আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। সবাই কেমন আছেন। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ভালো আছি। আজকের দিনটি কিভাবে কাটল তা আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ।
আজকে সকালে আটটা পঁয়তাল্লিশ মিনিটের দিকে ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠে আমি আমার দাঁত ব্রাশ করি। তারপর আমি আমার হাত মুখ ধুয়ে নেই। তারপর সকালের খাবার খেতে হোটেলে চলে যায়।
খাবার হোটেলে গিয়ে সকালের খাবার রুটি খেয়ে নেই। তারপর পাশের একটা দোকানে গিয়ে বসি। সেখানে বসে আমরা চা খেয়ে নিই। আজকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় রাস্তাঘাট একদম ফাঁকা ছিল। হোটেল থেকে খাবার খাওয়া আজকে থেকেই বাদ দিয়ে দিব। হোটেলে খাবার খেলে অনেক ধরনের সমস্যা হয়। সেজন্য আমি আর আমার রুমমেট এখন থেকে রান্না করে খাব।
আজকে জুম্মাবার হওয়ায় গোসল করে নামাজ পড়তে মসজিদে চলে যাই। খুতবা শুরু হওয়ার আগেই মসজিদের মধ্যে প্রবেশ করি। তারপর প্রথমে দু'রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করি। সুন্নত নামাজ আদায় করার পর ইমাম সাহেব খুতবা দেওয়া শুরু করেন। খুতবা খুবই মনোযোগ সহকারে শুনলাম। আজকে পবিত্র আল কুরআনের সূরা যিলযালের তাফসীর করে শোনালেন। যে তাফসিটি খুবই ভালো লাগলো। খুতবার শেষ হওয়ার পর চার রাকাত সুন্নত পড়ে নিলাম। তারপর ইমাম সাহেব আরবিতে খুতবা দেওয়া শেষ করলেন। আরবি খুতবা শেষে জুমার নামাজ আদায় করলাম। নামাজ শেষে সবাই মসজিদ থেকে বের হতে লাগলাম।
নামাজ আদায় করে মসজিদ থেকে বের হয়ে মসজিদের সামনে দেখি একটা ভ্যানের মধ্যে আনারস বিক্রি করিতেছে। আমার হালকা ঠান্ডা ও জ্বর থাকার কারণে একটা আনারস কিনে নিয়ে আসলাম। রুমের মধ্যে আনারস দেখে হোটেলে দুপুরের খাবার খেতে চলে গেলাম।
আজকে সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় এবং বেতনের পর হওয়ায় হোটেল কর্তৃপক্ষ আজকে ভালো রান্না করেছেন। আজকে বিরিয়ানি দিয়ে দুপুরের খাবার খাওয়ানো হলো আমাদের। যারা হোটেলে খাবার খেয়ে থাকে তারা সবাই মোটামুটি খুশি হলাম খাবার খেয়ে।
বিকেল সাড়ে চারটা থেকে একটু ঘুরতে বের হলাম। আমাদের বাসার পাশেই তুরাগ নদী অবস্থিত। তুরাগ নদীতে অনেক লঞ্চ চলাচল করে থাকে। ইসলামপুর থেকে কাশিমপুরে লঞ্চ দিয়ে চলাচল করে অনেক লোক। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এখানে প্রচুর পরিমান লোক চলে আসে।
নৌকা থেকে একজন জেলে মাছ নিয়ে আসলো। ছোট মাছ হওয়ায় অনেক লোক মাছ দেখতে ভিড় জমালো। এখানে টেংরা মাছ চিংড়ি মাছ পুটি মাছ মিশ্রিত ছিল। মাছগুলো ৭০০ টাকা কেজি চাইল। অনেকে ৪০০ টাকা কেজি বলল। মাছ ওয়ালা সে দরে বিক্রি করতে রাজি হলো না। তারপর আমরা সেখান থেকে অন্যদিকে মনোযোগ দিলাম।
আমরা তিনজনে মিলে একটা চা বিক্রি করার দোকানে গিয়ে বসলাম। তারপর আমাদের সাথে থাকা একজন বলল যে এখন চা খাব না এখন অন্য কিছু খাবো। সেজন্য আর একটা ফাস্টফুটের দোকানে গিয়ে বসলাম। যেখান থেকে কিছু খাবার খেয়ে নিলাম। তারপর যার যার গন্তব্যে চলে আসলাম। এই ছিল আজকে আমার সারা দিন।
আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও পড়ার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। |
---|