আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি। আজকের দিনটি কিভাবে কাটল তো আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইনশাল্লাহ।
আজকে সকাল 7টায় ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ করি। তারপর আমার হাত মুখ ধুই। হাত মুখ ধোয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করি। তারপর কিছু সকালে খাবার খাই। আজকে সকালে কোন কাজ ছিল না তাই বাড়িতে ছিলাম। কাজ না থাকার পরও সকালে উঠি কারণ খুব সকালেই আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। আমাদের কৃষিকাজ এখন আর নেই। ধান কাটার কাজ শেষ। আর এক মাস পর শুধু ভুট্টা তোলার কাজটা রয়েছে। সেজন্য বাড়িতেই বসে রইলাম। আমাদের বাড়ির পাশে একটা গাছের নিচে ট্ংএ গিয়ে বসলাম। এখানে আরো অনেকেই বসেছিল। সবারই কাজ শেষ। তাই এখানে বসে সবাই গল্প করে। গল্প করার পর তাদের সাথে কিছু ছবি তুলে নিলাম।
বসে থাকতে থাকতে বেলা প্রায় এগারোটা বেজে গেল। তখনই হঠাৎ করে আকাশে কালো মেঘ জড়ো হয়ে গেল। আমাদের কোন কাজ না থাকলেও বাড়ির পাশে বড় ভাই তার খড়ের পালা দেওয়ার কাজ করতেছিল। তার নাম মোঃ ইসমাইল হোসেন। সে আরো দুইটা শ্রমিক নিয়েছে খড়ের পালা দেওয়ার জন্য। আকাশের অবস্থা খারাপ দেখে সেই বাড়ির দিকে আসতেছে। বৃষ্টি আসলে খড়ের পালা ভিজে যাবে তাই একটা পলিথিন বের করার জন্য। বাড়িতে এসে বড় একটা পলিথিন বের করে খড়ের পালাটি ঢেকে দিল। আমরা তখন যার যার ঘরে চলে গেলাম যখন বৃষ্টি নেমে পড়ল। বৃষ্টির পর গোসল করে নিলাম। গোসল করে খাওয়া দাওয়া করে নিলাম। তারপর কিছুক্ষণ শুয়ে রইলাম।
শুয়ে থাকার কিছুক্ষণ পর আমার মা আমাকে পাকা আম কেটে দিল। তারপর আমটি খেলাম। এই আমগুলো খুবই সুস্বাদু আম। পল্লী এলাকার গাছের আম কোন প্রকার মেডিসিন দেয়া নেই এসব আমে। তাই আমগুলো তৃপ্তির সাথে খেতে পারলাম।
অনেক দিন পর আমাদের বাড়িতে আমার এক মামা তার বউ পোলাপান নিয়ে বেড়াতে এসেছে। তারা বাড়িতে এসে হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নিল। তারপর আমি আর আমার মামা দুজনে মিলে বাজারে চলে গেলাম। বাজারে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম। তারপর একটা দোকানে বসে কিছু খাওয়া-দাওয়া করলাম।
বাজারে থাকা অবস্থায় আমার এক ভাতিজা বাজারে এসে আমার সাথে দেখা করলো। ভাতিজার নাম মোহাম্মদ স্বপন মিয়া। সে একজন মালয়েশিয়া প্রবাসী। বাজারে এসে ভাতিজা আমাদের একটা সেভেন আপ খাওয়ালো। এখানে বসে অনেকক্ষণ গল্প করলাম।
অনেকক্ষণ গল্প করার পর ভাতিজা আমাদের পান খাওয়ার জন্য অনুরোধ করলো। আমি সাধারণত পান খাই না। ভাতিজা বলল চাচা এই দোকানের পান খুব মজা লাগে একটা খেয়ে দেখো । ভাতিজার অনুরোধে আমরা তিনজনে মিলে তিনটা পান খেলাম। পানের স্বাদ আমার কাছে কখনোই মজাদার হয় না তার পরেও ভাতিজার অনুরোধে পান খেয়ে বললাম যে আসলেই পান খুব মজা হয়েছে।
এভাবে অনেকক্ষণ সময় কাটালাম। তারপর সবাই বাড়িতে চলে আসলাম। বাড়িতে এসে হাতমুখ ধুয়ে নিলাম। হাত মুখ ধোয়ার পর রাতের খাবার খেয়ে নিলাম। খাবার পর কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম। খাবার পর কিছুক্ষণ হাঁটলে শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তারপর কিছুক্ষণ পরিবারের লোকের সাথে আলাপ আলোচনা করলাম। তারপরে আমি শুয়ে পড়লাম। এই ছিল আমার আজকের সারাদিন। |
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য ও দেখার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। |
---|