আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি। আজকের দিনটি কিভাবে কাটল তা আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইনশাল্লাহ।
আজকেও খুব সকালে ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠেই আমার দাঁত ব্রাশ করি। তারপর হাত মুখ ধুয়ে নিই। তারপর কিছুক্ষণ হাটা চলা করি। সকাল আটটার দিকে সকালের খাবার খাই। খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিই। তারপর গোসল করে শেরপুর জেলায় যাওয়ার জন্য তৈরি হতে থাকি। আমার সাথে আমার ছোট কাকা মোহাম্মদ পারভেজ হোসেন সেও যাবে। দুজনেই তৈরি হয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে পড়লাম।
বাড়ি থেকে বের হয়ে একটা অটো রিক্সার মাধ্যমে জামালপুর শহরে চলে আসলাম। জামালপুর শহর থেকে আরেকটা অটো রিক্সার মাধ্যমে শেরপুর বাস স্ট্যান্ডে চলে আসলাম। এখান থেকে বাসের মাধ্যমে শেরপুর শহরে চলে আসলাম। জামালপুর থেকে শেরপুর শহরের বাস ভাড়া ২৫ টাকা। শেরপুর শহরে এসে বাস থেকে নেমে পড়লাম।
শেরপুর বাস স্ট্যান্ডের নামার পর সুন্দর একটি ভাস্কর্য দেখতে পেলাম। যে ভাস্কর্যের চারটি সুন্দর লেখা অবশিষ্ট আছে। চারটি লেখায় ইসলামিক লেখা। দেখে খুবই ভালো লাগলো। তারপর সেখান থেকে আরেকটা অটো রিক্সার মাধ্যমে সিএনজি স্ট্যান্ডে চলে গেলাম।
শেরপুর জেলার সিএনজি স্ট্যান্ডে সুন্দর একটা শাপলা ফুলের ভাস্কর্য রয়েছে। শাপলা ফুলের ভাস্কর্য দেখে খুবই ভালো লাগলো। শাপলা ফুলের ভাস্কর্যের জন্য এখানকার পরিবেশটা খুবই মনোমুগ্ধকর হয়েছে। তাই শাপলা ফুলের কিছু ছবি উঠিয়ে নিলাম। তারপর সিএনজির মাধ্যমে শেরপুর জেলার তিনানী বাজারে চলে গেলাম।
শেরপুর জেলার তিনারিবাজারে যে কাজের উদ্দেশ্যে গিয়েছিলাম সে কাজটি করে নিলাম। তারপর আমি এবং আমার ছোট কাকা মোহাম্মদ পারভেজ হোসেন একটা হোটেলে বসে দুজনে মিলে কিছু খাবার খেয়ে নিলাম। দুজনে সকাল থেকে ঘোরাঘুরি করে খুব ক্ষুধার্ত হয়ে পড়েছি। সেজন্য তিনানি বাজারের হোটেল থেকে খেয়ে হোটেলে বসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। তারপর দুজনে মিলে কিছুক্ষণ আলাপ করলাম। আলাপ শেষ করে ক্যাশ কাউন্টারে গিয়ে খাবারের বিল পরিশোধ করলাম। তারপর আবারো আরেকটা সিএনজির মাধ্যমে শেরপুর বাস স্ট্যান্ডে চলে আসলাম। সেখান থেকে আবারো আরেকটা অটো রিক্সার মাধ্যমে বাসের কাছাকাছি চলে আসলাম। তারপর বাসের মাধ্যমে শেরপুর থেকে জামালপুরের উদ্দেশ্যে রওনা করলাম। প্রায় 40 থেকে 45 মিনিট সময় লেগেছে শেরপুর থেকে জামালপুর আসতে।
বাস থেকে জামালপুর এবং শেরপুরের সংযুক্তকারী একটা ব্রিজ রয়েছে যেটাকে ফেরিঘাট ব্রিজ বা ব্রহ্মপুত্র ব্রিজ বলে থাকে এলাকার লোকে। আমি বাস থেকে ব্রিজের উত্তর পাশে নেমে পড়লাম। তারপর এখানকার মনোরম পরিবেশগুলো উপভোগ করলাম। এটা পুরাতন ব্রক্ষপুত্র নদ। যে নদ টি আমাদের বাংলাদেশের সবচাইতে বড় নদ। এখন বর্ষার মৌসুম হাওয়ায় বৃষ্টির পানিতে নদীতে অনেক পানি হয়েছে। সেরকম পরিমাণ হয়নি যেটা পর্যাপ্ত পরিমাণ হওয়ার কথা। এক সময় এই নদীতে প্রচুর পানি প্রবাহিত হতো। বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম খরস্রোতা নদ ছিল এই নদ। কিন্তু কালের পরিক্রমায় বিভিন্ন রকমের বাধার মধ্যে নদীটি এখন সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এখন আর আগের মত পানির প্রবাহিত হয় না। আমি যখন বুঝমান হই তখন থেকেই এই নদীতে গোসল করতাম। কারণ এই নদীর তীরে আমার নানার বাড়ি ছিল এবং এখনো আছে এখনো আছে। আমি নানা বাড়িতে গেলে এই নদীতে গোসল করে নেই। এই নদীতে অনেক ছোটবেলার স্মৃতি রয়েছে আমার। যা মনে পড়লে এখনো খুব ভালো লাগে। ব্রিজের উপরে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে আবারও আরেকটা অটো রিক্সার মাধ্যমে বাড়ির দিকে চলে আসলাম। এখন বাড়িতে যখন আসি তখন বেলা প্রায় বিকেল ৬ টা বেজে গেছে। বাড়িতে এসে গোসল করে নিলাম। গোসল করে আবারও কিছু খাবার খেয়ে নিলাম। এই ছিল আজকে আমার সারা দিন। আমার পোস্ট টি পড়ার জন্য দেখার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।