স্ক্রিনশট ইউটিউব থেকে নেওয়া হয়েছে
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগ এর সকল বন্ধুদের শুভেচ্ছা। আজ বিনোদন পর্বে আমি আপনাদের মাঝে একটি চমৎকার নাটক রিভিউ করার জন্য উপস্থিত হয়েছি। নাটক দেখতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে এবং আমি নাটক রিভিউ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি। তাই আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের জন্য আমি আজকে একটি নাটক রিভিউ করছি। নাটকের নাম এক নজর না দেখিলে তারে। নাটকটি উপভোগ করার জন্য পড়তে থাকুন আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
|
---|
নাটকের নাম | এক নজর না দেখিলে তারে |
---|---|
পরিচালনা ও লেখক | মুহাম্মদ মিফতা আনাম |
অভিনয়ে | মুশফিক আর ফারহান, ও সাদিয়া আইমান |
সময় | ৪৩ মিনিট |
ভাষা | বাংলা |
চ্যানেল | সুলতান এন্টারপ্রাইজ |
কালার | আরিফিন সরকার |
|
---|
স্ক্রিনশট ইউটিউব থেকে নেওয়া হয়েছে
নাটকটির শুরুতেই আমরা দেখি মুশফিক আর ফারহান একজন পাগল। তাই সে যখন রাস্তায় বের হয়েছিল রাস্তায় অনেক ছেলে-মেয়ে তার পিছু লেগেছিল এবং তাকে পাগল পাগল চিৎকার করে শব্দ করেছিল। তবে ফারহান ওই ছেলেমেয়েদেরকে বোঝাতে চেয়েছিল আমি পাগল না, তোরা সবাই পাগল।
এক সময় ফারহান তার পাশের বাসার এক ভাবীর কাছে গিয়েছিল এবং কিছু খাবার চেয়েছিল। অবশেষে ওই ভাবী তাকে খাবার না দিয়ে বাথরুম পরিষ্কার করার কথা বলে। অবশেষে ফারহান বাথরুম পরিষ্কার করে দিয়েছিল কিন্তু তারপরেও তাকে খাবার দিয়েছিল না।
স্ক্রিনশট ইউটিউব থেকে নেওয়া হয়েছে
এরপর ফারহান রাস্তায় কিছু ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে ঝালমুড়ি চেয়েছিল। তবে মেয়েগুলো ফারহানকে বলেছিল ফারহান যদি তাকে বিয়ে করতে চাই তাহলে তাকে ঝালমুড়ি খাওয়াবে। অবশেষে ফারহান ঝালমুড়ি খাওয়ার জন্য তাকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছিল কিন্তু তারা তাকে ঝালমুড়ি দিয়েছিল না। অবশেষে ওই মেয়েগুলো রাস্তায় কিছু এলাকার বড় ভাই ডেকেছিল এবং ফারহানকে প্রচন্ড মারধর করেছিল।
তখন মাইক্রো বাস থেকে একজন ভদ্রমহিলা বের হয়েছিল এবং কেন তাকে মারছিল সে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য এসেছিল ফারহানের কাছে। অবশেষে ফারহানকে দেখে ওই ভদ্রমহিলা আশ্চর্য হয়েছিল। কারণ ফারহান ছিল ওই ভদ্র মহিলার একজন প্রিয় মানুষ। এখানে আমরা নাটকটিতে বেশ কিছু কল্পনায় চলে গিয়েছিলাম।
স্ক্রিনশট ইউটিউব থেকে নেওয়া হয়েছে
ফারহান এর গ্রামে নাম ছিল হৃদয়। হৃদয় ফুটবল খেলায় অনেক পারদর্শী ছিল। বিশেষ করে এ গ্রাম ও গ্রাম ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়েছিল এবং ফারহান যে গ্রামে হয়ে খেলেছিল সেই গ্রাম জিতে গিয়েছিল।
কিন্তু ফারহানের সামনে একজন চমৎকার সুন্দরী মেয়ে দেখেছিল এবং ফারহান ওই মেয়ের প্রেমে পড়েছিল। প্রেমে পড়ার পর সে গোল দিতে পেরেছিল না এবং সে তাকে দেখে পৃথিবী ভুলে গিয়েছিল।
স্ক্রিনশট ইউটিউব থেকে নেওয়া হয়েছে
অবশেষে ওই মেয়ের নাম ছিল আফরিনা। ফারহান তাদের বাসার কাছে গিয়েছিল এবং রাত্রে তার সাথে দেখা করতে গিয়েছিল। তবে আফরিনা অনেক ভয় পেয়েছিল ফারহানকে দেখে এবং তাকে খুব দ্রুত তাদের বাসা ত্যাগ করতে বলেছিল।
অবশেষে ফারহান আফরিনার জন্য রাস্তায় অপেক্ষা করছিল। তবে আফরিনা তাকে জানিয়ে ছিল এত সাহস থাকলে তাদের বাসায় গিয়ে প্রপোজ করতে।
স্ক্রিনশট ইউটিউব থেকে নেওয়া হয়েছে
স্ক্রিনশট ইউটিউব থেকে নেওয়া হয়েছে
এরপর ফারহান আফরিনাকে দেখার জন্য তাদের বাসায় গিয়েছিল। বাসায় গিয়ে আফরিনার সঙ্গে গোপনে প্রেমের আলাপ করছিল এবং এমন সময় হঠাৎ করেই আফরিনার ছোট ভাই তাকে দেখে ফেলেছিল। বিষয়টি তার বাবার কাছে জানিয়েছিল এবং তার বাবা অত্যন্ত উত্তেজিত এবং রাগান্বিত হয়েছিল। রাগান্বিত হয়ে তার ছোট ভাইকে চড় মেরেছিল এবং আফরিনার জন্য পাত্র খুঁজতে বের হয়েছিল।
অপরদিকে তার ছোট ভাই এলাকার বড় ভাইদেরকে ডেকেছিল এবং ফারহানকে অনেক মার দিয়েছিল। তখন ফারহান আফরিনাকে তার সাথে যেতে বলেছিল। তবে আফরিনা বাধ্য হয়ে ফারহানকে বলেছিল আমি তোমাকে ভালোবাসি না।
এই কথা শুনে ফারহান বেশ কান্নায় ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু কিছুই করার ছিল না। আফরিনা যদি তাকে ফিরিয়ে না দিত তাহলে ফারহানকে তার বাবা মেরে ফেলবে বলেছিল।
স্ক্রিনশট ইউটিউব থেকে নেওয়া হয়েছে
এদিকে ওই দিনের ঘটনার দুই দিন পর আমরা দেখেছি, আফরিনার বিয়ে ঠিক হয়েছে। কিন্তু ফারহান এসে আফরিনাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছিল। কিন্তু আফরিনা ফারহানের সাথে কোন রকমেই যেতে রাজি না। কারণ সে যদি ফারহানের সাথে যাই তাহলে তার বাবা ফারহানকে হত্যা করার জন্য হুমকি দিয়েছিল। অবশেষে ফারহানকে তার ছোট ভাই মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে এবং সে বাসায় চলে গিয়েছিল।
স্ক্রিনশট ইউটিউব থেকে নেওয়া হয়েছে
এদিকে আমরা নাটকের প্রধান চরিত্র আফরিনার বিয়ে সম্পূর্ণ হতে দেখি। বিয়ে হবার পর আফ্রিনা তার শ্বশুর বাড়ি চলে গিয়েছিল এবং এদিকে ফারহান পাগল হয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
স্ক্রিনশট ইউটিউব থেকে নেওয়া হয়েছে
স্ক্রিনশট ইউটিউব থেকে নেওয়া হয়েছে
বেশ কয়েক বছর পর যখন রাস্তায় ওই ফারহানকে পাগল বেশে দেখেছিল তখন আফরিনা বেশ কষ্ট পেয়েছিল। কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে আফরিনা ও ফারহানের মাঝে। তবে সমাজের নীতি নীতি মেনে ফারহানকে দেখে চোখের জল ফেলে আফরিনা তার স্বামীর বাড়িতে চলে গিয়েছিল এবং এখানে নাটকের সমাপ্তি হয়েছিল।
|
---|
আসলে পৃথিবীতে প্রেম বড় স্বার্থপর। একজন প্রেম করে রাস্তায় পাগল হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে অপরজন বিলাসবহুল বাড়িতে সুখের সংসার করছে। আসলে এটাই পৃথিবীর বাস্তব রীতি। প্রেম করে সুখী হওয়াটা অত্যন্ত কষ্টের একটা বিষয়। প্রেম করে ফারহানের মত হাজার যুবক রাস্তায় দেবদাস হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটা একটা বাস্তব জীবনের চরিত্র এবং খুবই বাস্তবধর্মী একটা নাটক।
|
---|
✡️✡️ ৮/১০✡️✡️
|
---|
Amarbanglablog Discord server link
আমি
আমি মোহাম্মদ আকাশ সরদার। জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি ব্লগিং করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। যদিও আর্ট আমার অনেক বেশি পছন্দ তবে আর্টওয়ার্ক কাজের জন্য আমার হাত একদম বাজে। ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি আমার সব থেকে প্রিয় বিষয়। নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ এবং নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে বেশ ভালো লাগে। অসহায় মানুষদেরকে সাহায্য করতে পারলে মনের ভেতরে আনন্দ আসে। সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে মানুষের সেবা করতে চাই এবং সকলের প্রিয় ব্যক্তি হয়ে এই সমাজে বসবাস করতে চাই।