Better life with steem.the diary game .26/04/2023. The simple day.

আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আল্লাহর রহমতে আমিও বেশ ভালো আছি। আজকের দিনটি কেমন কাটল সেটি আপনাদের মাঝখানে তুলে ধরবো ইনশাল্লাহ।

20230427_162232.jpg

20230426_181317.jpg

20230426_180937.jpg

আজকে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠেই নিয়মিত কাজের জন্য ক্ষেতে পানি দেওয়ার জন্য আমাদের সেচ পাম্পের কাছে চলে যায়‌। সিরিয়াল মতো আজকে আমাদের পানির দেওয়ার সিরিয়াল। সেজন্য ঘুম থেকে উঠেই দাঁত ব্রাশ করে খাওয়া দাওয়া করে কাজের জন্য ক্ষেতে চলে যায়। সকাল ছয়টায় আমি আমাদের মোটর পাম্পের ওখানে চলে যায়। যাওয়ার পর আমার ক্ষেতের দিকে পানি ছেড়ে দেই। ধানের ক্ষেতে এই সময়ে পানি দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ শেষ মুহূর্তে পানি না দিলে ধানে প্রচুর যেটা হয়। আর এই বৎসর তাপদাহের কারণে ফসলের সেচ দেওয়াটা আরো গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সময়ে ধানের ধানা পুক্ত হয়। এবং দান খুব পরিপূর্ণ হয় এবং কালারও ভালো হয়। প্রত্যেকটা আবাদের একটা টানিং পয়েন্ট আছে। এখন হচ্ছে ধানের সেচের স্টার্নিং পয়েন্ট। শেষ মুহূর্তের সেচ খুব গুরুত্ব পূর্ণ। ধানের ক্ষেতে পানি ছেড়ে দিয়ে পাশের আরেকটি ক্ষেত পর্যবেক্ষণ করি। সেই খেতে আমার চাচা এবং চাচাতো ভাই দুজনে মিলে বিষ প্রয়োগ করিতেছে।
20230425_105246.jpg

20230425_104911(0).jpg
এই বিষ দেওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে যাতে ধানের দানা খুব ভালো হয়। এইখানে আমার চাচার জমি প্রায় তিন একর। তাই দুজনে মিলে খেতে বিষ দিতে এসেছে। তিন এখন ধানের জমিতে প্রায় ১৬ থেকে ১৮ ট্যাঙ্কে বিশ দিতে হয়। এক ট্যাংকি বিষ দিতে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মিনিট সময় লাগে। সময় যাতে করে কম লাগে সেজন্য ২ ট্যাংকি বিষ দেওয়ার জন্য নিয়ে গেছে। তাদের এই দিন একর জমিতে বৃষ্টিতে দুইজনের প্রায় আড়াই থেকে তিন ঘন্টা সময় লাগে। এরমধ্যে আমি প্রায় এক থেকে দেড় ঘন্টা তাদের সাথে ছিলাম। তাদের দান আমাদের থেকে দেরিতে কাটতে হবে। কারণ তারা আমাদের থেকে দেরি করে ধানের চারা রোপন করেছে। তাদের ধানের চারা দেরিতে এরকম করার কারণ হচ্ছে তাদের খেতে সরিষা ছিল। সরিষা তুলতে দেরি হয়েছে। সে সরিষা তুলে খেতে দুই থেকে তিন দিন শুকিয়ে তারপর বাড়িতে এনেছিল। এবং সেই ক্ষেত্রে ছাড়া রোপনের প্রক্রিয়া শেষ করতে প্রায় ১০ থেকে ১২ দিন সময় দেরি হয়েছে। তাদের বিষ দেওয়া দেখতে দেখতে প্রায় দুপুর দুইটা বেজে গিয়েছিল। তারপর আমি বাড়িতে এসে দুপুরের খাবার খাই। দুপুরের খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ বিরতি নিয়ে পড়ে আবার আমি আমার ক্ষেতে চলে যায়।
20230426_181454.jpg
ধানের ক্ষেতে পানি কোন পর্যন্ত হয়েছে তা দেখে আবার একটা গাছের নিচে বসে থাকি। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে পানি দেওয়া শেষ হয়। পানি দেওয়া শেষ হলে আমি মটর বন্ধ করে বাড়িতে চলে আসি। বাড়িতে এসে গোসল করে তারপর আবার বাজারে চলে যাই। বাজারে গিয়ে কিছু কাঁচা বাজার করি। বাজারে কিছু মৌসুমী গাছ উঠেছিল। আমি কিছু মৌসুমী গাছ দেখলাম।

20230426_172945.jpg
সে গাছগুলোর মধ্যে আম লিচু পেয়ারা ডালিম ও অন্যান্য ছিল। এখন আমাদের বাজারে প্রত্যেকদিন এসব গাছ বাজারে ওঠে। প্রত্যেকদিন প্রায় ২০ থেকে ৩০ টাকা বিক্রি হয়। এসব গাছ কিনে নিয়ে অনেকেই তাদের বাড়ির আঙিনাতে রোপন করে। কেউ পছন্দের গাছ কিনে কেউ অন্যের পছন্দের গাছ কিনে। তার বাড়ি থেকে তার ছেলে পছন্দ করে বলে দেয় সে অনুযায়ী কিনে নিয়ে যায়। আবার অনেক সময় নিজের পছন্দের গাছ কিনে নিয়ে আসে। এক একটা গাছের দাম এক এক রকম হয়ে থাকে। একটা লিচু গাছের দাম ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। একটি আম গাছের দাম 200 থেকে 300 টাকা। একটা পেয়ারা গাছের দাম ৩০ থেকে ৫০ টাকা। একটা ডালিম গাছের দাম ৪০ থেকে ৮০ টাকা। একটা নারিকেল গাছের চারার দাম দেড়শ থেকে আড়াইশো টাকা। এভাবে চারার সাইজ অনুযায়ী এবং গুণগত মান অনুযায়ী চারার দাম এক এক রকম হয়ে থাকে। ফলজ গাছের চার আর চাহিদার উপরও অনেক সময় দাম বৃদ্ধি হয়ে থাকে। যেমন কাঁঠাল গাছের চাহিদা কম সেজন্য একটা কাঁঠাল গাছের চারার দাম 20 থেকে 30 টাকা। এবং একটি নারিকেল গাছের চারা দাম ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। কারণ নারিকেলের চারা অনেক চাহিদা থাকে আমাদের বাজারে। কিছুক্ষণ চারার বাজার দেখার পর অটো রিক্সার মাধ্যমে আমি আমার বাড়িতে চলে আসি। যখন আমি বাড়িতে আসি তখন সময় রাত ৮ঃ৩০ মিনিট। বাড়িতে এসে সাবান দিয়ে হাত মুখ ধুয়ে পড়ে রাতের খাবার খেতে বসে গেলাম। বাবা-মা সাথে একসাথে রাতে খাবার খেলাম। পরে কিছুক্ষন মোবাইলে ইউটিউব এর মাধ্যমে খবর দেখলাম। এর মধ্যে আমার এক চাচাতো ভাই আমার বাড়িতে এসে আমার সাথে কিছুক্ষণ গল্প করল। দুই ভাই মিলে কিছুক্ষণ গল্প করার পর সে তার বাড়িতে চলে গেল। আমার চাচাতো ভাইয়ের নাম মোঃ আশরাফুল আলম। তার বয়স ৩৬ বছর। তার একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তার পরিবারটি খুব সুখী পরিবার। সে তার বাবা মায়ের ছোট ছেলে। তার আরো দুটি বড় ভাই রয়েছে। বড় ভাইয়ের নাম মোঃ মোস্তফা হোসাইন। মেজ ভাইয়ের নাম মোঃ সানোয়ার হুসাইন। কিছুক্ষণ পর আশরাফুলের বাড়ি থেকে তার মোবাইলে কল চলে আসে। পরে আশরাফুল তার বাড়িতে চলে যায়। এভাবেই কেটে গেল আমার সারাটা দিন।

আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
6 Comments