আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমি আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে ১৯শে মে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৮ শে শাওয়াল ১৪৪৪ হিজরী, রোজ শুক্রবার দিনটি কেমন গেল আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ।
প্রতিদিনের মতো আজকে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ করি। দাঁত ব্রাশ করার পর আমার হাত মুখ ধুই। তারপর কিছু সকালের খাবার খাই। আজকে সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিলতেছে। গত কয়েক দিনের তুলনায় আজকে আবহাওয়া খুবই ভালো। তাই ভুট্টা দেখার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলাম। চারপাশে ঘুরে ঘুরে দেখলাম। কোন পোকার আক্রমণ হয়েছে কিনা তাও দেখলাম। দেখতে দেখতে ভুট্টার গাছের সাথে কিছু ছবি উঠলাম। ভুট্টা গাছে এখন ভুট্টার কলা ধরা শুরু করেছে। এই সময়ে ভুট্টার ক্ষেতে যাতে কোন প্রকার গরু বাছর না ঢুকতে পারে এদিকে খেয়াল রাখতে হয়। যদি কোন প্রকার গরু বা মহিষ ভুট্টার ক্ষেতের মধ্যে ঢুকে তাহলে ভুট্টার গাছ ভেঙে পড়ে যাবে। এইজন্য দিনে দুই থেকে তিনবার ক্ষেতের আশপাশে গিয়ে দেখতে হয় যে কোন প্রকার গরু মহিষ ক্ষেতের মধ্যে প্রবেশ করেছে কিনা।
ভুট্টার এক ক্ষেত দেখার পরে আরেকটা ক্ষেত দেখার জন্য চলে গেলাম। সেই ক্ষেতের মধ্যে মরিচের চারা রয়েছে। সেই ক্ষেতে যৌথভাবে মরিচ ও ভুট্টার আবাদ করা হয়েছে। মরিচ গাছে মরিচ পেকে গিয়েছে। মরিচগুলো তুলতে হবে এজন্য ভালো করে দেখলাম।
মরিচের খেতে চতুর পাশ ঘুরে ঘুরে দেখলাম। ক্ষেতে পুরাটাই অনেক মরিচ পেকে গেছে। মরিচগুলো তোলার জন্য কিছু শ্রম নিতে হবে। এই ক্ষেতে আমাদের ৬০ শতাংশ জমি। এখানে মরিচ তোদের শ্রমিক লাগে ২০ থেকে ২২ টা। ক্ষেতের মধ্যে ভুট্টার চারা থাকার কারণে মরিচ তুলতে সমস্যা হয়। সেজন্য শ্রমিক পেতেও অনেক সমস্যা হয়। শ্রমিকদের পারিশ্রমিক ও বাড়িয়ে দিতে হয়। মরিচের ক্ষেত দেখার পর বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। বাড়িতে এসে হাতমুখ ধুয়ে খাবার খেয়ে নিলাম। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম।
দুপুর ১৩টার দিকে গোসল করলাম। গোসল করার পর দুপুরের খাবার খেলাম। তারপর জুমার নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে গেলাম। জুমার নামাজ শেষ বাড়িতে চলে আসলাম। তারপর বাড়ির পাশে একটা গাছের নিচে বসে রইলাম। কিছুক্ষণ বসে থাকার পর আমার এক চাচা মসজিদে যাওয়ার জন্য আসতেছে। আমার এই চাচার নাম মোঃতৈয়ব আলী মন্ডল। এই চাচা আমাদের মসজিদের সভাপতি। উনার হাতে একটা কিছু দেখতে পেলাম। জিজ্ঞেস করলাম চাচা আপনার হাতে এটা কি। পরে চাচা এটা হাত থেকে বের করে খুলে আমাকে দেখালো। এটা একটা এজেন্সি চাচাকে দিয়েছে। হজ্ব কাফেলা এজেন্সি। এই এজেন্সির মাধ্যমে চাচা ওমরা হজ্ব করে এসেছেন। সামনে যেহেতু হজের মৌসুম তাই এজেন্সি গুলো তাদের প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। চাচার সাথে একটা ছবি তুলে রাখলাম। তারপর উনি মসজিদে চলে গেলেন।
বিকেল চারটার দিকে বাজারে চলে গেলাম। বাজার থেকে কিছু কাঁচা বাজার করলাম। বাজারে কিছু লিচু উঠেছে। একশত লিচু কত টাকা তা জিজ্ঞেস করলাম। লিচুওয়ালা বললো একশত লিচু ৩৫০ টাকা।
নিচু ওয়ালার পাশে আরেক ভাই কিছু আম নিয়ে এসেছে। আম এক কেজি কত টাকা তা জিজ্ঞেস করলাম। আম ওয়ালা ভাই ১০০ টাকা কেজি আমের দাম চাইলেন। আম মিষ্টি হবে কিনা তা জিজ্ঞেস করলাম। সে বলল তার গাছ পাকা আম খুব মিষ্টি হবে। পরে সেখান থেকে এক কেজি আম কিনলাম। তারপর বাড়ির দিকে চলে আসলাম। বাড়িতে এসে হাতমুখ ধুলাম। রাত ৮ঃ৩০ মিনিটের দিকে রাতের খাবার খেলাম। কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম। ৯ঃ৩০ মিনিটের দিকে কিছু ওষুধ খেয়ে নিলাম। রাত ১০:৫০ মিনিটে ঘুমাতে চলে গেলাম। এই ছিল আমার সারা দিন।
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ॥