বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শশুর বাড়ি পরিদর্শন।

Photo_1683742099254.png
Made by poster maker apps

আসসালামুয়ালাইকুম।
সবাই কেমন আছেন?
আশা করি আল্লাহর রহমাতে ভালো আছেন।আমি ও আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি। প্রচন্ড গরমে সবারই নাজেহাল অবস্থা তার মধ্যে রবিন্দ্রনাথের ১৬২ তম জন্ম বার্ষিকী ও লোকমেলা-১৪৩০ উপলক্ষে তার শশুর বাড়িতে তিন দিনের মেলার আয়োজন করা হয়েছে। তাই গেছিলাম রবিন্দ্রনাথের শশুর বাড়ি। ভাবছি দুই পর্বে আলোচনা করবো। আজ আলোচনা করবো রবিন্দ্রনাথের শশুর বাড়ি সম্পর্কে পরবর্তীতে আলোচনা করবো মেলার সম্পর্কে।

1683767378273-01.jpeg

এটা হলো প্রবেশের জন্য টিকিট।

টিকিটের মুল্য ১০ টাকা। যদি আপনি অন্য দেশের নাগরি হন তাহলে আপনাকে গুনতে হতে পারে প্রাই ৩০০ টাকা। রবিন্দ্রাথ বাংলাদেশের জামাই তাছাড়া তাদের আদি নিবাস রুপসা উপজেলার ঘাট ভোগ ইউনিয়নের পিঠাভোগ গ্রামে। তার আদিপুরুষ দের পদবি ছিলো কুশারি। তার শশুর বাড়ি অবস্থিত দক্ষিনদিহি গ্রামে।আপনি এখানে আসতে হলে দুই ভাবেই আসতে পারবেন এক হলো যশোর খুলনা রোড ধরে ফুলতলায় নেমে ২০ টাকা ভ্যান ভাড়া করে আরেক হলো যশোর খুলনা রোড হয়ে বেজের ডাংজ্ঞা নেমে ১০ টাকা ভাড়া দিয়ে। আর যদি ট্রেনে আসতে চাই তাহলে ফুলতলা রেলস্টেশনে নেমে ১৫ টাকা ভ্যান ভাড়া করে। আমি গেছিলাম বেজের ডাংগা হয়ে।

1683739149849-01.jpeg

এটা নোবেলবিজয়ী রবিন্দ্রনাথের শশুর বাড়িতে প্রবেশের গেট।

এই গেট দিয়ে কবিগুরু এক হাড়ি মিষ্টি হাতে তার শশুর বাড়ি প্রবেশ করতেন। যেহেটু রবিন্দ্রনাথ ছিলেন জমিদার সেই বদোলতে বাংলাদেশর খুলনাতে তার ছিলো অঘাত প্রবেশ।তার জমিদারীর প্রতি কোনো লোভ ছিলো না, লোভ ছিলো সাহিত্য চর্চায়। তাই এই দেশের সৌন্দর্য আর মানুষের আন্তরিকতায় তিনি মুগ্ধ হয়েছিলেন । তাইতো এই দেশে তিনি বিয়ে করেন শুধু যে তিনি একা বিয়ে করেন তা নয় তার বাবা ও এখানে বিয়ে করেন। তার মানে বাপ বেটার শশুর বাড়ি এই খুলনার দক্ষিনদিহি।

1683738735733-01.jpeg

বাড়িটি দোতালা বিশিষ্ট। চুন শুরকির বাধনে বাধা এক একটা ইট। চুন শুরকি দিয়ে এতো সুন্দর বাড়ি কি করে বানাতো আমার জানা নেই। বাড়িটি অনেকবার সংস্করণ করা হয়েছে। তার ছাপ এখিনো বাড়ির দেওয়ালে। বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য যতদুর পারা গেছে সংস্কারন করা হয়েছে। বাড়িটির সামনে আলপনা করা হয়েচে রবিন্দ্রনাথের আগমনের জন্য। এটা শশুর বাড়ি প্রবেশের ২য় গেট।

1683740169233-01.jpeg

1683740117156-01.jpeg

ভিতরে ঢুকতেই পাশে দুইটা ভাষ্কর্য একটা কবি গুরু রবিন্দ্রনাথের আরেকটা তার বউ মৃণালিনির। এই ভাষ্কার্য টি অতি আদরের মাধ্যমে করা হয়েছে সেটা দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। আপনাদের কেমন লাগছে জানাবেন কিন্তু আপনাদের মতাতত শুনতে অনেক ভালোই লাগে। কাল জানতে পেরেছি এই এলাকা রবিন্দ্রনাথের মামা বাড়ির এলাকা।মনে হয় মামা বাড়ি আশা যাওয়া করতে করতে আমাদের মেয়ে মৃণালিনীর প্রেমে পড়ে যান আর প্রেমে পড়বেন নাই বা কেনো এতো রুপবতি মেয়ে ভারতে পাবে কোথায়?

1683738812981-01.jpeg

এই ব্যক্তি হলো আমাদের এলাকার জামাতা নোবেলবিজয়ী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তার সাথে ছেলফি তুলতে ভুল হয় নাই আমার। তার কবিতা এখনো সবার হৃদয়ে তার গান শুনে কোটি মানুষের মন কে প্রশান্তি যোগায়।তার উপন্যাস পড়ে লাখো শিক্ষার্থী নিজেদের হারিয়ে ফেলে বইয়ের অজানাতে তার ছোট গল্প পড়ে বোখা যায় ততকালীন সমাজের নিয়ম রীতি গোড়ামী। সব মিলিয়ে তার গতীপথা অতি রোমাঞ্চকর।

1683739083949-01.jpeg

এটা ঘরের পিছনের বারান্দা। এই বারান্ডা অনেক সুন্দর।হইতো এখানে বসে তিনি লেখা লেখির কাজ করেতেন। আর সামনের সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করতেন। বারান্দাটি মাটির টালির ছাপড়া। মাটির টালি গুলা অনেক সুন্দর।টালি দিয়ে ছাপড়া তাই এখানে গরম কম। হয়তো পড়ে সংস্কার করেছে।

1683738901378-01.jpeg

এটা শিড়ি দোতালাতে উঠবার জন্য। শিড়িটা অনেক সুন্দর আর হাতল হলো কাঠের। কাঠ মনে হয় সেগুন গাছের আর নিচে দেওয়া কারুকার্য বিশিষ্ট লোহার।দেখতে ভালোই লাগছে।প্রতি নিয়ত দেশি বিদেশি পর্যাটক ভ্রমন করছে কিন্তু ঘরের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না।অসাধারন চুন আর শুরকির বাধন।

1683739631486-01.jpeg

উপরের উঠতে চোখে পড়লো আমাদের বাড়ির মেয়ে আর রবিন্দ্রনাথের স্ত্রী মৃণালিনীর সাথে।এতো সুন্দর্য ময় কন্যা আর মায়াবী চোখের দিকে তাকালে চোখ সরানো কষ্টের। মাত্র বয়স ছিল তার ১১ তখন রবিন্দ্রনাথের বয়স ২২ বছর ৭ মাস। সেই সময়ে তাদের মাঝে প্রণয় হয় আর ফলাফল বিয়ে।তাদের প্রেমের কাহিনী আমাকে মুগ্ধ করে।

1683739853696-01.jpeg

এটি রবিন্দ্রনাথের শশুর বাড়ির বেল্কনি। বেল্কনি অনেক সুন্দর। একটা মনোরম পরিবেশ।দেখলেই ভালো লাগে। এখানে এসে একটু বিস্রাম নিলাম। আর আমার রিদয় জুড়িয়ে গেলো দক্ষিণা হাওয়ায়। আমার মনে হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন পরিশ্রান্ত হয়ে যেত তখন তিনি বেলকনিতে এসে দাঁড়াতেন এবং হৃদয় জুড়ে বয়ে যেত দখিনা হাওয়া। এই বেলকনির চারপাশে রয়েছে অপরূপ সৌন্দর্য।

1683739295107-01.jpeg

পরিদর্শক হিসাবে আমার কিছু মতামত লিখে দিলাম যেটি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি,,,
রবিন্দ্রনাম আর তার বাবা আমাদের বাংলাদেশে বিয়ে করাতে তাদের জানায় আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার সুযোগ থাকলে তাদের একবেলা আমার বাসায় জামায় হিসাবে আমন্ত্রণ জানাতাম। আমারা যে অতিথী পরায়ন এটা তার লেখায় অনেক জায়গাতে ফুতে উঠেছে এর জন্য তাকে আলাদা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।আর আপনাদের সেবা অনেক সুন্দর ছিলো আমার ভালো লেগেছে।

আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আমার ভালো লাগছে।আপনাদের কেমন লাগলো আমাকে যানাবেন। আপনাদের সাথে শেয়ার করবো তাই এই প্রচন্ড রৌদ্রের মধ্য আমি ছুটে গিয়েছি রবিন্দ্রনাথের শশুর বাড়ি। আমি চাই আপনারা সর্বদা আমার পাশে থাকেন।

ধন্যবাদ এতো কষ্ট করে আমার লেখা পড়বার জন্য।
#aatik

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
4 Comments