আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। সবাই কেমন আছেন। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ভালো আছি। আজকের দিনটি কিভাবে কাটল তা আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইনশাল্লাহ।
আজকেও খুব সকালে ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠেই আমার দাঁত ব্রাশ করি। তারপর হাত মুখ ধুয়ে নিই। তারপর কিছুক্ষণ হাটা চলা করি।
তারপর সকালের খাবার খাই। সকালের খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ বাড়িতে বসে বিশ্রাম নিলাম। সকাল ১১ টার দিকে গোসল করে নিলাম। তারপর গাজীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলাম।
একটা অটোর মাধ্যমে জামালপুর শহরের দিকে রওনা করলাম। আমাদের বাড়ি থেকে জামালপুর শহর 6 km দূরে। জামালপুর বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত যেতে অটোরিকশা ভাড়া লাগে 20 টাকা। যাহোক তারপর জামালপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে পৌছালাম।
জামালপুর বাসস্ট্যান্ডে পৌছাবার পর আমি একটা বাসের টিকিট কেটে বাসের মধ্যে উঠে পড়লাম। আমি যে বাসে উঠলাম তার নাম রাজীব বাস। রাজিব বাস একমাত্র বাস জামালপুর থেকে ময়মনসিংহ রোডে যাতায়াত করে থাকে ঢাকা পর্যন্ত। বাসে উঠে কিছু ছবি উঠিয়ে নিলাম।
রাজীব বাসের কাউন্টারের পাশেই জামালপুর সদর উপজেলা ভবন অবস্থিত। বর্তমানে চাইতে এই ভবনটি অনেক উন্নত হয়েছে। সেবার মানও আগে থেকে ভালো হয়েছে।
জামালপুরের আশপাশের সৌন্দর্য দেখতে দেখতে আমি তখন প্রায় অনেক দূরে চলে এসেছি। দেড় ঘন্টা বাস চলার পর মুক্তাগাছা থানায় এসে পৌছালাম। ছবির মধ্যে যে রাস্তাটা দেখতে পারছেন সেটাই মুক্তাগাছা থানার একটা রাস্তা। বিকেল হাওয়ায় বাজারে অনেক লোকজন। বাজারের মধ্য দিয়ে রাস্তা হওয়ায় বেশ কিছুক্ষণ যানজটে বসে অপেক্ষা করতে হলো। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন রকমের খাবারের জন্য নাম রয়েছে। মুক্তাগাছা থানা মন্ডার জন্য সারা বাংলাদেশের সুনাম রয়েছে। মন্ডা ময়মনসিংহের বিখ্যাত একটা খাবার। যা হোক তারপরে বাস আবারো চলা শুরু করল।
সন্ধ্যা সাতটার দিকে আমরা ময়মনসিংহ বাইপাস রোডে গিয়ে পৌঁছালাম। সেখানেও মোটামুটি যানজট ছিল। সেখানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে বাস আবারো চলা শুরু করল। এভাবে প্রায় 2 ঘন্টা যাবত বাসের মাধ্যমে গেলাম।
গাজীপুর সালনা এলাকায় গিয়ে বাসে তেল উঠিয়ে নিল। তেল উঠানোর সময় বাস থেকে নেমে হাতমুখ ধুয়ে নিলাম। তারপর পাশে একটা চার দোকানে গিয়ে এক কাপ চা খেলাম। প্রায় ৫ মিনিটের মতো সময় অপেক্ষা করতে হলো। গাড়ির মধ্যে তেল উঠানো শেষ হলে গাড়ির হেলপারেরা ডেকে গাড়ির মধ্যে সকলকে তুলে নিল। তারপর বাসটি আবারও যেতে শুরু করলো।
রাত সাড়ে আটটার দিকে আমার বাসার কাছে গিয়ে পৌছালাম। তারপর একটা ফার্মেসী থেকে কিছু ঔষধ ক্রয় করে নিলাম। তারপর বাসায় গিয়ে হাতমুখ ধুলাম। রাত ১১ টার দিকে রাতের খাবার খেলাম। তারপর কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম। রাত বারোটার দিকে ঘুমাতে চলে গেলাম। এই ছিল আজকে আমার সারা দিন।
আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও পড়ার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। |
---|