আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। সবাই কেমন আছেন। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ভালো আছি। আজকের দিনটি কিভাবে কাটল তা আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইনশাল্লাহ।
আজকেও খুব সকালে ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠেই আমার দাঁত ব্রাশ করি। তারপর হাত মুখ ধুয়ে নিই। তারপর কিছুক্ষণ হাটা চলা করি। তারপর সকালের খাবার খাই। খাবার খেয়ে হাটাহাটি করি। আজকেও তেমন কোন কাজ ছিল না। তাই সকাল থেকে বাড়িতে বসে রইলাম।
কিছুক্ষণ বাড়িতে বসে থাকার পর বাড়ির পাশে গাছের নিচে টঙে গিয়ে বসলাম। সেখানে অনেকের সাথে অনেক রকমের আলাপ আলোচনা হল। প্রচন্ড গরমের মধ্যে সবাই বিরক্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। মাঝখানে কিছু বয়স্ক মানুষ ছিল। তারা বলল তাদের জীবনে এরকম আবহাওয়া খুব কমই দেখতে পেরেছে । তারপর কিছু লোকজন তাদের কাজে বাড়িতে চলে গেল। আমি সেখানে কিছুক্ষণ শুয়ে রইলাম। গাছের নিচে হালকা হালকা বাতাস ছিল। সে কারণে সেখানে অনেক লোকজন থাকে।
এখানে বসে থাকতে থাকতে দেখতে পারে আমার চাচাতো ভাই বাড়ি থেকে বের হয়ে কোথায় যেন যাচ্ছে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম কোথায় যাচ্ছ। সে বলল ছুটি শেষ হয়েছে তাই আবার চাকরিতে ফিরে যাচ্ছি। এই বড় ভাইয়ের নাম আব্দুল আউয়াল। সে তার বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে সন্তান। তার বাবা মা সবাই মারা গেছে। তাই তাকে পরিবারের সকল ভরণ পোষণ করতে হয়। তার একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
প্রায় বেলা তিনটা পর্যন্ত বাড়িতে বসে ছিলাম। তারপর গোসল করে নিলাম। গোসল করার পর খাবার খেয়ে নিলাম। তারপর আমিও আমার ছোট কাকা দুজনে মিলে বাজারে উদ্দেশ্যে রওনা করলাম। বাড়ি থেকে বের হয়ে কিছুদিন এগুলো দেখতে পায় রাস্তায় মেরামতের কাজ হচ্ছে। অনেকদিন পর এ রাস্তায় মেরামত করা হচ্ছে।
বাজারে এসেছি ওষুধের দোকানে হালখাতা করার জন্য। এই ওষুধের দোকানের মালিকের নাম মোহাম্মদ নূরুন্নবী মিয়া। তার কাছ থেকে বেশ কিছু ওষুধ বাকি নেওয়া হয়েছিল। তার আজকে হালখাতা। তাই এই দোকানে এসেছি হালখাতা করার জন্য। আমাদের এলাকায় বছরে দুইবার হালখাতার আয়োজন করা হয়। বছরের শুরুতে জৈষ্ঠ মাসে প্রথম বার করা হয়। দ্বিতীয়বার অগ্রহায়ণ মাসে হালখাতা করা হয়। এখানে মিষ্টি দিয়ে হালখাতা কারীদের আপ্যায়ন করা হচ্ছে।
হালখাতা করার পর চাচাতো ভাই দিদার ভাইয়ের দোকানে গিয়ে বসলাম। তার সাথে কিছুক্ষণ তার ব্যবসা সম্পর্কে আলাপ আলোচনা করলাম। তার ব্যবসা কেমন চলিতেছে সেসব জিজ্ঞেস করলাম। সে বলল মোটামুটি ভালই চলিতেছে। আগের তুলনায় এখন বিক্রয় কম হয়। আমি তার শরীর স্বাস্থ্যের কথা জিজ্ঞেস করলাম। কিছুদিন আগে তার চোখে ধানের বাড়ি লেগেছিল। সেটা এখন সেরে উঠেছে।
দিদার ভাইয়ের সাথে কথা বলার পর কিছু কাঁচা বাজার করার জন্য কাঁচাবাজারে চলে গেলাম। সেখান থেকে কিছু কাঁচা বাজার করে নিলাম। আগের তুলনায় তরকারির দাম কমিতেছে। বিশেষ করে পেঁয়াজের দাম তুলনামূলক অনেকটাই কমেছে। পেঁয়াজ তিন দিন আগেও ছিল ৯০ টাকা কেজি। এখন পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি পাওয়া যাচ্ছে। বাজার করতে করতে দোকানদারের সাথে কিছু আলোচনা করলাম। দোকানদারের সাথে কিছু ছবি তুলে নিলাম। তারপর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করলাম।
একটা অটোরিকশার মাধ্যমে বাড়িতে চলে আসলাম। বাড়িতে এসে হাতমুখ ধুয়ে নিলাম। তারপর রাতের খাবার খেলাম। খাওয়া দাওয়া করে কিছুক্ষণ হাটাহাটি করলাম। ভাত খাবার পর দুই থেকে পাঁচ মিনিট হাঁটাহাঁটি করা এটা আমার একটা অভ্যাস। তাই প্রত্যেক ওয়াক্তে খাওয়ার পর আমি হাঁটাহাঁটি করি। তারপর কিছুক্ষণ মোবাইলে ছবি দেখলাম। অবশেষে ঘুমাতে চলে গেলাম। এই ছিল আজকে আমার সারা দিন।
আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও পড়ার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। |
---|