আসসালামুয়ালাইকুম।
কেমন আছেন বন্ধুরা? নিশ্চয়ই ভালো আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।দিনটা আমার অসাধারণ কেটেছে তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আসুন দেখে নেওয়া যাক কি ঘটলো এই দিনে,,,
সকাল সকাল কাকুর ফোন কল পেয়ে আমার ঘুম ভাংলো। কাকু বললো ঘেরে যেটে হবে আজ আম পাড়ার জন্য। আমি দ্রুত ফ্রেশ হলাম এবং রওনা করলাম। আমাদের ঘেরে যাওয়ার জন্য সরু পথ রয়েছে যেখানে সাইকেল যায় না। তবুও সাইকেল নেওয়া হলো আম সাইকেলে বাধিয়ে আনার জন্য।
যাওয়ার পথে এক দোকান থেকে পড়াটা কিনলাম আমার জমিতে যেয়ে খাওয়ার জন্য,,,,,,
খুব সকালের হাটার মজাই আলাদা। হাটছি বঙ্কিম দীর্ঘ পথ। কলা গাছের সাড়ি। বাতাস পাতা গুলা কে হেলিয়ে দুলিয়ে নাড়াচ্ছে আর বলছে বালা নাচোতো দেখি।
খুবই মনরম শোভাবর্ধক পরিবেশ। ভালোই লাগছে। ফ্রেশ বাতাসে নিজেকে ভাসিয়ে নিচ্ছে। ছোট খাল তার পাশে ছোট বাকা রাস্তা।
পরিবেশটা অনেক সুন্দর। গ্রামের মাঝে মেঠো রাস্তা পাশে ধান খেতে মনরম বাতাস অনেক ভালো লাগে।আপনাদের কেমন লাগে জানাবেন। প্রাই ১০ মিনিট হাটার পর আমরা আমাদের জমিতে পৌছাইছি। হেটে এসে খুদা লেগে গেছে তাই দুইজন এক সাথে খাওয়া শুরু করেছি দেখুন আমাদের সকালের সুন্দর নাস্তা,,,,
দোকানের বিশাল সাইজের পরাটা আর আলু পেপে আর কুমড়ার ডাল। এখানের পরাটা আর ডাউল সবার কাছে পরিচিত। তাদের সুনাম করেছে আলহামদুলিল্লাহ। সাথে আছে গাছ থেকে কুড়িয়ে পাওয়া আম।
রোদে পুড়ে গেছি গায়ের রঙ কালো হয়ে গেছে। খুবই সুস্বাদু আম।আমার ভালো লাগছে একেবারে টাটকা আম তাও আবার পাকা আম।এই আম খেতে পেয়ে ভালোই লাগছে। পরাটা দুইটা খাওয়া সম্ভব হলো না তাই পানিতে মাছকে খেতে দিলাম। কোনো কিছু নষ্ট হবে না।যদি আপনি চান।
এই হলো আম গাছ। আমি আম গাছে উঠবো এখন।গাছের আম দেখে লোভ সামাল দেওয়া কঠিন। তাই উঠে গেলাম গাছে। কেউ ছবি তোলার মত নেই। গাছে উঠতে অনেক কষ্ট হয়েছে উপরে উঠে। হাত দিয়ে গাছের ডাল টেনে ধরে ধরে আম পাড়লাম। দেখুন কতো গুলা পাড়ছি,,,,,
দেখুন কত আম। এই আম অনেক মিষ্টি এবং সুস্বাদু। আপনারা খেতে চাইলে খেতে পারেন। কিন্তু খেতে গেলে আমাদের বাড়ি আসতে হবে তাছাড়া পাবেন না।
এই আমের নাম লতাই আম। আমের সাইজ অনেক ছোট তবে ভালো।
বাসায় এসে গোসল করে ঘরে এসে বসেছি।অনেক কষ্ট হয়ে গেছে অনেক দূরের রাস্তা তাই এমন খারাপ লাগছে। বাসায় এসে বলেছি আম মাখিয়ে দিতে।আমার বোন পাকা আমের মধ্যে থেকে কাচা আম খুজে সেগুলা কুচিয়ে বেশি করে ঝাল দিয়ে খেতে দিল। অসাধারন লেগেছে আম খেয়ে রিদয় জুড়িয়ে গেছে।
এখন দুপুর গড়িয়ে বিকাল। আমি পড়াতে আসছি।আমি দুইটা টিউশনি করি। টিউশনিতে গিয়ে ছবি তোলা ঠিক না। তাই লুকিয়ে একটা ছবি নিলাম যেনো সেটা শেয়ার করতে পারি আপনাদের সাথে। আমার এক স্টুডেন্ট হলো অষ্টম শ্রেণীতে আর এক জন হলো ষষ্ঠ শ্রেণীতে তাদের সামনে পরিক্ষা তাই একটু চাপে রেখেছি।
বিকাল গড়িয়ে এখন সন্ধ্যা আমি রাস্তা দিয়ে হাটছি। মাথার উপরে চাঁদ। চাদের আলো এখনো ছড়িয়ে পড়ি নায়।আস্তে আস্তে বেড়ে যাচ্ছে জোসনা। চাদের ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম,,,
খুবই খুদা লাগছে কিছু খাওয়ার দরকার। কি খাওয়া যায় আমার পছন্দ ছোলা আর মাশ্রুমের চপ। তাই নান্টুর দোকানে গিলাম সামান্য খাওয়া দাওয়া করলাম।রেগুলার খেতাম আগে এখন খাওয়া হয় না গ্যাসের সমস্যার জন্য।তবে আজ ভালোই লাগলো।
ধন্যবাদ