আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। সবাই কেমন আছেন। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ভালো আছি। আজকের দিনটি কিভাবে কাটল তা আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ।
আজকে বারোটা পঁয়তাল্লিশ মিনিটে ঘুম থেকে উঠি। কারণ আমাদের অফিসের গতকাল রাতে কাজ করানো হয়েছে। সেজন্য সকাল ছয়টায় ছুটি হয়েছে। অফিস থেকে বের হয়ে হালকা কিছু খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছি। যখন ঘুম থেকে উঠি তখন থেকেই বারোটা ৪৫ বাজে। ঘুম থেকে উঠেই আমি আমার দাঁত ব্রাশ করলাম। তারপর গোসল করে নিলাম। তারপর দুপুরের খাবার খেলাম।
দুপুরের খাবার খেয়ে বাসার পাশে গলির রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে আমরা কয়েকজনে মিলে গল্প করছি। ছবিতে যে কয়জনকে দেখতে পারছেন আমরা সবাই একই সেকশনে চাকরি করে থাকি। সবাই দুপুরের খাবার খেয়ে এখানে দাঁড়িয়ে কাজের বিষয়ে কিছু কথাবার্তা বলাবলি করছি। তারপর নজরুল ভাই বলল এখান থেকে ওয়াইফাই এর লাইন নেওয়া খুবই কাছে হবে আমাদের চলেন একটা রাউটার নিয়ে আসি। তারপর বাসার সবার সম্মতি ক্রমে সবার কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে আমরা বাজারে চলে যেতে চাইলাম।
বাসা থেকে বের হয়ে একটা অটো রিক্সার মধ্যে উঠে পড়লাম। অটোর মাধ্যমে নাওজুর বাজারে গিয়ে পৌঁছালাম। সেখান থেকে একটা বাসের মধ্যে উঠে পড়লাম। তারপর গাজীপুর চৌরাস্তা গিয়ে নামলাম।
গাজীপুর চৌরাস্তায় গিয়ে একটা দোকানে গিয়ে পৌঁছালাম। দোকানদারের নাম মোঃ এরশাদুজ্জামান। সে আগে আমাদের সাথে আমাদের সেকশনে চাকরি করতো। হঠাৎই তাকে দোকানের মধ্যে দেখে আমরা সবাই হাসি দিয়ে বসলাম। তারপর তার সাথে কিছুক্ষণ আলোচনা করলাম। তাকে জিজ্ঞেস করলাম সে কতদিন যাবত এই ব্যবসার সাথে জড়িত আছে। সে বলল আড়াই বছর যাবত এখানে এই ব্যবসার সাথে জড়িত আছে। তারপর তাকে বললাম আমাদের একটা রাউটার দেখান। সে আমাদের জিজ্ঞেস করল কোন মডেলের বা কত টাকার মধ্যে আমরা রাউটার ক্রয় করতে এসেছি। আমরা বললাম সি টুয়েন্টি মডেলের টিপি লিংকের রাউটারটা আছে কি। সে বলল হ্যাঁ আছে নিয়ে আসতেছি।এই বলে সে তার দোকানের রেক থেকে রাউটারটি নিয়ে আসলো। তারপর এটি আমরা ক্রয় করে নিলাম। দোকানের মেমু সহ নিয়ে দোকান থেকে বের হয়ে পড়লাম।
আমার রুমমেট মোঃ নজরুল ভাই এবং আমি দুজনে মিলে এ যাবত হোটেলে খাওয়া দাওয়া করতাম। হোটেল থেকে খাওয়া বাদ দিয়েছি গতকালকে। সেজন্য আজ থেকে আমরা রান্না করে খাব। বাজার করতে চৌরাস্তা মাছ বাজারে চলে আসলাম। মাছ বাজার থেকে আড়াই কেজির মত দুইটা রুই মাছ কিনে নিয়ে আসলাম। আজকে শনিবার হওয়ায় মাছ বাজারে তেমন একটা ভিড় নেই দামও একটু কম। দেড় কেজির মতো রুই মাছ ২৪০ টাকা কেজি ধরে দুইটা মাছ ক্রয় করে নিয়ে আসলাম।
মাছ বাজার থেকে বের হয়ে আমরা অনুপম সুপার মার্কেটের কাছে এসে দাঁড়ালাম। ছবিতে যে বড় বিল্ডিং দেখতে পারছেন এটার নাম অনুপম সুপার মার্কেট। এখান থেকে এক মিনিটের মতো হেঁটে অটো রিক্সার কাছে চলে আসলো। তারপর একটা অটো রিক্সার মধ্যে উঠে আবারো নাওজুর বাজারে চলে আসলাম।
ইসলামপুর রোডের একটা দোকান থেকে আমরা বাজার ক্রয় করে থাকি। ছবিতে যে লোকটাকে দেখতে পারছেন তার নাম মোঃ মমিন মিয়া। আমি তার দোকান থেকেই চাউল ডাউন মসলা আলু পিয়াজ গোসলের সাবান পেস্ট এবং অন্যান্য জিনিসপাতি ক্রয় করে থাকি। আজকেও তার দোকান থেকে এসব জিনিসপাতি কিনে নিয়ে আসলাম । বাসায় এসে সবাই মিলে রান্নার কাজে লেগে পড়লাম। রান্না করে খাবার খেয়ে সন্ধ্যা সাতটার সময় অফিসের মধ্যে প্রবেশ করলাম।
আগামী কালকে সকাল আটটা থেকে অফিস খোলা হাওয়ায় আজকে রাত বারোটায় ছুটি হয়ে যাবে। অফিসের মধ্যে আমার কাজটি শেষ করে ইনস্পেকশনের কাছে দিয়ে আসলাম। ইনিস্পেকশন চেক করে আমাকে ডাক দিল। আমি কাজ ডিস্ট্রিবিউটরের কাছে জমা দিয়ে আসলাম। ৯ঃ৪০ মিনিটের দিকে আমি অফিস থেকে বের হয়ে পড়লাম। আমার ঠান্ডা লাগার কারণে মাথা খুবই ব্যথা করতেছিল। সেজন্য বের হয়ে বাসায় এসে রাত ১০: ২০থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ি । এই ছিল আজকে আমার সারা দিন।
আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও পড়ার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। |
---|