তাং:০৬-০৭-২০২২
🇧🇩 রাজশাহী-বাংলাদেশ🇧🇩
আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আমি আবারো আপনাদের মাঝে ফিরে আসলাম নতুন আরো একটি ভ্রমণ ব্লগ নিয়ে। আমি আজকে আমাদের নিজ এলাকা বাগমারা -তাহেরপুর থেকে আহসানগঞ্জ-আত্রাই স্টেশন এলাকা ভ্রমন সম্পর্কে আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের সকলের কাছে অনেক বেশি ভালো লাগবে। চলুন এখন আমি রেলওয়ে স্টেশন ভ্রমণ সম্পর্কে আপনাদের মাঝে তুলে ধরি।
আমার ভ্রমণ বিষয়ে ব্লগটি শুরু করার আগে শুরুতেই গ্রুপের সকল সদস্য এবং কর্মকর্তাদের জানাই আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ভালোবাসা এবং অভিনন্দন। এই প্লাটফর্ম এর সকল সদস্য এবং কর্মকর্তাদের বন্ধুত্ব সূলভ আচরণ এবং ভালোবাসার কারণে বারবার ফিরে আসি।
Location
সকালে প্রথমে বাসা থেকে বের হয়ে সকল বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার সময়, আমি আর আমার এক ভাই ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করি। তারপর আমরা জায়গা সিলেক্ট করি। অতঃপর আমরা মোটরসাইকেল নিয়ে আহসানগঞ্জ এর উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করলাম। সকালে যাওয়ার সময় পরিবেশটা অনেক সুন্দর ছিল। আমাদের এলাকা থেকে আহসানগঞ্জ স্টেশনের দূরত্ব ছিল প্রায় ২৪ কিলোমিটার । আমাদের সেখানে যেতে সময় লেগেছিল প্রায় ৪০ মিনিট। আমরা সকালের সুন্দর পরিবেশ উপভোগ করতে করতে সেখানে পৌঁছায়।
আমরা রেলস্টেশনে পৌঁছানোর পর, সেখানকার একটি চায়ের দোকানে চা খাই। যা আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন এর সাথে ছিলো। চা খাওয়া শেষ করে আমরা স্টেশনে আশেপাশে একটু ঘোরাফেরা করলাম। আমি কিছু রেলওয়ে স্টেশনের ছবি এবং সেখানে অবস্থান করা কিছু ছবি তুলেছিলাম যা আপনাদের সাথে নিচে শেয়ার করেছি। আশা করি আপনাদের কাছে অনেক বেশি ভালো লাগবে।
আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে আমরা প্রায় দুই ঘণ্টার মতো অবস্থান করেছিলাম। সেখানে অনেক ভালো সময় কেটেছিল এবং সেখানকার পরিবেশ উপভোগ করেছিলাম। সেখানকার স্টেশন তেমন একটা বড় ছিল না। তবুও ছিল অনেক মানুষের ভিড়। আহসানগঞ্জ এমন একটি জায়গা সেখানে রয়েছে বিশাল বড় গরু ছাগলের হাট এর জন্য জায়গাটি অনেক জনপ্রিয়।
আমাদের ঘোরাফেরা শেষ করে আমরা আবার আমাদের নিজের গন্তব্যের দিকে রওনা হলাম। রওনা হওয়ার সময় আমরা আত্রাই নদীর উপর দিয়ে যায়। আমি নদীর এবং সেখানকার আকাশের সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছি , আপনাদের উদ্দেশ্য। যা দেখলে আশা করি আপনাদের সকলের মন অনেক বেশি ভালো হয়ে যাবে। আমাদের আমাদের রওনা হওয়ার সময় আকাশটি এত সুন্দর ছিল। দেখে মনে হচ্ছিলো সেখানে আরও কিছুক্ষণ থেকে যায়। আমি নিচে আকাশের ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
Location
আত্রাই ব্রিজ পার হয়ে আমরা ধীরে ধীরে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাচ্ছি প্রকৃতি ও পরিবেশ দেখতে দেখতে। যাওয়ার পথে আমরা একটি জনপ্রিয় মুড়ির দোকান খোলা পায় সেখানে আমরা মুরি খাই। সেখানকার মুড়ি অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল। আমি ১০০ গ্রাম মুড়ি খেয়েছিলাম যার মূল্য ছিল ১৫ টাকা। তারপর সেখানে খাওয়া শেষ করে আবার বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হলাম।
আমার আহসানগঞ্জ আত্রাই রেলওয়ে স্টেশন ভ্রমন অভিজ্ঞতা আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দেবেন। আপনাদের মূল্যবান মতবাদ আমার পরবর্তী ব্লগের মূল শক্তি। আপনাদের মূল্যবান সময় নিয়ে ব্লগটি করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের সকলকে আহসানগঞ্জ ভ্রমণের জন্য আমন্ত্রণ জানালাম। আসলে আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। আমি আবারো নতুন একটি ভ্রমণ ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে ফিরে আসবো ততক্ষণ পর্যন্ত আপনারা সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন ।সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে ব্লগটি এখানে শেষ করছি। ধন্যবাদ সবাইকে। আল্লাহ হাফেজ।
@ilias12/achievement-01-introduction-through-verification-by-ilias12