আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি। আজকের দিনটি কিভাবে কাটল তো আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইনশাল্লাহ।
আজকে সকাল 6:45মিনিটে ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ করি। তারপর আমার হাত মুখ ধুই। হাত মুখ ধোয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করি। তারপর ৭ঃ১০ গোসল করি। গোসল করে সকালের খাবার খাই।
তারপর তৈরি হয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। বাসা থেকে বের হয়ে প্রতিদিনের মতো একটা অটো রিক্সার মাধ্যমে অফিসের কাছে গিয়ে পৌঁছায়। অফিসের কাছে গিয়ে নেমে অটো রিক্সার ভাড়া দেই। তারপর অফিসের মধ্যে ঢুকে পড়ি।
আমাদের অফিসের বাউন্ডারির মধ্যে বেশ কিছু গাছ রয়েছে। বিল্ডিং এর ভিতরে ওঠার আগে সিঁড়ির কাছে একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ রয়েছে। সে গাছটি খুবই ভালো লাগলো। তাই সেখানে দাঁড়িয়ে কিছু ছবি উঠি নিলাম। কৃষ্ণ চোরা গাছে এখন অবশ্য ফুল নেই। যখন কৃষ্ণ চলে গেছে ফুল ফুটে তখন খুবই মনোমুগ্ধ করে দেখা যায়। আমার পছন্দ কিছু কাছের মধ্যে এই কৃষ্ণচূড়া গাছ রয়েছে। যাইহোক তারপরে আমি ফ্লোর এর মধ্যে চলে গেলাম।
ফ্লোরের মধ্যে গিয়ে আমার মেশিনে আমি বসে পড়লাম। আমার পাশের মেশিনের অপারেটর পলাশ মিয়া সেও চলে এসেছে। সে খুব মনোযোগ দিয়ে কাজ করতেছে। তার সাথে কিছুক্ষণ আলোচনা করলাম। তার গত রাত্রি কেমন কেটেছে তা জিজ্ঞেস করলাম। তার বাসার সবাই কেমন আছে তা জিজ্ঞেস করলাম। সে বলল সবাই ভালই আছে। তারপর আমিও কাজ করতে শুরু করলাম। আমাদের এই কাজটা পরিশ্রমের কাজ। সারাদিন বসে বসে কাজ করতে হয়। যার কারণে শরীরে নানান রকমের অসুখ দেখা দেয়। শরীরেরমধ্যে ব্যথা শুরু হয়ে যায়। তারপরও প্রয়োজনের তাগিদে এ কাজ করতেই হয়।
কাজ করতে করতে লাঞ্চ টাইম হয়ে গেল। তারপর আমরা আমাদের ডাইনিং রুমে চলে গেলাম। সেখানে বসে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। আমরা চারজন একসাথে বসে দুপুরের খাবার খাই। বাকি তিনজনের মধ্যে দুইজনের সাথেই বেশ কয়েক বছর যাবত পরিচিত। কাজের সূত্রে তাদের সাথে পরিচয় হয়েছে। লাল গেঞ্জি পরা ছেলেটার নাম মোঃ সুমন মিয়া। তার বাড়ি গাজীপুর জেলায়। সে আমাদের সাথে অনেক বছর যাবত এই কাজে নিয়োজিত রয়েছে। ছবিতে সাদা পাঞ্জাবি ওয়ালা লোক তার নাম মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন। তার সাথেও অনেক বছর যাবত পরিচিত আমার। সেও প্রাই ১২ বছর যাবত এই পেশাই নিয়োজিত আছে। সে তার পরিবারের খরচ মেটাতে এ কাজ করে থাকে। খাওয়া দাওয়া শেষে আবারো কাজে চলে গেলাম।
ফ্লোর এর মধ্যে এসে কাজ করতে শুরু করলাম। আবারও একটানা প্রায় পাঁচ ঘন্টা কাজ করলাম। আজকের তাপমাত্রা মোটামুটি ভালো ছিল এখানে। যার কারণে কাজের জায়গায় অনেক গরম লাগলো। কাজ শেষ করে সন্ধ্যা সাতটায় অফিস থেকে বের হলাম।
অফিস থেকে বের হয়ে আরেকটা অটো রিক্সার মাধ্যমে বাসার দিকে রওনা করলাম। বাসায় এসে হাত মুখ ধুয়ে নিলাম। তারপর কিছুক্ষণ বসে বিশ্রাম নিলাম। তারপর রান্না করার শুরু করলাম। রান্না করে রাত সাড়ে দশটার দিকে রাতের খাবার খেলাম। তারপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। রাত এগারোটার দিকে ঘুমাতে চলে গেলাম। এই ছিল আজকে আমার সারা দিন।
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য দেখার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। |
---|