SEC-S10W1: "What one thing would you want to delete from the Earth?"

png_20230610_102657_0000.png
Create by canva apps.

আসসালামুয়ালাইকুম। সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি। আমি আপনাদের সাথে এই এনগেজমেন্ট চ্যালেন্স সিজন ১০, উইক ১ এ অংশগ্রহণ করছি। আশা করি আমাকে আপনারা সহযোগিতা করবেন। আসুন শুরু করা যাক,,

If you had the power to permanently delete one thing from the Earth, what would it be and why?

20230610_104104_0000.png
Create by canva apps.

মানুষ মানুষের জন্য,
জীবন জীবনের জন্য,
একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না

এই প্রশ্ন আমারো মানুষ কি একটু সহানুভূতি পেতে পারে না? আবহমানকাল থেকে এই পৃথিবীতে মানুষ মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে চলেছে শুধু স্বার্থ হাসিলের জন্য। মানুষ মানুষের রক্তে স্নান করছে আর জয়ের অনুভূতি প্রকাশ করছে। আসলেই কি এই জয়ে সত্যিকারের কিছু হাসিল হয়েছে? না কিছুই হাসিল হয় নি কারন এই স্বার্থের পেছনে মানবতাকে বিসর্জন দিতে হয়েছে। এই স্বার্থের পেছনে রয়েছে রক্ত, হাহাকার, অমানবিকতা, নির্মমতা, নিষ্ঠুরতার ছাপ।

আমার যদি পৃথিবী থেকে যদি একটি জিনিস মুছে ফেলার ক্ষমতা থাকে তবে আমি যুদ্ধকে মুছে ফেলবো এবং মারণাস্ত্র ধ্বংস করবো তার কারণ,,,,

না থাকবে বাশ না বাজবে বাশি

বিশ্ব রাজনীতিতে আমেরিকার জয় আর রাশিয়ার পরাজয় কে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে মারণাস্ত্র তৈরিতে প্রতিযোগিতা। সবাই সবার ক্ষমতাকে প্রদর্শন করতে যুদ্ধ কে বেছে নিল সবাই। শক্তিশালী রাষ্ট্র দূর্বল রাষ্ট্র গুলাকে কব্জা করে নিজেদের আধিপত্য লাভের প্রচেষ্টা। এর ফলে মানবিকতার অবক্ষয় আর বেড়েছে নির্বিচারে মানুষ হত্যার প্রবণতা।এই সকল কারনে আমি এই যুদ্ধ জিনিসটাই ডিলিট দিব এই পৃথিবীর থেকে।

How will its absence have a positive impact on society,nature, and mankind?explain

png_20230610_105722_0000.png
Create by canva apps.

ভেঙে দাও সব বর্ডার,,,
বাড়িয়ে দাও হাত,,
জীবনে আসুক কল্যান দূরহোক যত অবসাদ

যুদ্ধ ছাড়া এই পৃথিবী অনেক সুন্দর। সারা বিশ্ব হবে গ্রামের মতো সকলের মুক্ত মনে নিজেকে মেলে ধরবে সকলের মাঝে।দূর হবে ভেদাভেদ বেচে থাকবে ভালোবাসা তৈরি হবে বন্ধুত্ব। অর্থনিতি হবে মুক্ত বাজার অর্থনীতি। থাকবে না কোনো বর্ডার থাকবে না মারণাস্ত্র। প্রাণ যাবে না কোনো শিশুর।মুক্ত বাতাসে মুক্ত মনে শিক্ষা গ্রহন করবে পৃথিবী জুড়ে।

সমাজ বলতে আমরা বুঝি যেখানে একাধিক লোক মিলে মিশে জীবন যাপন করছে।এই সমাজে থাকে বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষ। আমরা পুরা পৃথিবীকে সমাজ ধরলে এখানে সবার মিলে মিশে চলা উচিত।থাকবে না কোনো বৈষম্য। সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে।

আমরা দেখতে পায় ইজরায়েল প্যালেস্টাইন যুদ্ধ চলছে।আরো দেখতে পাই রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধ চলছে।এখানে কেউ লাভোবান হচ্ছে না। এখানে প্রাণ যাচ্ছে সাধারন মানুষের। সব থেকে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শিশু আর নারি। আরো ক্ষতি হচ্ছে দেশের অর্থনীতি।সারা বিশ্বে বয়ে এনেছে দুর্ভিক্ষ । সারাদেশে শুরু হয়েছে জালানি সংকট। দেশের নাগরিক দেশ থেকে পালাচ্ছে।

আমার ট্রপিক অনুযায়ী যুদ্ধ না থাকলে দেশে দেশে ঘটতো না কোনো মহামারি। নাগরিকদের পোহাতে হতো না কোণো যন্ত্রনা। নিজ দেশকে ত্যাগ করে ভিন্ন দেশে পড়ি জমাতে হতো না। সব স্থানে থাকতো শুধু শান্তি আর শান্তি।

What can we substitute for it that has the power to resist all subsequent devastation

20230610_111743_0000.png
Create by canva apps.

পৃথিবীতে সমস্যা আছে ছিলো এবং ভবিষ্যৎতে থাকবে।তাই বলে সমস্যা সমাধান কখনো যুদ্ধ দিয়ে করা সম্ভব না। এক দেশের সাথে আরেক দেশের সমস্যা থাকতেই পারে। আমরা দেশের সার্থ ঠিক রাখতে গিয়ে মানোবতার ক্ষুনি হওয়া যাবে না।সময়ের সাথে সাথে সব অ বদলে যায় ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটবে কিন্তু নিজের উপরে যে দাগ পরবে সেটা লাঘব হবে না।

আমরা যুদ্ধের বিকল্প হিসাবে মানবতাবোধ ব্যবহার করতে পারি। মানুষের কল্যানে কার্যক্রম হলো মানবতাবোধ। আমাদের যুদ্ধের বদৌলতে মানুষের কল্যানের কথা মাথায় রেখে মানবিকতাকে প্রাধান্যদিয়ে সমস্যার ইতিবাচক সমাধান করতে পারি।এতে পৃথিবীতে বয়ে আনবে শান্তি।বয়ে আনবে মানবিকতা আর ভালোবাসা।

বড় সমস্যা তৈরি হয় স্বার্থ থেকে।নিজের স্বার্থ কে বিসর্জন দিয়ে সাধারন স্বার্থ কে বিশেষ করে দেখা উচিত তাহলে দেশ ও দশের ভালো হবে। তাহলে মানুষের রক্তে নিজেদের হাত রাঙাতে হবে না।
পৃথিবীর সকলে আপনার কথা মনে রাখবে।আপনি থাকবেন ইতিহাসের পাতায়। যুগ যুগ ধরে মানুষ মানবাতার মাঝি হিসাবে আপনাকে চিনবে।

Conclusion

হিটলার ৬০ লক্ষ ইহুদি মেরে ছিলো বিনা অপরাধে। সবাই হিটলারকে ঘৃণা করে। যুগ যুগ ধরে হিটলারকে সবাই গালিগালাজ করে যাবে। মানবিকতাবোধ তার মধ্যে ছিলো না।তার ক্ষমতা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। রয়লো না মানবিকতা।এতো মানুষের খুনির দায় নিয়ে সেও থাকবে ইতিহাসের পাতায়। এমেরিকার পার্ল হারবারে মানবিকতার বিসর্জন দিয়ে জাপানিরা হত্যাযজ্ঞ চালাই এটাও মানবতা বিরধি। আমেরিকা সেই শোধ নেওয়ার জন্য নাগাসা ও হিরোসিমায় বোমা হামলা করে এটাও মানবতা বিরধি। এখানে অনেক মানুষ মারা যায় যেটাই স্তব্ধ হয়ে যায় সারা পৃথিবী।
মানুষ মানুষের জন্য তাই যুদ্ধ কখনো শান্তি বয়ে আনে না। যুদ্ধ কে বর্জন করে মুক্তবাজার অর্থনৈতি আর গ্লোবাল ভিলেজের বিস্তার ঘটাতে হবে তাহলেই মানবতা গড়ে উঠবে সকলের মাঝে।

20230610_110449_0000.png
Create by canva apps.

Thank you for Reading

received_617663280327647.jpeg

এই কন্টেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রন জানায়,,@ciru2014 @graceleon @heriadi @mdkamran99 @mostofajaman @bellana @solaymann.

আমার পাশে থাকার জন্য আমি সর্বদা আপনাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাকি।ভালো থাকবেন সবাই। আমার জন্য দোয়া করবেন।

ধন্যবাদ
@aatik

received_6141514449236908.jpeg

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
9 Comments