The three best and three worst moments of my life.// এই প্রতিযোগিতায় আমার অংশগ্রহণ।

স্টিমিটের সহযোদ্ধারা,

আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহতালার অশেষ মেহেরবানীতে ভালো আছি। আমাদের এই কমিউনিটির এডমিন @msharif ভাই খুবই চমৎকার একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন। এজন্য আমি উনাকে আমার পক্ষ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আসলে এরকম একটি প্রতিযোগিতা যার মাধ্যমে আমরা যারা অংশগ্রহণ করবো তাদের তিনটা ভালো মুহূর্ত এবং তিনটা খারাপ মুহূর্ত গুলো জানতে পারবো। আমিও আমার জীবনের তিনটি ভালো মুহূর্ত তিনটি খারাপ মুহূর্ত নিয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছি, আশা করি আমার আজকের এই প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণের পোস্টটি পড়ে আপনাদের কাছে ভালো খারাপ দুটোই লাগবে।

IMG_20230202_030429.jpg

তাহলে চলুন শুরু করা যাক। আমি প্রথমে আমার জীবনের অনেকগুলো ভালো ঘটনা ঘটে যাওয়ার মধ্যে তিনটি খুবই চমৎকার ঘটনা তুলে ধরব, পড়ে অবশ্যই আপনাদের ভালো লাগবে।

১। দুই হুজুরকে নিয়ে কাঁঠাল চুরির ঘটনাঃ

দুই হুজুরকে নিয়ে কাঁঠাল চুরির ঘটনাটা কিছুটা আমার কাছে ব্যতিক্রম ছিল এ কারণেই যে তারা হুজুর ছিল কিন্তু চুরি করা যেহেতু খারাপ বা অন্যায় তারা ভালোভাবেই জানতো বা বুঝতো তারপরেও তারা আমার সাথে বা আমি তাদের সাথে চুরির করার জন্য পরামর্শ করি বলতে পারেন অনেকগুলো কাঁঠাল চুরি করি। আসলে এই ঘটনাটি ঘটে অনেকটা রাগে বশবতি হয়ে। রাগ যে কতটা খারাপ সেদিন এই ঘটনাটা না ঘটলে আসলে বুঝতেই পারতাম না। হুজুর দুজনের সাথে আমার আগে থেকে খুব একটা পরিচয় ছিল না। আমার এক ক্লাস ফ্রেন্ড এর মাধ্যমে তাদের সাথে আমার পরিচয়। আমি তখন চট্টগ্রামে থাকতাম ক্লাস এইট কি নাইনে পড়ি, ওই সময়টা অনেকটা দুরন্তর ছিলাম এদিক-ওদিক ঘুরাঘুরি করতাম বা আড্ডা মারতাম বেশি। একদিন আমার ক্লাস ফ্রেন্ড আর আমি দুজনে মিলে এই হুজুররা যেখানে থাকে সেখানে গিয়েছিলাম। এরকম একদিন দুদিন যাওয়া আসা করতে করতে প্রায় সময় ওখানে চলে যেতাম তাদের সাথে বেশিরভাগ সময় লুডু খেলতাম।

হুজুররা যেখানে থাকতো সেই এলাকায় পাশে বাচ্চাদের একটা মাঠ ছিল মাঠের পাশে একটা ঘর ছিল যেখানে ওই এলাকার বাচ্চাদেরকে হুজুররা আরবি পড়াতো সকালে। আমরা বিকেলে ওই ঘরে গিয়েই লুডো খেলতাম বা কথাবার্তা বলে সময় কাটাতাম। এমনকি ওই মাঠে আমরা শীতকালে ব্যাডমিন্টন ও খেলতাম। হঠাৎ একদিন ওই দুই হুজুরের মধ্যে যে হুজুর বড় ছিল তিনি যে বাড়িতে থাকতেন সেই বাড়িওয়ালা অনেকগুলো কাঁঠাল গাছ থাকা সত্বেও তাদেরকে কোনো কাঁঠাল খেতে দেয়নি এমনকি হুজুর একদিন কাঁঠাল খাওয়ার কথা বলেছিল তারপরও দেয়নি বরঞ্চ তাকে অপমান করে দিল। এই কারণে তিনি অনেক রেগে আমাদের সাথে প্ল্যান করে এই কাঁঠাল চুরি করে। এমনকি ওই লোকটির গাছে যতগুলো কাঁঠাল ছিল সবগুলো আমরা রাতে কেটে নিয়ে আসি। কাঁঠাল চুরির সেই রাতের ঘটনাটা কিন্তু আমাদের কাছে অনেক ইন্টারেস্টিং লেগেছিল সত্যি বলতে অনেক মজা ও পেয়েছিলাম। আসলে জীবনে এই প্রথম এরকম একটি কাজ করেছিলাম কিন্তু তখন একেবারে বুঝিনি যে এটা আমরা অনেক বড় অন্যায় করছি।

২। ছেলে সন্তানের বাবা হওয়ার আনন্দ মুহূর্তঃ

বর্তমানে আমাদের দুই মেয়ে এক ছেলে। আমাদের প্রথম মেয়ে সন্তান হয় আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক খুশি ছিলাম। দ্বিতীয়বারও আল্লাহতালা আমার জন্য মেয়ে সন্তানের নির্ধারণ করে রেখেছে কিন্তু আমার এই মেয়েটিকে আল্লাহতালা আবার দুনিয়া থেকেই নিয়ে গেল। তৃতীয় সন্তান ও আল্লাহ তায়ালার মেয়েই নির্ধারণ করে রেখেছেন আলহামদুলিল্লাহ আমি তখনো খুশি ছিলাম। তবে হ্যাঁ মনে মনে কিছুটা আক্ষেপ ছিল আল্লাহ তা'আলা যদি একটা ছেলে দিত এটা কমবেশি সবারই থাকে আমারও ছিল। এরপর তিন চার বছর আর সন্তান নেওয়ার কথা চিন্তা করিনি। প্রায় চার বছর পর আল্লাহ তাআলা আমাদের সংসারে একটা ছেলে সন্তান দুনিয়াতে পাঠালো সেদিন যে আমি কত খুশি হয়েছি কত আনন্দিত হয়েছি যা ভাষায় বলে বোঝাতে পারবো না। আসলে যারা বাবা মা হয় ওই অনুভূতিটা শুধু তারাই বুঝতে পারে। আর যেহেতু সবাই বাবা-মা হয় সবাই এই অনুভূতিটাও বুঝবে যারা এখনো হয়নি তারা হয়তো ততটা বুঝতে পারবেনা। যাইহোক এতটা খুশি হয়েছি সেদিন যে আমি যে তখন চাকরি করতাম অফিসে আমার কলিগ বস সবাইকে তাদের তৃপ্তি মত করে এমনকি আত্মীয়-স্বজন সবাইকে তৃপ্তি সহকারে মিষ্টিমুখ করিয়েছি। আল্লাহ তাআলার কাছে যেন লাখো কোটি শুকরিয়া আল্লাহ তা'আলা আমার ও আমার স্ত্রীর আকুতি শুনেছে এবং তা পুরনো করে দিয়েছে।

IMG_20230202_021227.jpg

৩। দীর্ঘ 20 বছর পর স্কুল জীবনের ক্লাসমেটদের সাথে দেখাঃ

২০২১ সালে নভেম্বর মাসে আমাদের স্কুলের ক্লাসমেটরা সবাই মিলে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে একটা পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠান করার। যদিও কারো সাথে সরাসরি দেখা নেই কিন্তু মোবাইলে সকলের সাথে যোগাযোগ রয়েছে। যোগাযোগ থাকলে কি হবে সবাই সবার ব্যস্ততার কারণে কিন্তু কারো সাথে তেমন একটা কথা হতো না। তারপর আমাদের এক ক্লাসমেট সুজয় বড়ুয়া সেই মূলত এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানটা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সে এবং আরেক ক্লাসমেট মিজান ওরা দুজনেই পুরো অনুষ্ঠানটার আয়োজন শুরু করে এবং সবাইকে তারিখ নির্দিষ্ট করে জানিয়ে দেয়। এখানে আনন্দের বিষয়টা হলো দীর্ঘ 20 বছর পর এই ক্লাসমেটদের সাথে আমাদের সেই পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে দেখা এবং আমরা খুব সুন্দর ভাবে এই পূর্ণমিলন অনুষ্ঠানটা সম্পন্ন করি। এই পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে আমরা অনেক আনন্দ করেছি সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে একজন আরেকজনের সাথে এত বছর পরে দেখা এতে বেশি সবাই আনন্দিত। আমরা সেই সকাল থেকে রাত আটটা নয়টা অব্দি পর্যন্ত এই পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে অনেকটা সময় দিয়ে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছি। এমনকি আমাদের স্কুলে পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে কেক কেটে এরপরে আমরা অনেক দূরে একটি পার্কে গিয়ে সারাদিন কাটিয়ে দিয়েছি যা ওইদিনের মুহূর্তগুলো এখনো অনেক মনে পড়ে অনেক মিস করি।

IMG_20230202_023921.jpg

IMG_20230202_023436.jpg

উপরের এই তিনটি আনন্দঘন মুহূর্তের মধ্যে আমার সবচেয়ে বেশি যখন পৃথিবীতে আমার ছেলের চাঁদ মুখ আলো করে এসেছে সেই মুহূর্তটা আমি সারা জীবনেও ভুলতে পারবোনা। এতটা আনন্দিত এতটা উচ্ছ্বাসিত হয়েছি যা শুধু আমি আপনাদের বলে কোনভাবেই বোঝাতে পারবো না। আর এজন্যই এটিই আমার সবচেয়ে আনন্দঘন মুহূর্তের বিষয় ছিল। আমার ইচ্ছা পূরণ হওয়া এজন্য আমি আল্লাহতালার কাছে শুকরিয়া আদায় করি।

তো বন্ধুরা এতক্ষণ আমি আপনাদের মাঝে আমার আনন্দের মুহূর্তগুলো শেয়ার করেছি এবার আমি আপনাদের মাঝে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটনা শেয়ার করব যেগুলো আমাকে খুব কষ্ট দিয়েছে এবং সারা জীবনেও এগুলো আমি ভুলতে পারবো না।

১। সাংসারিক আর্থিক সমস্যার কারণে অল্প বয়সে বিয়েঃ

বয়স আমার ২২ বছর সাংসারিক অভাব অনটনের কারণে ইন্টারমিডিয়েটের পর আর পড়তে পারিনি। জয়েন করে ফেললাম চাকরিতে তখন আমি গার্মেন্টস সেক্টরে কাটিং ডিপার্টমেন্টে চাকরি করি। পাঁচ ভাই বোন ও বাবা-মা সহ সাত জনের সংসারে বাবার একার পক্ষে আর কোনভাবেই সংসার চালানো সম্ভব হয়ে উঠছে না। এত এত খরচ সবাই পড়ালেখার খরচ সে সাথে থাকা খাওয়ার খরচ সব মিলিয়ে অনেক ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ি আমরা। ঋণের টাকা কোনভাবেই জোগাড় করতে পারতেছি না কারণ ওই সময় সবাই তিন বেলা খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকাও কঠিন হয়ে গিয়েছিল। দিন যাচ্ছে আর সব সময় চিন্তা করতাম কি করে এই খারাপ সময়টা অতিবাহিত করা যায়। মাথায় সব সময় ঘুরপাক খেতো কি করা যায়। আর্থিক সমস্যার কারণে বিশেষ করে ঋণের টাকা পরিশোধ করার জন্য মাঝেমধ্যে মানুষের কথা শুনতে শুনতে এতটা বিরক্ত হয়ে পড়েছি অনেক সময় চিন্তা করতাম যদি কেউ একটা কালো কানা খোড়া মেয়েটি বিয়ে দিতো সে সাথে অনেকগুলো টাকা দিত তাহলে তাকে সেরকম হলেও তাকে বিয়ে করে ফেলতাম। তখন এটা ভাবতাম এই কারণেই যে দেশ গ্রামে দেখেছি অনেকে মেয়ে বিয়ে দিচ্ছে অনেক টাকা পয়সা দিচ্ছে ছেলেকে কিছু একটা ব্যবস্থা করে দিচ্ছে বা ব্যবসা ধরিয়ে দিচ্ছে এজন্য আসলে তখন মনে করতাম বা মনে মনে ভাবতাম। চাকরি করে সামান্য বেতনে কোনরকম পেট চলে যেত। পরিবারের বাবা মা সবাই মিলে বসেও মাঝেমধ্যে আলাপ আলোচনা করতাম কি করা যায়, কি করলে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে। তখন আমার বাবা আমার জন্য গ্রামের একটি মেয়ে দেখলো সত্যি বলতে তারা তখন আমাদেরকে ৫০ হাজার টাকা দিবে এরকম কথা বার্তায় ফাইনাল হয়েছিল।

জীবনে কখনো চিন্তা করিনি যে বিয়ে করবো মেয়ের পক্ষ থেকে যৌতুক নিব কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনায় বাধ্য হয়েছিলাম। তাই আমি সামনে পিছে কোন কিছু না ভেবেই বিয়েতে রাজি হয়েছিলাম শুধুমাত্র একটা কারণে সংসারের এই অভাব অনটন এবং সেই সাথে পাওনাদারদের কথায় নিজেকে আর মানাতে পারতাম না সেই কারণে। যদিও আমার আম্মা আমাকে বেশ কয়েকবার না করেছিল কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে কোনভাবেই পিছপা হওয়ার কোন সুযোগ ছিল না। হ্যাঁ তবে কোন কানা ল্যাংড়া বা খোঁড়া বা কালো মেয়ে আমি বিয়ে করিনি সবকিছুই ঠিক ছিল শুধু একটু খাটো ছিল আর কিছু নয়। বিয়ের পরে অনেক দেনা শোধ করে কিছুটা স্বস্তি পেলাম। কিন্তু সংসারে তো আর একটা সদস্য বেড়ে গেল। সবাইকে নিয়ে খেয়ে পড়ে বাঁচতে হবে সেই থেকেই আজ অব্দি তাকে নিয়ে সংসার করে যাচ্ছি। আলহামদুলিল্লাহ এখন অনেক ভালো আছি।

২। জন্মের সময় মেয়ের মৃত্যু সেই সাথে এক পলকের জন্য দেখতে না পারাঃ

আমি আপনাদের প্রথমেই বলেছিলাম যে আমার তিনজন মেয়ে ও একজন ছেলে আল্লাহতালা আমাকে দিয়েছিল। কিন্তু তার মধ্যে আমার একটি মেয়ে জন্মের সময় দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়ে গেছে। মেয়েকে হারিয়ে অনেক কষ্ট পেয়েছি কিন্তু এরপরেও মেনে নিয়েছি যে আল্লাহতায়ালা যাকে দিয়েছে হয়তো তার হায়াত ওই পর্যন্তই ছিল। আল্লাহ তাআলার তা হুকুম ছিল আল্লাহতায়ালা তাই করেছেন। কিন্তু সবচেয়ে বড় দুঃখের বিষয় হলো এত বড় অবাগা আমি যে আমি আমার এই মৃত মেয়েটির মুখ পর্যন্ত দেখতে পায়নি। কারণ আমার মেয়েটি জন্মগ্রহণ করে গ্রামের বাড়িতে আর আমি ছিলাম গাজীপুরে শহরে। যখন খবরটা জানতে পারি আমি রওনা দিয়েছিলাম বাড়ি যাওয়ার জন্য কিন্তু আমার তার মুখ খানা দেখার ভাগ্যে ছিল না কারণ রাস্তায় একটা অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে প্রায় চার থেকে পাঁচ ঘন্টা আমাদের বাসটি সামনে আগাতে পারেনি। যে আমি দুপুর ১২ টার পর খবর পেয়ে রওনা দিয়েছি সে আমি বাড়ি পৌঁছাতে পৌঁছাতে পরের দিন ভোরে ফজরের সময় পৌঁছেছি। এর মধ্যে আমার কাছে ফোন এসেছিল আমি অবস্থা দেখে বাচ্চাকে আর রেখে দিতে বলিনি, তাকে কবর দিতে বলে দিয়েছিলাম। এই দুঃখ এই বেদনা আসলে কাউকে বলে বোঝানো যাবে না যে কতটুকু কষ্ট পেয়েছি কতটুকু যে যন্ত্রনা পেয়েছি। তখন শুধু মেয়েটির জন্য নিরবে চোখের পানি ফেলেছি।

৩। দীর্ঘ ১২/১৩ বছর চাকরি করার পর হঠাৎ চাকরি হারিয়ে ছয় মাস পর্যন্ত চাকরি না পাওয়ার কষ্ট ও যন্ত্রণাঃ

প্রায় ১২ থেকে ১৩ বছর গার্মেন্টস ট্রেডে চাকরি করেছি কিন্তু হঠাৎ ২০১৭ সালে আমি যেই কোম্পানিতে চাকরি করতাম, সেখানে অন্য একজনের ভুলের কারণে আমাদের আটজনকে কোম্পানি চাকরি থেকে অব্যাহতি দিতে বাধ্য করেন। তখন এমন একটা সিচুয়েশন তৈরি হলো যে দীর্ঘ ছয় মাস পর্যন্ত তেমন কোথাও চাকরি পাচ্ছিলাম না। কোনভাবেই কোথাও থেকে কোন চাকরি যোগাড় হচ্ছিল না। এই ছয় মাস শহরের বাড়িতে পাঁচ জনের সংসার বাসা ভাড়া থাকা খাওয়া সবমিলিয়ে প্রচুর খরচ যা আমি অনেক ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ি। এই ছয়টা মাস আমার কাছে মনে হয়েছিল যেন ৬০০ বছরের চেয়েও লম্বা ছিল কোনভাবেই মাসগুলো কেটে যাচ্ছে না, চাকরি ও ব্যবস্থা হচ্ছিল না। কি যে অস্থিরতা, কি যে টেনশন, কি যে মানসিক দুশ্চিন্তা যে আমি আপনাদের বলে বোঝাতে পারবো না। অনেক ঘোরাঘুরি করার পর চাকরি চিন্তা ছেড়ে দিলাম। আমাদের একটা সমিতি ছিল সে সমিতি থেকে তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা ধার নিয়ে আমি ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এই ব্যবসাতেও আমি নিজের ভুলের কারণে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার লোকশনে পড়ে গেলাম। কোনভাবেই আবার ব্যবসা দাঁড় করাতে পারছিলাম না। তারপর আমার আব্বা-মা এবং ভাইদের পরামর্শে ছোট ভাইকে ব্যবসার অংশীদার বানিয়ে তাকে নিয়ে আবার আমার সেই ব্যবসা চালু করলাম। আলহামদুলিল্লাহ এখন ওই ব্যবসা নিয়ে আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে ভালই আছি।

এখানেও আমার এই খারাপ মুহূর্ত গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমার মনে পড়ে এখনও কষ্টে ঝরঝরিত হয়ে পড়ি যখনি মনে হয় যে আমি আমার মেয়েকে এক নজরের জন্য দেখতে পেলাম না। যদিও এই আফসোস সারা জীবনেও আমি মেটাতে পারবো না এটা আমি জানি তারপরেও মনকে বোঝাতে পারি না।

পরিশেষে বলবো প্রত্যেক মানুষের জীবনে ভালো মুহূর্ত খারাপ মুহূর্ত দুইটাই থাকে, আর এই মুহূর্তগুলোকে আমাদেরকে ভালোটাকে ভালো ভাবে গ্রহণ করে ও খারাপ মুহূর্ত থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। কারণ মানুষের জীবন কখনোই থেমে থাকবে না। তাই আমাদেরকে সকল বাধা বিপত্তি ভেঙে সুন্দরভাবে নিজের জীবনকে গড়ার জন্য এগিয়ে যেতে হবে এটাই হবে আমাদের সকলের জন্য উত্তম কাজ। জানিনা এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে কতটুকু বুঝাতে পেরেছি আশা করি আমার আনন্দ মুহূর্তগুলো আপনারা পড়েছেন সেই সাথে খারাপ মুহূর্তগুলো পড়েছেন, আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাতে ভুলবেন না। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।

I invite @afrinn @monirm @radoan to participate in this contest.

Here is the contest link

ধন্যবাদান্তে
@alauddinpabel

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
8 Comments