আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি। আজকের দিনটি কিভাবে কাটল তা আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইনশাল্লাহ।
আজকে সকাল ৫ টায় ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ করি। তারপর আমার হাত মুখ ধুই। হাত মুখ ধোয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করি। তারপর কিছু সকালে খাবার খাই। আজকে সকালে কোন কাজ ছিল না তাই বাড়িতে ছিলাম। কাজ না থাকার পরও সকালে উঠি কারণ খুব সকালেই আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। যখন সকাল ৯ টা ২০ বাজে তখন আমার ভাতিজা আমাকে ডাকতে আসে। সে দোতলার ফাউন্ডেশন দিয়ে বাড়ি বানাচ্ছে। সেজন্য কিছু মুরুব্বীদের ডেকে নিয়ে যাচ্ছে। মুরুব্বিদের সাথে আমাকেও ডেকে নিয়ে গেল। ভাতিজা নাম মোঃ স্বপন আলী। সে সাত বছর যাবৎ মালেশিয়া প্রবাসী। অনেকদিন পর বাড়িতে এসেছে তাই সে বাড়ির কাজ করিতেছে। ভিত্তি প্রস্তরের কাজ শুরু করবে তাই সবাইকে ডেকে নিয়ে গেল। সেখানে ভিত্তি প্রস্তরের কাজ শুরু করলো। মুরুব্বীরা সেখানে কিছু ইট বালি সিমেন্টের মিশ্রণ ঢেলে দিলো। তারপর কিছু মিষ্টির ব্যবস্থা করলো। বাড়ির সবাই মিলে মিষ্টি খেলাম। তারপর বাড়ির দিকে চলে আসলাম।
বাড়িতে এসে বাড়ির পাশে টংএর উপরের বসে রইলাম। তারপর দেখি আমার চাচাতো ভাই মোহাম্মদ দিদার ভাই তার মোটরসাইকেল দিয়ে চোখের ডাক্তারের কাছে যাইতেছে। তার চোখে ধানের আঘাত লেগেছে। ধান মাড়াই করার সময় একটা দান এসে তার চোখে আঘাত করে। যার কারণে তার চোখ খুব লাল হয়ে গিয়েছে। চোখের চিকিৎসার জন্য সে এখন ডাক্তারের কাছে যাইতেছে।
আমি যেখানে বসেছিলাম তার পাশের বাড়ি আমার চাচার বাড়ি। চাচার নাম মোহাম্মদ তৈয়ব আলী মন্ডল। তিনি নতুন করে একটা গোয়াল ঘর দিয়েছেন। সেই ঘর দেখতে গেলাম। চাচার মোট পাঁচটি গরু রয়েছে। গোয়াল ঘর থেকে সে গরুগুলো বাহিরে বের করে রাখতেছে। কারণ গোয়াল ঘর পরিষ্কার করবে। গোয়াল ঘরের মধ্যে গিয়ে চাচার সাথে কিছুক্ষণ আলাপ করলাম। তার গোয়াল ঘর করতে প্রায় 2 লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে।
দুপুর দুইটার দিকে গোসল করলাম। গোসল করে খাওয়া দাওয়া করলাম। খাওয়া দাওয়া করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। রাত তিনটা বিশের দিকে বাজারের দিকে রওনা হলাম। আমার সাথে আমার এক ভাতিজাও ছিল। সে একটা ডোল কিনবে। ধান রাখার জন্য গোল যে একটা বস্তু আছে তাহাকেই আঞ্চলিক ভাষায় ডোল বলে। আমাদের পিছনের যে বস্তুটা দেখতে পারতেছেন সেটার নামে ই ডোল। একটা ডোলের দাম প্রায় তিন হাজার টাকা। ডোলের ধারণ ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে দাম কম বেশি হয়। আরো বড় ডোল হলে সেটার দাম আরো বেশি হবে। আর যদি আরো ছোট হয় তাহলে দাম আরো কম হবে। এটা এক ধরনের প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
ডোল কিনার পর তালের আটি খাওয়ার জন্য তালওয়ালার কাছে আসলাম। একটা তাল বিশ টাকা দাম। এই বছর এটাই প্রথম খেলাম। খেতে খুব মজা লাগলো। তারপর কিছু ওষুধ কেনার জন্য তা ওষুধের দোকানে গেলাম।
ওষুধের দোকানে গিয়ে কিছু ওষুধ কিনে নিলাম। এই ওষুধের দোকানের নাম রায়হান ফার্মেসী। আমি এই দোকান থেকেই ওষুধ কিনে থাকি। ঔষধের দোকানদারের নাম মোঃ সুজন মিয়া। তার সাথে আমার খুব ভালো সম্পর্ক।
ওষুধ কিনার পর আমাদের বিদ্যালয়ের মাঠে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখি ফুটবল খেলিতেছে। তারা এই বিদ্যালয়ের ছাত্র। কিছুক্ষণ ফুটবল খেলা দেখলাম। তারপর বাড়ির দিকে রওনা হলাম। বাড়িতে এসে হাতমুখ ধুলাম। ৮:৩০ মিনিটের দিকে রাতের খাবার খেলাম। তারপর কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করলাম। তারপর ঘুমাতে চলে গেল। এই ছিল আমার আজকের সারাদিন।
আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ॥