আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। সবাই কেমন আছেন। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ভালো আছি। আজকের দিনটি কিভাবে কাটল তা আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ।
আজকেও খুব সকালে ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠেই আমার দাঁত ব্রাশ করি। তারপর হাত মুখ ধুয়ে নিই। তারপর কিছুক্ষণ হাটা চলা করি।
তারপর সকালের খাবার খাই। সকালের খাবার খেয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা করলাম।
অফিসের মধ্যে প্রবেশ করে প্রতিদিনের মতো আজকেও মেশিন পরিষ্কার করে নিলাম। তারপর আশপাশের জায়গাগুলো হালকা পরিষ্কার করলাম। তারপর আমি আমার কাজে মনোযোগী হলাম। কাজ করতে করতে পাশের মেশিনের অপারেটরের সাথে কিছুক্ষণ ভালো মন্দ কথা বললাম। তাকে জিজ্ঞেস করলাম সে কেমন আছে। সে ভাই বলল আল্লাহর অশেষ রহমতে সে খুব ভালো সুস্থ আছে। তারপর দুজনেই মনোযোগ দিয়ে কাজ করা শুরু করলাম।
আমার কাজের কিছু ত্রুটি হয়ে গিয়েছিল। কাজের সোলডারে সোল্ডার ট্যাব লাগাতে ভুলে গিয়েছিলাম। তাই সেটিকে এখন মেরামত করছি। এই কাজটি সংশোধন করতে আমার প্রায় ৪০ মিনিটের মতো সময় লেগে গেল। বাড়তি সময় লাগলেও কাজের কোন মত মাল ঠিক রাখার জন্য সঠিকভাবে করতেই হলো।
দুপুর একটা সময় দুপুরে খাবার খেতে বাসার দিকে চলে আসি। বাসায় এসে হাতমুখ ধুয়ে নিলাম। তারপর দুপুরের খাবার খেলাম। দুপুরের খাবার খেয়ে রুমের মধ্যে কয়েক মিনিট বিশ্রাম নিলাম। তারপর অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
বাসা থেকে বের হয়ে কিছুক্ষণ হেঁটে একটা চা স্টলে গিয়ে চা খেলাম। বেশিরভাগ সময়ই দোকানে চা খেয়ে থাকি। দোকানদারের নাম মোঃ আব্দুল মুত্তালিব। সে একসাথে তিন ধরনের ব্যবসা করে আসছে। মোদির দোকান সাথে চা বিক্রি করে। সে সাথে এখন নতুন করে কাঁচা তরকারিও বিক্রি করা শুরু করেছে।
দুপুর ১:০০ টার আগে যে কাজগুলো করেছি সেটারই ছবি এটা। এই কাজগুলোকে এখন উল্টিয়ে সোজা করে কাজ চেক করার জন্য ইন্সপেকশন টেবিলে দিয়ে আসতে হবে। কাজটি দিয়ে আমি আবার মেশিনে চলে আসলাম।
মেশিনে এসে দেখি আমার কাজ করার সুতা শেষ হয়ে গেছে প্রায়। তাই নতুন করে শ্রোতা আনার জন্য আমি উইন্ডিং মেশিনে চলে গেলাম। উইন্ডিং মেশিনে এসে আমার প্রয়োজনীয় সুতা নিয়ে নিলাম। তারপর আবারো আমার মেশিনে গিয়ে কাজ করা শুরু করলাম।
ছবিতে যে লোকের ছবি দেখতে পাচ্ছেন তার নাম মোঃ আল-আমিন হোসেন। সে আজকে বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলে যাচ্ছে। সে আমাদের সাথে অনেকদিন যাবত চাকরি করেছে। সে আজকে ৫ঃ৩০ মিনিটে বিমানে উঠে চলে যাচ্ছে নতুন চাকরির আশায়। সে ইমুতে এই ছবিটি দিয়েছে আমাকে। তারপর তার সাথে ভিডিও কলে কিছুক্ষণ কথা বললাম।
রাত ৯ টা ৪০ মিনিটের দিকে সুপারভাইজার এসে তার দৈনিক টার্গেট গুলো বুঝে নিচ্ছে। প্রত্যেক অপারেটরকে জিজ্ঞেস করছে যে আজকে কত পিচ কাজ করা হয়েছে। অপারেটর কত পিস কাজ করেছে তা সুপারভাইজার কে জানিয়ে দিচ্ছে। অবশেষে রাত দশটা আমাদের ছুটি হয়ে গেল। অফিস থেকে বের হয়ে বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে হাতমুখ ধুয়ে নিলাম। এই ছিল আজকে আমার সারা দিন।
আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও পড়ার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। |
---|