আজকে সকাল ছয়টা চল্লিশ মিনিটে আমি ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠে আমি দাঁত ব্রাশ করি। তারপর হাতমুখ ধুয়ে নিলাম। আমার মরিচের চারা গুলো ভালো করে নিড়ানোর জন্য কিছু শ্রমিক নিয়েছি সেগুলোকে ক্ষেতের মধ্যে রেখে আসতে সকাল সকাল আমি আমার ক্ষেতে চলে গেলাম।
শীতের সকাল হওয়ায় শীতের পোশাক পড়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলাম। আমার আবাদি জমিতে গিয়ে শ্রমিক গুলোকে আমার জমির মধ্যে বসিয়ে দিলাম। শ্রমিক গুলোকে ক্ষেতের মধ্যে রেখে আমি বাড়ির দিকে রওনা করলাম। আমার জমি থেকে বাড়িতে আসতে সময় লাগে ১২ থেকে ১৪ মিনিট। বাড়িতে এসে আমি সকালে খাবার খেয়ে নিলাম। তারপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। বিশ্রাম নিয়া শ্রমিকের খাবার নিয়ে আমি আমার আবাদি জমিতে চলে আসলাম।
আমি আমার জমিতে এসে শ্রমিক গুলোকে সকালের খাবার খেতে বললাম। তখন শ্রমিকরা এসে সকালের খাবার খেতে শুরু করল। আমি তাদেরকে খাবারগুলো সমানভাগে বন্টন করে দিলাম। খাবারের মাঝে মাঝে তাদেরকে কলস থেকে পানি গ্লাসে ঢেলে দিলাম। শ্রমিকেরা খাবার শেষ করে বসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে নিল। বিশ্রাম নিয়ে তারা কাজ শুরু করল। আমিও তাদের সাথে কাজ করা শুরু করলাম। দুপুর একটা সময় আমি দুপুরের খাবার আনতে বাড়িতে চলে আসলাম। বাড়িতে এসে দুপুর খাবার গুলো নিয়ে পুনরায় ক্ষেতে চলে আসলাম। আমি যখন খাবার গুলো আমাদের জমিতে নিয়ে আসলাম তখন শ্রমিকেরা এসে দুপুরের খাবার খেয়ে নিল। দুপুরের খাবার খাওয়া শেষ হলে আমি বাড়িতে চলে আসলাম। বাড়িতে এসে গোসল করে নিলাম। গোসল করে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। দুপুরের খাবার খেয়ে বাজারের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা করলাম।
বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় একটা অটো রিক্সার জন্য দাঁড়িয়ে রইলাম। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর একটা অটো রিক্সা আসলো তারপর সেটা রিক্সার মধ্যে উঠে আমি আমাদের বাজারে চলে গেলাম। বাজারে গিয়ে দেখি মরিচ কিনতে শুরু করেছে। আমি গিয়ে প্রথমে আমার প্রয়োজনে একটা খাতা কিনে নিয়ে আসলাম। তারপর আমার যে কাজ সে কাজ শুরু করলাম। তারপর আমার বাবাকে জিজ্ঞেস করলাম আজকে কত টাকা কেজি মরিচ কিনতেছেন। বাজার দর জেনে তারপর চেয়ার টেবিলে বসলাম।
সন্ধ্যা ছয়টা বিশ মিনিটের দিকে কাঁচামরিচ গুলো বস্তায় ভরে ট্রাকের মধ্যে উঠাতে শুরু করলাম। মরিচগুলো বস্তায় ভরার জন্য এবং বস্তা গুলো ট্রাকের মধ্যে ওঠানোর জন্য আলাদা লোক রয়েছে। সে লোকগুলো খুবই পরিশ্রম করে বস্তা গুলো টাকের মধ্যে উঠিয়ে থাকে। সন্ধ্যা সাতটার দিকে আমাদের বাজার থেকে প্রথম ট্রাক ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করে।
আমাদের বাজার থেকে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় ট্রাক কাঁচামরিচ ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছিয়ে দেওয়া হয়। এসব ট্রাকগুলো বোঝাই করা এবং অন্যান্য হিসাব এর কাজগুলো করতে রাত সাড়ে দশটা বেজে গেল। তখন আমাদের বাজার প্রায় ফাঁকা হয়ে গিয়েছে এবং সকল দোকান পাঠ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রাত দশটা ৩০ মিনিটের দিকে বাজার থেকে হেঁটে হেঁটে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করলাম। বাড়িতে এসে হাতমুখ ধুয়ে নিলাম। তারপর রাতের খাবার খেলাম। খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ বসে রইলাম।
খাওয়া-দাওয়া শেষে বিছানায় শুয়ে কিছুক্ষণ মোবাইলে ইউটিউবের মাধ্যমে কিছু খবর দেখে নিলাম। খবর গুলো দেখে রাত সাড়ে এগারোটার দিকে আমি ঘুমাতে চলে গেলাম। এই ছিল আজকে আমার সারাদিন।
আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও পড়ার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। |
---|