আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি। আজকের দিনটি কিভাবে কাটল তা আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইনশাল্লাহ।
আজকে সকাল 6:মিনিটে ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ করি। তারপর আমার হাত মুখ ধুই। হাত মুখ ধোয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করি। তারপর ৭:২৫ মিনিটে গোসল করি। গোসল করে সকালের খাবার খাই। তারপর আমি আমার অফিসের মধ্যে ঢুকে যাই।
অফিসের মধ্যে ঢুকে আমার কাজের মেশিনটা ভালো করে পরিষ্কার করে নিলাম। আমার বসার চেয়ারের আশপাশেও ভালো করে পরিষ্কার করে নিলাম। তারপর আমার পাশের অপারেটরদের সাথে ভালো মন্দ কথা বলে নিলাম। আমার পাশের অপারেটরের নাম মোঃ কালাম মিয়া। এবং আরেকজনের নাম মোঃ মনসুর মিয়া। ছবির মধ্যে তাদেরকে আপনারা দেখতে পারছেন। তারা দুজনেই অনেক সিনিয়র অপারেটর। তারা দক্ষতার সাথে বেশ কয়েক বছর যাবত সোয়েটারের লিংকিন সেকশনে চাকরি করে আসছে। তাদের সাথে কথা শেষ হলে আমিও আমার কাজে মনোযোগী হলাম।
কাজ করতে করতে বেলা এগারোটা বেজে গেল। আমার সামনের মেশিনের অপারেটর মোঃ আলমগীর হোসেন ও তার বড় ভাই মোঃ শাহিন মিয়া তারা দুজন পাশাপাশি মেশিনে বসে কাজ করে থাকে। তাদের কাজের কিছু সমস্যা হয়েছে সেজন্য আমাদের লাইনের সুপারভাইজার মোঃ পলাশ আকন্দ ভাই তাদেরকে কাজ ভালোভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছে। তাদের কাজের কি ধরনের সমস্যা হয়েছে সেটা আমিও মনোযোগ সহকারে দেখে নিলাম যাতে করে আমার কাজের মধ্যে ওই ধরনের কোন ভুল না হয়। বেলা একটার দিকে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।
দুপুরের খাবার খেয়ে আমি এবং নজরুল ভাই কিছুক্ষণ একসাথে বসে গল্প করলাম। নজরুল ভাইয়ের একটা ছেলে সন্তান রয়েছে। তার ছেলের নাম মোঃ নাফি ইসলাম ওয়ালিদ। ওয়ালীদের বয়স দেড় বছর। নজরুল ভাই ফোনের মাধ্যমে তার ছেলের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে নিল। বাড়ির সবাই কেমন আছে তা জেনে নিল। তারপর আমরা দুজনে মিলে অফিসের মধ্যে প্রবেশ করলাম।
দুপুর ২ টার সময় অফিসের মধ্যে প্রবেশ করে কিছুক্ষণ ফ্যানের নিচে বসে বিশ্রাম নিয়ে নিলাম। তারপর আলমগীর ভাইয়ের সাথে কাজের বিষয়ে কিছু কথা বলে নিলাম। কালো গেঞ্জি পরা ছেলেটার নাম মোঃ আলমগীর। সে বাড়িতে ফোনে কথা বলে নিয়েছে সেজন্য সে খুব হাসিখুশি অবস্থায় কাজ করিতেছে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম আপনার বাড়ির কি অবস্থা সবাই ভালো আছে নাকি। সে হাসতে হাসতে বলল আল্লাহর রহমতে সবাই ভালই আছে। তারপর কিছুক্ষণ কাজ করে কাজ সব ঠিকঠাক ভাবে হচ্ছে কিনা সেটা পরীক্ষা করার জন্য সুপারভাইজার মুহাম্মদ এর কাছে পরীক্ষা করতে দিলাম। আমার ছবির পিছনে সাদা যে সোয়েটার দেখতে পারছেন সেটি আমার করা সোয়েটার। পলাশ আকন্দ ভাই কাজটি ভালো করে দেখে আমাকে দিয়ে দিল। তারপর আমি কাজগুলোকে একসাথে গুছিয়ে কিউ,সি টেবিলের দিয়ে আসলাম। আমার কাজগুলোকে ভালো করে দেখে তারপর কিউসি আমাকে ডাক দিবে। সব কাজ ঠিকঠাক থাকলে ইউসি টেবিল থেকে নিয়ে ডিস্ট্রিবিউশন দের কাছে কাজ আবার জমা দিয়ে আসব। এভাবে কাজ করতে সন্ধ্যা সাতটা বেজে গেল।
সন্ধ্যা সাতটার সময় আমাদের টিফিন টাইম। সে সময় আমরা অফিস থেকে বের হয়ে অফিসের নিচে দোকানে গিয়ে টিফিন খেয়ে আসি। ছবিতে যাদেরকে দেখতে পারছেন তারা সবাই আমাদের লাইনে কাজ করে থাকে। তাদের সাথে আমি অনেকদিন যাবত পরিচিত। টিফিন খাওয়া শেষ হলে আবারও আমরা সবাই অফিসের মধ্যে প্রবেশ করলাম। কাজ করতে করতে রাত প্রায় দশটা বেজে গেল। দশটার সময় আজকে আমাদের ছুটি। দশটার সময় অফিস থেকে বের হয়ে পড়লাম।
দশটার সময় অফিস থেকে বের হয়ে আলী ভাইয়ের হোটেলে চলে গেলাম। ছবিতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন তার নাম মোহাম্মদ আলী। আলী ভাইয়ের হোটেলে আমরা খাবার খেয়ে থাকি। সে নতুন হোটেল খুলেছে। আর হোটেলের খাবারের মান খুবই ভালো তাই আমরা কয়েকজনে মিলে এখানেই খাবার খেয়ে থাকি। রাত ১০ টা ৩৫ এ আমাদের খাবার খাওয়া শেষ হয়ে গেল। তারপর বাসায় এসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে শুয়ে পড়লাম। এই ছিল আজকে আমার সারা দিন। সবার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করলাম সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য ও দেখার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। |
---|