বাংলাদেশের জি আই পণ্য সামুদ্রিক বাগদা চিংড়ির পোনা ধরার কৌশল।

Photo_1685276744712.png
Made by poster maker apps.

আসসালামুয়ালাইকুম।
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমি ও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়। আমার পোস্ট গুলা পড়তে কেমন লাগে আপনাদের নিশ্চয়ই ভালো। তারই ধারাবাহিকতায় আমি আজ আপনাদের সামনে নিয়ে এসেছি সামুদ্রিক বাগদা চিংড়ির পোনা ধরার কৌশল।আর সাথে আছে চোখ জোড়ানো সমুদ্র।

বাংলাদেশের জি আই পন্য বাগদা চিংড়ি মাছ

প্রথমে বলি জি আই পন্য কি?

জি আই মানে হলো জেনেটিক্স ইন্ডিকেটর। যেই দেশে বা ভৌগোলিক অঞ্চলে এর উৎপত্তি বেড়ে ওঠা বা বসবাস সেই অঞ্চলের নিজস্ব স্বত্বাধিকার থাকাকেই জি আই পন্য বলা হয়।
বাংলাদেশর ৪ জুলায় ১৯১৯ সালে ১১ তম পন্য হিসাবে নিবন্ধিত হয়। বর্তমানে বাগদা আমাদের জি আই পন্য।

আমি আগে কখনো এভাবে মাছে পোনা ধরার কৌশল দেখি নায়। কুয়াকাটাতে গিয়ে এমন ভাবে মাছের পোনা ধরা দেখে আমি অবাক। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।নিশ্চয়ই ভালো লাগবে। আচ্ছা আপনারা কখনো এভাবে মাছ ধরা দেখেছেন?

1685275151549-01.jpeg

আমি সমুদ্রের পাড় থেকে হাটার সময় দেখি দূরে কেউ একজন মাছ ধরছে।আমি একটু এগিয়ে গেলাম কারন আগে কখনো দেখি নাই এভাবে মাছ শিকার করতে। তাই এগিয়ে গেলাম।গিয়ে দেখি এক লোক সমুদ্রের ঢেউয়ের পাশ থেকে নেট ধরে টানছে।নেট তৈরি বাশ দিয়ে।নেটের নিচে মোটা কাপড় দিয়া ছোট একটা জায়গাতে আমি প্রথমে বুঝি নায় এমন কেনো?আমি শুনলাম মাছ পেয়েছেন? বলল পেয়েছে কিন্তু বালতিটা খালি ছিলো। আমি ভেবেছি ফাজলামি করছে।অনেক টা রাগ ও হলো। ও হ্যা আমি কাছে এসে একটা ছবি তুলেছি আপনাদের দেখানোর জন্য।

1685275053861-01.jpeg

দেখুন মাছ ধরার কৌশল কতটা সুন্দর। আসুন আগের কথায়, আমি মাছ দেখতে না পেয়ে চলে যাচ্ছি আর মনে মনে ভাবছি আমার সাথে এমন করলো আমি অচেনা মানুষ তাই।আমি তো তাদের অতিথি আমাকে সে বলতেই পারতো না মাছ পায় নাই মিথ্যা বলে তার লাভ কি হলো,,,,

একটু দূরে যেতেই দেখি দুই বৃদ্ধ কি জানো করছে।তাদের দেখে বোঝা যাচ্ছে তারা মাছ ধরছিলো এতো সময়।আমি দ্রুত মাছ দেখার জন্য গেলাম।আমি গিয়েতো অবাক এতো ছোট কি মাছ আবার,,,,

1685275351368-01.jpeg

এই মুরব্বি বলে এগুলা বাগদা চিংড়ির পোনা। আমি অবাক আমাদের জি আই পন্য বাগদার বাচ্ছা এখান থেকে পাওয়া হয়। অবিশ্বাস্য ব্যাপার আমি তাদের পরিবার সহ কাজ করতে দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। তারাই প্রকৃত মানুষ যারা বাংলাদেশের ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য কাজ করে চলেছে এই মাছের পোনা ধরে। আমার খুবই ভালো লাগছিল এটা দেখে।আসুন ছোট বাগদার পোনা দেখার ট্রাই করা যাক,,,,

1685275188748-01.jpeg

1685275214527-01.jpeg

1685275305813-01.jpeg

দেখেছেন কি ছোট ছোট বাগদার পোনা অসাধারন আর এটা কালেশন করতে কতটা পরিশ্রমের। আপনি ভাবতেই পারবেন না। এরা এই অর্জিনাল পোনা ২০ পয়সা করে বিক্রি করে মানে ৫ টা বাগদার পোনা ১ টা। কি সস্তা তাই না।আমাদের দিকে গলদা চিংড়ি বিক্রি হয় এক হাজার চিংড়ি ২৪০০ টাকা। এই জন্য জারা প্রকৃত দাম পাওয়ার লোকেরা সঠিক মুল্য পায় না।

কি ভাবে কালেকশন করে বাগদার পোনা।

আমি যা দেখেছি সেটা জানায়। আগেই বলেছি ঐ নেটের নিজে একটু যায়গাতে মোটা কাপড় দেওয়া সেই মোটা কাপড় থেকে বালি সহ পানি পাত্রে রাখে।সেই পানি এক গামলা পরিষ্কার পানিতে ঢালে তারপর ঝিনুক দিয়ে সেখান থেকে লাল লাল চিংড়ি দেখে আলাদা করে রাখে এটাই নাকি বাগদা চিংড়ির পোনা।
এই পোনা মাছের বড় তবে রাখবে সেখান থেকে হাট বাজারে বিক্রি করবে।বিক্রিত মাছ আমাদের দক্ষিণ অঞ্চলে সাপ্লাই করবে এভাবে টিকে থাকে আমাদের বাগডা চিংড়ি।

1685275396817-01.jpeg

এখানে কি দেখতে পাচ্ছেন? এই সেই নেট যেটা দিয়ে বাগদার পোনা সংরক্ষণ করে এই উত্তাল সাগর থেকে।কাধে করে এতো বড় নেট নিয়ে যায় সমুদ্রে সেখানে গিয়ে পানির মধ্যে টানে আর মাছ ধরা পড়ে। যেনো ভাসিয়ে নিয়ে না যায় তাই নোংগর ফেলা আছে।

received_243992028232249.jpeg

আপনাদের কেমন লাগলো আমার এই জি আই পন্য কালেকশনের পোস্ট? জানাবেন অপেক্ষায় আছি।

পোস্টটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ

@aatik

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
7 Comments