create by poster maker apps.
আসসালামুয়ালাইকুম।
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। ডাইরি গেম একটা জনপ্রিয় কন্টেন্ট সাবজেক্ট। এই জনপ্রিয় মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে আমার কাটানো সুন্দর একটা দিন সম্পর্কে আলোচনা করবো।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।তাহলে আসুন শুরু করা যাক।
প্রতিদিনের মত আমি ১৪ তারিখ সকাল বেলা সকাল সকাল উঠেছিলাম। উঠে ফ্রেশ হোলাম। তারপর ভাবছি একটু বের হব হাটতে। তাই রউনা করলাম ঘেরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। সকালে হাটে বাসায় এসে খাওয়া দাওয়া করলাম।আমার বোন রুকাইয়া এসে বললো ভাইয়া দৌলতপুর এক রেস্টুরেন্টে চল আমরা ওখানে লান্স করবো। আমি বললাম টাকা নেই পরে এক দিন যাবো। তখন ও বল্লো আজ অফার চলছে মাত্র ৯৯ টাকা প্লেট। আমি অবাক তাহলে লেট করার প্রয়োজন নেই।চল যাই। আমি আমার বোন আর বঊ যাবো বলে ঠিম করলাম।আম্মুকে যেতে বললাম কিন্তু আম্মু যাবে না। আম্মুর জন্য আনবো বলে ঠিক করেছি।
দ্রুত সবাই গোছানো শুরু করেছি।আমি গোছল করে এসে পা জামা পড়ে অপেক্ষা করছি তারা নাকি মেকাপ দিবে। এমি ফেসবুকে ঘুরা ঘুরি করেই চলেছি কিন্তু তাদের রেডি হওয়া এখনো হচ্ছে না।আমি কিছু না বলে আবারো অপেক্ষা করে চলেছি।কিন্তু ১ ঘন্টা পার হলো তারা রেডি হয় নাই।দেখতে দেখতে ২ ঘন্টা পার হলো অবশেষে তাদের সাক্ষাৎ পেলাম।তারা নাকি এখন রেডি।আমরা বাসা থেকে রউনা করলাম আসুন সেই ছবি শেয়ার করা যাক,,,,
আমাদের কেমন লাগছে? নিশ্চয়ই অনেক ভালো।আসলে পানজামিতে আমাকে অনেক ভালো দেখায় তাই এটা পড়েছি।তবে আমার বোন আর আমার বউকে অসাধারণ লাগছে এটা মানতেই হবে। তারা এতো ভালো সাজা শিখে গেছে আমি ভাবি নাই।তাই তাদের উপহার হিসাবে আজ আইস্ক্রিম খাওয়াবো।
দুপুরে ভ্যান পাইতে সামান্য বিলম্ব হচ্ছিলো তবুও পেয়ে গিয়েছিলাম ভ্যান।পরে বাজারে এসে দৌলতপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে গাড়িতে ঊঠেছি ১৫ টাকা করে৷
আমাকে আজ একটু বেশি সুন্দর লাগিছে তাই একটু বার বার ছবি তুলছি।আমাকে দেখতে কেমন জানাবেন কিন্তু। দুপুরে গাড়িতে অকল্পনীয় গরম।কিছু করার নাই যেতে হবে রাজ কার্যে।
এটা প্রবেশপথ পাশেই মোস্তফা মেনশন।গেট অনেক সুন্দর হয়েছে। আমি যাওয়ার পথে একটা ছবি তুলে রেখেছি আপনাদের জন্য যেনো পরিপূর্ণ লেখা উপস্থাপন করতে পারি।আপনাদের কেমন লাগছে। এখানে উপরে উঠতেই মন সান্ত হয়ে গেলো অসাধারন সব কাজ।সব কিছু অন্য রকম।
রেস্টুরেন্টের মূল আকর্ষণ হলো তার ডেকরেশন। আর এই খানে ডেকরেশনের ছাপ ভালো করেই অনুভব করা যাচ্ছে। অনেকে এক এক স্থানে দাঁড়িয়ে অগণিত ছবি তুলে চলেছে।কেউবা চেয়ারে বসে নতুন স্টাইল দেওয়ার ট্রাই করছে। সব মিলিয়ে একটা জমজমাট পরিবেশ।
এবার খাবার অর্ডার করার সময় এসেছে এখানেই নিয়ম ভালোই। সেটা হলো পেয়ে ফাস্ট। মানে আগে টাকা পরিশোধ করতে হবে পরে খাবার আসবে। তাই আমি দ্রুত পরিশোধ করলাম। কারণ আমার অনেক খুদা লেগেছে,,,,
টাকা দেওয়ার পর দ্রুত প্রসেসিং শুরু হয়ে গেছে।আলহামদুলিল্লাহ আমাদের বেশি সময় অপেক্ষা কত্তে হয় নায়। যেহেতু খাবার আসতে একটু লেট হচ্ছিল তাই দ্রুত স্মৃতি রেখে দেওয়ার জন্য ক্যামেরার ফ্রেমে নিজেদের বন্দি করেছি। দেখুন কেমন লাগছে,,,,
এখন অনেক ক্ষুদা লেগে গেছে সুতরাং বার বার কাউন্টারে খোজ নিচ্ছি। যাক অবশেষে খাবার এসেছে,,,
আমাদের দেখা যাচ্ছে না? খাবার দেখেছেন? শুনেছি আগে মানুষ বাসনে করে খাবার খেতো তাই এখানে সেটার প্রচলন ঘটানোর ট্রাই করছে।তাদের এই অভিনব কাজের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি,,,,
খাবার আসতে যতটুকু সময় শেষ হয়ে গেলো চোখের নিমিষেই। খাবার অনেক সুস্বাদু ছিলো।মাংসের পিস গুলা অসাধারন। ভালো করেই ভাজা ছিলো।আর উপরের সস এর টেস্ট কয়েক গুন বাড়িয়ে দিল। আলহামদুলিল্লাহ খেয়ে আমাদের অনেক ভালো লেগেছে।
আমি বলেছিলাম যাওয়ার পথে আইসক্রিম খাওয়াবো।তাই আর লেট না করে এক আইস্ক্রিমের দোকানে গেলাম। এই আইস্ক্রিম খুলনা পাওয়া যায় এখানে পাওয়া যাবে ভাবি নায়।তবে এর টেস্ট আগের মত ছিলো না। কি আর করা খেতে হবেই।
এখন বিকাল হয়ে গেছে তাই ভাবলাম এক সাথে পড়ানো কমপ্লিট করে যাই।তাই ওদের গাড়িতে তুলে দিয়ে আমি পড়াতে চলে গেলাম।এমন পানজামি পরে পড়ানো কেমন যেনো লাগছিলো।
পড়ানো শেষ করতে করতেই সূর্য মামা হারিয়ে গেলো। নেমে এলো সন্ধ্যা আর কোনো কিছু করার নেই।আমি বাসায় যাচ্ছি। মাথার উপরে কালো অন্ধকার রাত।আমি রাস্তায় একা।পাস থেকে ভ্যান গাড়ি বেল দিতে দিতে যাচ্ছে।চায়ের দোকানে কেউ চা খাচ্চে আবার কেউ রাজনৈতিক আলচনায় ব্যস্থ।সন্ধ্যা সবাইকে এক জায়গায় নিয়ে আসে ক্লান্তি দূর করার জন্য।
আমার লেখা পড়ে কেমন লাগলো জানাবেন।আর এতো কষ্ট করে পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানায়। দোয়া করবেন আমার জন্য।
ধন্যবাদ
@aatik