চিড়িয়াখানা ভ্রমণ // পরিবার নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা ভ্রমণ। (পর্ব -২)

প্রথম পর্বের পর থেকে

1000031594.png
Made it Canva

আজকের পোস্ট এর শুরুতেই বলে রাখি আসলে আমরা যে দুপুরবেলায় গিয়েছিলাম বেশিরভাগই পশুপাখি গুলো দুপুরে শুয়ে বসে কাটাচ্ছে, সম্ভবত তারা বিশ্রাম নিচ্ছে। তো আমরা যে অবস্থায় দেখতে পেয়েছি সে অবস্থায় ছবিগুলো তুলেছি এবং সেগুলোই আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। বানরের খাঁচাটা পরিদর্শন করার পর আমরা সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম। যেহেতু আমরা আগেই মানচিত্র দেখে নিয়েছি তাই কিছুটা সামনে এগোতেই চোখে পড়ল বেশ কয়েকটি পাখির খাচা যেগুলোতে অনেক বড় বড় কয়েকটা পাখি রয়েছে।

1000030365.jpg

আপনারা ছবিতে যে পাখিটিকে দেখতে পাচ্ছেন সেটি হচ্ছে কালোগলা বক। এখানে আরো রয়েছে ম্যাকাও, কাকাতুয়া ও সারসক্রেণ প্রবৃত্তি। তবে আমি কালো গলা বকটি খুব কাছে পেয়েছি তাই এর ছবিগুলো তুলতে পেরেছি। আশা করি এগুলো দেখে আপনাদের ভালো লাগবে।

1000030369.jpg

এই ছবিতে আপনারা যাকে শুয়ে থাকতে দেখছেন সে হচ্ছে আমাদের সিংহি মামি। যদিও সিংহ সিংহি দুইটা দুদিকে শুয়ে রয়েছে কাছ থেকে পেয়েছি আমি সিংহী মামিকে তাই তার ছবি তুলে নিলাম এবং আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আফসোস তাদেরকে হাটাহাটি অবস্থায় দেখতে পেলাম না। যাই হোক পরবর্তী আরেক সময় গিয়ে হয়তো সে সুযোগ হবে সে পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকবো।

1000030374.jpg

এরপর আরো সামনে যেতে আমরা দেখতে পেলাম কুমিরের খাচা তো সেখানে কয়েক ধরনের কুমির রয়েছে। লোনা ও মিঠা পানির কুমির দেখতে পেয়েছি। অনেকের মুখে শুনেছিলাম অনেক বড় বড় কুমির ছিল কিন্তু আমরা যখন গিয়েছি তখন গিয়ে দেখতে পেলাম তেমন বড় নাই কুমিরের বাচ্চা রয়েছে সম্ভবত বড় কুমির গুলোর কোন সমস্যা হয়েছে সেজন্য সেগুলোকে সরিয়ে ফেলেছে। যাই হোক ছোট ছোট অনেকগুলো কুমির দেখতে পেলাম সেগুলো আপনাদের মাঝে ছবি তুলে শেয়ার করলাম।

1000030389.jpg

1000030385.jpg

এরপর আরো কিছুটা সামনে যেতেই চোখে পড়লো বিশাল বড় এক চিতা হরিণের দল। যদিও তারা অনেক দূরে অবস্থান করছে, ছবি তুলে সেভাবে বোঝা যাচ্ছে না তাই আমরা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম। ভাগ্য ভালো কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর হরিণগুলো আমাদের কাছাকাছি এসেছে তাই আমি কয়েকটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। হরিণ দেখতে খুবই চমৎকার দেখায় বাচ্চারা অনেক খুশি হয়েছে এগুলো দেখে। যদিও সবগুলো আসেনি মাত্র দুটো হরিণ খুব সামনে এসেছে কাছাকাছি তাই আমরা এগুলোর ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরেছি।

1000030382.jpg

1000030376.jpg

এই ছিল আমার আজকের চিড়িয়াখানা ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্ব। আসলে খুব বেশি ছবি তোলা হয়নি তাই যেই কয়টা তুলেছি তার উপরেই পোস্টগুলো করার চেষ্টা করছি। আশা করি পরবর্তী পর্বেও আরো বেশ কিছু ছবি দেখতে পাবেন। প্রথম পর্বটি পড়লে দ্বিতীয় পর্বটি পড়ে ভালো লাগবে। তাই উপরের দেওয়া লিংক থেকে প্রথম পর্ব পড়ে নিবেন। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সকলের জন্য শুভকামনা অবিরাম।

লোকেশন

চলবে..................

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
2 Comments