দক্ষিণ এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহত্তর বৌদ্ধ মূর্তি পরিদর্শন।

1685090826558-01.jpeg

আসসালামুয়ালাইকুম।
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমি আজ আপনাদের সামনে এশিয়ার বৃহত্তর বৌদ্ধ মন্দিরে পরিদর্শন নিয়ে সার্বিক আলোচনা করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তবে কথা না বড়িয়ে আসুন দেখে নেওয়া যাক আজকের ভ্রমণকাহিনী,,,,,,,

বাংলাদেশের দক্ষিনে পটুয়াখালীর কুয়াকাটার মিশ্রি পাড়ায় অবস্থিত এই মূর্তি। এটিকে দক্ষিন এশিয়ার সর্বচ্চ বড় বৌদ্ধ মুর্তি বলা হয়। এটি অনেক প্রাচীন বিশাল বড় বৌদ্ধ মুর্তি।
৩২ ফিট উচু এই মুর্তি বানাতে তৎকালীন মিয়ানমার থেকে আগত ৫ জন শিল্পীর ৩০ মাস সময় লাগে।এটির ওজন ২৮০০ কেজি মানে ৭০ মণ। এখানে এক বৌদ্ধ প্রর্থনা অবস্থায় আছে এটি দেখানো হয়েছে।আর এটি তৈরিতে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন তখনকার রাখাইন নেতা মিশ্রি তালুকদার। তার নামেই এই গ্রামের নামকরণ করা হয়েছে।

1685090550879-01.jpeg

কুয়াকাটায় এখন অফ সিজন তাই এখানে সব কিছু কম খরছে পেয়ে গিয়েছি। এমনি সময় কুয়াকাটা সি-বীচ থেকে মিশ্রিপাড়ায় মানে রাখাইন পল্লিতে যেতে আপনার গুনতে হবে ৬০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত।কিন্তু আমরা গিয়েছি মাত্র ২০০ টাকায় তার কারন এখন অফ সিজন।
এটি হচ্ছে মন্দিরে প্রবেশের পথ।আসলে এখানে না আসলে বুঝবেন না কতটা সুন্দর জায়গা আর কতটা সুন্দর পরিবেশ। এখানে মাত্র ২০ টাকা দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করি। ভিতরে ডুকতে চোখে পড়বে দুইটি প্রানির মূর্তি কিন্তু আমি নিজেও জানি না এটি কিসের ভাস্কর্য। আপনারা বলতে পারবেন?

1685090583339-01.jpeg

এখানে স্পষ্ট লেখা আছে বিনা অনুমতিতে ছবি তোলা নিষেধ। তাই আমরা অনুমতি নিয়েই প্রবেশ করলাম।ছবি তুলতে ভালো লাগে যদিও আমি পেশা দারি ফটোগ্রাফার না। তাই মনে হয় ছবি তোলারপ্রতি এতো আগ্রহ।এই লেখা দেখে মন খারাপ হয়ে গেছিল তাই আর দেরি না করে অনুমতির জন্য গেলাম।তারা অনুমতি দিলো অয়াও অনেক ভালো লাগছে এইবার কিছু ছবি তোলা যাবে। আমার ফটোগ্রাফি আপনাদের কি খুবই খারাপ লাগে? জানাবেন কিন্তু।

1685090666650-01.jpeg

এতো বড় নিখুত ভাবে তৈরি মুর্তি আমি আগে দেখি নায়।দেখতে পেরে ভালো লাগছে।এতি তৈরিতে ৫ জন শিল্পীর ৩০ মাস সময় লেগেছিলো। মানে প্রাই ৩ বছর। মিয়ানমারের শিল্পিদের দক্ষতা দেখে ভালোই লাগলো।আর এটি বানাতে নির্দেশনা দেয় রাখাইন নেতা মিশ্রি তালুকদার। মিশ্রি তালুকদার অনেক সুনাম ধন্য নেতা ছিলো তার নের্তৃত্ব সব রাখাইরা মেনে চলতো। তার নাম অনুসারে এই গ্রামের নাম মিশ্রি পাড়া।

1685099857530-01.jpeg

এটা কি বলতে পারবেন? এটি হলো ঘন্টা কি বিশ্বাস হচ্ছে না। বিশ্বাস না হওয়ারই কথা তার কারাণ আমি নিজেই অবাক এটা দেখে এটি কি ভাবে ঘন্টা হতে পারে।আমি ভেবেছিলাম এটি কাঠের তৈরি পরে শুনি এটি নাকি তামার তৈরি। যারা এখানে প্রার্থনা করে তারা এসে এটাকে আঘাত করে তখন নাকি অনেক জোরে শব্দ হয়। আমাদের ভালোই লেগেছে এটি দেখে। অনেক ভারি এটা এটাকে স্পর্শ করা নিষেধ।যারাই এখানে প্রার্থনা করবে তারাই নাকি এটাকে বাজাতে পারবে অনেক্ক্ষণ ধরে অপেক্ষা করেছি কিন্তু কেউ এসে এটি বাজালো না।

1685090609336-01.jpeg

এখানে রয়েছে দরিদ্র ছাত্র উন্নয়ন ফাউন্ডেশন। যার যা খুশি এখানে দান করতে পারেন। আপনার টাকায় এখানকার দরিদ্র বাচ্চারা পড়ালেখা শিখবে ব্যাপারটা ভালো। এখানে টাকা দিলে এরা এই প্যাডে লিখে দিবে। এখানে আপনার নাম ঠিকানা আর টাকার পরিমান লেখা থাকে। নিশ্চয়ই আপনাদের যদি ইচ্ছা বা টাকা থাকে এখানে এসে কিছু দান করতে পারবেন এটা সোশাল কাজের অংশ।

1685099824138-01.jpeg

এই মুর্তি এতো ওজন এটাকে বসানোর জন্য সেরাকম স্টেজ বানাতে হবে। আর এটি দেখে আমি অবাক হোলাম কি ভাবে সম্ভব এতো আগে এতো সুন্দর প্লান করে কি ভাবে এই অসম্ভব কাজ সম্ভব করেছিলো। আসলেই মিয়ানমারের শিল্পিরা অসাধারণ কাজ করে।শুনেছি এখানের এই স্টেজ বানাতে নাকি চুন আর শুরকি দিয়ে তৈরি। একটু ভাবুন কি শৈল্পিক জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে এটি বানানো যার উপর ২৮০০ কেজি মূর্তি বসে আছে মানে প্রাই ৭০ মণ।

1685099784839-01.jpeg

সুজগে একটা সেল্ফি তুলে নিলাম। এটা দেখে আপনার অবাক হওয়া ছাড়া উপায় নেই।এতো সুন্দর নিখুত কাজ আমি আগে দেখি নায়।এতি অনেক আগের তৈরি তবে এখনো রয়েছে আগের মতো।ভালো লাগছে এখানে আসতে পেরে আপনাদের কেমন লাগলো জানাবেন আমি জানি আপনারাও চান এখানে আসতে।নিশ্চয়ই আসবেন দেখে যাবেন।আর হ্যা ভালো থাকবেন।

এতো সময় আমার সাথে থাকার জন্য মানে কষ্ট করে পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

@aatik

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
5 Comments