আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। সবাই কেমন আছেন। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ভালো আছি। আজকের দিনটি কিভাবে কাটল তা আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইনশাল্লাহ।
আজকেও খুব সকালে ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠেই আমার দাঁত ব্রাশ করি। তারপর হাত মুখ ধুয়ে নিই। তারপর কিছুক্ষণ হাটা চলা করি। তারপর সকালের খাবার খাই। অফিসের কাজের জন্য আমি তৈরি হতে থাকি। সকাল আটটার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। একটা অটো রিক্সার মাধ্যমে অফিসে যাই। অফিসে গিয়ে অনেকের সাথে কুশলাদি বিনিময় করি। তারপর কাজে মনোযোগী হয়ে যাই।
ছবিতে যাকে দেখতে পারতেছেন তিনি একজন লিংকিং অপারেটর। তার নাম মোঃ আতাউর রহমান। তার বাড়ি জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ থানায়। তার একটি ছেলে একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। সে তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। তার ছেলের বয়স চার বছর। মেয়ের বয়স সাত বছর। তারা পাঁচ ভাই। সবাই আলাদা আলাদা ভাবে সংসার পরিচালনা করে। আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় আলাদা আলাদা সংসার করাকে বলে আলাদা খাওয়া বা যোইদা খাওয়া। তার উপার্জনের আর কেউ না থাকাই তাকে উপার্জন করে সংসার পরিচালনা করতে হয়। সে একজন সিনিয়র অপারেটর। সে এই লিখিনের কাজ করেই সংসার পরিচালনা করে থাকে।
কাজ করতে করতে বেলা প্রায় একটা বেজে গেল। তারপর হাত মুখ ধুয়ে দুপুরের খাবারের জন্য তৈরি হলাম। অফিসের ক্যান্টিনে গিয়ে দুপুরের খাবার খেলাম। খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে নিলাম। ছাদে গিয়ে কিছুক্ষণ ঠান্ডা বাতাসে দাঁড়িয়ে রইলাম। ছাদে আমার সাথে আতাউর রহমান ভাই এবং আরেক ভাই ছিল। একে অপরের সাথে পরিচিত অনেক দিন যাবৎ। ঠান্ডা বাতাসে শরীরটা ঠান্ডা হবার পর একটা ছবি তুলে নিলাম। সবাই মিলে কিছুক্ষণ আলোচনা করলাম। তারপর আবারও কাজের জায়গায় চলে আসলাম।
দুপুরের খাবারের পর কাজের উদ্দেশ্যে ফ্লোরে আসলাম। এসে কিছুক্ষণ চারিদিকে কাজগুলো দেখলাম। কাজগুলো অপারেটরে করার পর চেক করার জন্য একটা টেবিলের উপরে রাখতে হয়। সেখানে এক একটা করে চেক করে রাখা হয়। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে প্রায় ৪৫ লক্ষ লোক নিয়োজিত আছে। বাংলাদেশের সবচাইতে বড় অর্থ যোগানদাতার মধ্যে তৈরি পোশাক খাত অন্যতম সেরা। বাংলাদেশের মোট তিনটি মেরুদন্ড রয়েছে। একটি হচ্ছে তৈরি পোশাক খাত দ্বিতীয়ত হচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা এবং তৃতীয় হচ্ছে কৃষিখাত। এই তিনটির উপর নির্ভর করে বাংলাদেশে মোট অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে।
ছবিতে যেটা দেখতে পারতেছেন সেটা একটা বুনন মেশিন। ইংরেজিতে যাকে বলে নিটিং মেশিন। এখান থেকে সোয়েটারের প্রত্যেকটি অংশ তৈরি করা হয়। এক সময় এই মেশিনগুলোর খুব কদর ছিল। এখন অটো নিটিং মেশিন আসায় এখানের কদর কমে গেছে। এক সময় এখানকার কাজ শেখার জন্য সিরিয়াল দিয়ে থাকতে হতো। এখন আর সেরকম করতে হয় না। অটো নিটিং মেশিনে কাজ শেখা খুবই সহজ। একটা অপারেটর অটোমেটিং মেশিন অপারেট করতে পারে চার থেকে ছয়টা। আর এই ম্যানুয়েল নিটিং মেশিন একজন একটা মেশিন পরিচালনা করতে পারে।
অফিসের কাজ শেষ করার পর বাসার দিকে রওনা দিলাম। বাজারে এসে সোনালী জাতের মুরগি কিনে দিলাম। বাজারে মুরগির দাম ৩৪০ টাকা কেজি। মুরগিটা নিয়ে বাসার দিকে আসতে শুরু করলাম।
মুরগি কেনার পর একটা মুদির দোকানে গিয়ে দাঁড়ায়। দোকানদারের নাম মোঃ মমিন মিয়া। তার দোকান থেকেই চাল ডাল তেল এবং অন্যান্য জিনিসপাতি ক্রয় করে থাকি। সেখান থেকে চাউল ডাউল পেস্ট সাবান এবং আরো অন্যান্য কিছু জিনিসপাতি কিনে নিলাম। তারপর একটা রিক্সার মধ্যে বাজারগুলো তুলে বাসার দিকে রওনা হলাম। বাসায় এসে হাতমুখ ধুয়ে নিলাম। তারপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে নিলাম। রাত 11 টার দিকে রাতের খাবার খেলাম। তারপর ঘুমাতে চলে গেলাম। এই ছিল আজকে আমার সারা দিন।
আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও পড়ার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। |
---|