন তারা তিনজনে সেখানে হাতাহাতিও একপর্যায়ে মারামারি লেগে যায়। আর এই বিষয়গুলো আকাশ মোল্লা দূর থেকে দেখে হাসতে থাকে এবং সেখান থেকে তাদেরকে কিছু না বলে চলে যায়। যখন অবিশ্বাস করে আকাশ মোল্লা বাসায় গেল তখন কুলসুম তাকে বাসায় ঢুকতে দিচ্ছিল না। তাকে অনেক রাগারাগি করল এবং কোন ভাবেই সে সহ্য করতে পারছে না তার এই আচরণ। তারপর আকাশ মোল্লা সে তার দক্ষতা দিয়ে বুদ্ধি খাটিয়ে কুলসুম বেগমকে পুরো বিষয়টা বুঝিয়ে বলে এবং তাকে এখানে চাকরি না করার জন্য বলে কিন্তু সে কোনভাবেই রাজি হয় না। তারপর সে আর এরকম করবে না বলে তাকে শান্ত করে এবং পরের দিন আবার তারা অফিসে চলে যায়।

Screenshot_2023-08-23-13-37-14-829_com.google.android.youtube.jpg

Screenshot_2023-08-23-13-39-53-024_com.google.android.youtube.jpg

Screenshot_2023-08-23-13-39-57-737_com.google.android.youtube.jpg

Screenshot_2023-08-23-13-40-36-002_com.google.android.youtube.jpg

অফিসের সিঁড়ির সামনে আকাশ মোল্লা ও তার সহযোগী দাঁড়িয়ে কথা বলছিল ঠিক ওই মুহূর্তে একটি মেয়ে আকাশ মোল্লার পেছন থেকে চোখ ধরে ফেলা এবং তাকে বলতে বলে যে কে সে তাকে চিনে কিনা? এখন আকাশ মোল্লা তাকে রোমান্টিক সুরে কথা বলতে থাকে এবং সে তার চোখ ছেড়ে দেয় এবং তাকে অনেক পছন্দ করে বলে জানায় সেজন্য সে তার জন্য তার স্বামীকে দিয়ে একটি শার্ট কিনে এনেছে এবং সেই শার্টটি আকাশ মোল্লাকে দিয়ে বলে এটা তোমার জন্য এনেছি। তখন আকাশ মোল্লা তাকে বলে যে তোমার স্বামী কিছু বলেনি শার্ট কার জন্য? তখন মেয়েটি বলল সে বললেই কি না বললেই কি। তখন আকাশ মোল্লার সহকারি এ বিষয়গুলো দেখে তাকে গুরু বলে সালাম করলো। আর এই বিষয়গুলো একটু দূর থেকে কুলসুম বেগম সবগুলো দেখে ফেলে এবং সে আবারো অনেকটা রেগে যায়। কুলসুম বেগম যে তাদের এই কথোপকথনগুলো শুনে ফেলেছে সে আগেই বুঝতে পেরেছে আর সেজন্যই বাসায় যাওয়ার সময় তার জন্য একটা থ্রি পিস কিনে নিয়ে যায়।

Screenshot_2023-08-23-13-41-26-679_com.google.android.youtube.jpg

Screenshot_2023-08-23-13-41-36-188_com.google.android.youtube.jpg

Screenshot_2023-08-23-13-42-20-126_com.google.android.youtube.jpg

Screenshot_2023-08-23-13-42-26-525_com.google.android.youtube.jpg

আকাশ মোল্লা যেটা চিন্তা করছে সেটাই হয়েছে এবং তার স্ত্রী তাকে বাসায় ঢুকতে দিচ্ছিল না সে অনেক ক্ষেপে রয়েছে তার এই কর্মকাণ্ডগুলো দেখে। তখন সে তাকে অনেক বোঝালো এবং তার জন্য যে একটি থ্রি পিস কিনে এনেছে সেটা তাকে উপহার দিল এতে করেই তার স্ত্রী কুলসুম বেগমের মনটা গলে গেল এবং সে তাকে বাসায় ভিতরে নিয়ে হাতমুখ ধুয়ে খেতে বলল। পরের দিন আবার অফিসে ঘটনা সেখানে আকাশ মোল্লা বসে চা খাচ্ছিল একটি মেয়ে সেখানে গেল এবং তার জন্য একটা উপহার এনেছে সে নিজের হাতে একটি রুমাল বানিয়ে এনেছে সেটা সে মোশারফ করিমকে দেখালো এবং সে অনেক খুশি হয়ে তাকে অনেক রোমান্টিক কথা বলল। এ বিষয়টা দেখে কুলসুম বেগম কাছে আসলো এবং কেন তাকে এগুলো দিচ্ছে বা কেন তার সাথে এরকম করছে মেয়েটির সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু করলো। এরপর কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা দুজনে আবার হাতাহাতি থেকে মারামারি পর্যায়ে চলে গেল। কিন্তু মেয়েগুলো বুঝতে পারছে না যে আকাশ মোল্লার সাথে কথা বললে এই মেয়েটার মানে কুলসুম বেগমের কি সমস্যা সে কেন এমন করছে? তাদের মনের প্রশ্নই রয়ে গেল।

Screenshot_2023-08-23-13-42-47-415_com.google.android.youtube.jpg

এদিকে আবারো তারা বাসায় গেলে কুলসুম বেগম এই বিষয়টা নিয়ে অনেক ক্ষেপে থাকে। আকাশ মোল্লা আবারো তার বুদ্ধি দিয়ে তাকে শান্ত করে এরপর সে খেতে বসে। খাওয়া অবস্থায় কুলসুম বেগম খুব হাসিমুখে তাকে বলে সে একটা কথা বলবে তখন আকাশ মোল্লা বলল তোমার হাসি মুখে কোথায় নিশ্চয়ই কোন কিন্তু আছে ঠিক আছে কি চাও বলো। তখন কুলসুম বেগম বলে চলো একটা সিনেমা দেখে আসি তখন আকাশ মন্ডল তার সাথে সিনেমা দেখতে রাজি না হওয়ায় কুলসুম বেগমের হাতে থাকা একটা বাটি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে এতে করে আকাশ আহত হয় এবং তার মাথার ব্যান্ডিস করা হয়।

Screenshot_2023-08-23-13-49-36-894_com.google.android.youtube.jpg

Screenshot_2023-08-23-13-53-57-429_com.google.android.youtube.jpg

Screenshot_2023-08-23-13-56-37-364_com.google.android.youtube.jpg

এদিকে আকাশ মোল্লার সহকারি আকাশ মোল্লার এই বিষয়গুলো দেখে সে নিজেও কিছুটা মেয়েদের সাথে রোমান্টিক কথা বলতে যায় এবং একটি মেয়েকে সে লিপস্টিক গিফট করে কিন্তু মেয়েটি তার সাথে কোন রকম কথা বলতে রাজি না হওয়ায় সেখানে মেয়েটিকে অপমান করে এবং তার পলি লাগবে বললেই সে তার উপর অনেক রেগে যায় এবং সেজন্য তার শরীরের পলি খোঁজার বাহানা করে মেয়েটিকে টাচ করার চেষ্টা করে। আর এই বিষয়গুলো আশেপাশের অন্যান্য মেয়েরা দেখে তারপর সেখানে এসে আকাশ মোল্লার সহকারীকে উত্তম মাধ্যম দিয়ে দেয়। এগুলো দেখে আকাশ মোল্লা সেখানে আসে এবং সে তাদেরকে শান্ত হতে বলে আর এ বিষয়টি সে দেখবে এবং তার উপযুক্ত শাস্তি ব্যবস্থা করবে এটা বলে তাদেরকে আশ্বস্ত করে।

Screenshot_2023-08-23-13-58-13-624_com.google.android.youtube.jpg

Screenshot_2023-08-23-14-20-16-281_com.google.android.youtube.jpg

এদিকে আকাশ মোল্লা যে ফ্যাক্টরিতে চাকরি করে তাদের বস ফ্যাক্টরিতে আসে এবং তাদের উপরে কর্মকর্তাদেরকে অনেক রাগারাগি করতে থাকে প্রোডাকশন হচ্ছে না শিপমেন্ট ঠিকমতো যাচ্ছে না এসব নিয়ে। সেখানে আকাশ মোল্লা উপস্থিত হয় এবং সেই অবস্থা তাকে দেখে সেসব উদ্বোধন কর্মকর্তাকে বলে তার কাছ থেকে শিখো সে কতটা পরিশ্রম করে, সে না থাকলে আমার ফ্যাক্টরি আজ বন্ধ হয়ে যাবে, এগুলা বলে তাদেরকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। এদিকে আকাশ মোল্লা এই সুযোগে তার অনেক কষ্ট হয় এবং সে তার সেলারি কম এই স্যালারিতে তার সংসার চালানো দায় এগুলো বলে তার স্যালারি বাড়ানোর জন্য রিকোয়েস্ট করে। তখন তার বস তাকে সব রকম সহযোগিতা এবং স্যালারি বাড়াবে আশ্বস্ত করে।

Screenshot_2023-08-23-14-32-26-852_com.google.android.youtube.jpg

Screenshot_2023-08-23-14-34-03-961_com.google.android.youtube.jpg

Screenshot_2023-08-23-14-34-08-921_com.google.android.youtube.jpg

এরপর যে ঘটনাটি ঘটলো সেটি হল সবাই বলাবলি করছে আজকে তাদের সেলারি দিবে তো সেজন্য একজন বলছে সে আকাশ মোল্লার জন্য বড় একটা পাঙ্গাস মাছ আর একজন বলছে সে তার জন্য শার্ট কিনবে একেক জন একেক কথা বলা দেখে কুলসুম বেগম তাদেরকে থামিয়ে দাঁড়িয়ে সবার উদ্দেশ্যে বলল যে সে আকাশ মোল্লার স্ত্রী আজকে সেলারি পেলে সে তাকে নিয়ে সিনেমা দেখতে যাবে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাবে। এগুলো শুনে অন্যান্য মেয়েরা তো অবাক হয়ে গেল। এরপর খাদিজা নামের যে মেয়েটি ছিল সে তো একেবারে মাথা ঘুরে পড়ে গেল এবং সবাই তাকে ধরে উঠিয়ে পানি টানে ছিটিয়ে জ্ঞান ফেরালো। তারপর যখন আকাশ মোল্লা ফিরে আসলো তখন সবাই তার দিকে অনেক বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে রইল। তখন আকাশ মোল্লা বলল তোমাদের কি সমস্যা? সবাই এভাবে তাকিয়ে আছো কেন? অবস্থার অবনতি দেখে আকাশ মোল্লা দ্রুত হেঁটে চলে যাচ্ছিল ওই সময় মেয়েরা পিছন থেকে উঠে তার পিছনে পিছনে দৌড়ে ছুটতে লাগল তাকে ধরার জন্য। আকাশ মোল্লা কোনরকম দৌড়ে একটা রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিল। তখন কুলসুম বেগম এসে তাকে ভিতর থেকে বের করে আনবে বলে তাদেরকে সরিয়ে এসে ভিতরে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিল। তারপর তারা সেখানে বসে একজন আরেকজনকে কথা দিল সে আকাশ মোল্লা তাকে বলল সে আর এরকম কখনো করবে না তাকে এদের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য। তখন কুলসুম বেগম তাদেরকে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তাকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে দৌড়ে ফ্যাক্টরি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে এই মুহূর্তেই আমরা নাটকটির শেষ দেখলাম।

Screenshot_2023-08-26-17-34-35-091_com.google.android.youtube.jpg

Screenshot_2023-08-26-17-34-40-981_com.google.android.youtube.jpg

Screenshot_2023-08-26-17-35-28-110_com.google.android.youtube.jpg

Screenshot_2023-08-26-17-35-40-321_com.google.android.youtube.jpg

বিঃদ্রঃ সকল ছবি মোবাইলে স্ক্রিনশট নেওয়া।

নিজস্ব মতামত
এই গল্পটি মূলত একজন গার্মেন্টস সুপারভাইজারকে নিয়ে নির্মিত। এখানে গার্মেন্টসের শ্রমিকদের নিয়ে সেভাবে কিছু তুলে ধরা হয়নি। একজন সুপারভাইজার কিভাবে তার দায়িত্ব পালন করে থাকে বিশেষ করে গার্মেন্টস সেক্টরে সেটাই মূলত তুলে ধরা হয়েছে। তবে এখানে তার সঠিক কাজকর্মগুলোকে তুলে ধরা হয়নি, শুধু বিনোদনের চিন্তায়ই করা হয়েছে এই নাটকে। আসলে গার্মেন্টস সেক্টরের গুলাতে এ বিষয়গুলো ঘটে কিনা তা আমার জানা নাই, তবে এই নাটকে দেখে বিষয়টা খুব একটা ভালো লাগেনি কারণ প্রত্যেকটা মানুষেরই নিজস্ব কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য থাকে তবে আমি মনে করি এই ক্ষেত্রে সকল সুপারভাইজার একই রকম নয়, কিছু কিছু থাকতে পারে ভালো মন্দ সব জায়গায় আছে। তবে এখানে মন্দটাকে তুলে ধরা হয়েছে পাশাপাশি ভালো কোন সুপারভাইজারের বিষয়টি তুলে ধরা হতো তাহলে আরো বেশি ভালো লাগতো। নাটকটা অনেকটা হাসাহাসি দেখে কিন্তু অনেকটা হেসেছি কিছু কিছু ক্ষেত্রে। এই নাটকে আকাশ মোল্লার সহকারীর অভিনয় অনেক ভালো হয়েছে হয়েছে। তবে নাটকের যেটা বেশি ফুটে উঠেছে সেটা হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর যে ভালোবাসা। স্ত্রীর প্রতি স্বামীর যে ভালোবাসা সেটাই বেশি ফুটে উঠেছে। এবং সে যে কারো সাথে তার স্বামীকে কথা বলা বা রোমান্টিক বিষয়ে কথা বলা বা ঠাট্টা করা এগুলো সে কোনভাবেই সহ্য করতে পারছে না। আমি মনে করি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটাই স্বাভাবিক কোন স্ত্রী তার স্বামীকে এভাবে দেখাটা বা দেখে স্থির থাকতে পারবে না।

রেটিংস
১০/৭
-
নাটকের ইউটিউব লিংক

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
15 Comments