আসসালামু আলাইকুম সবাইকে।কি অবস্থা সবার এবং কেমন আছেন সবাই।আশা করি সবাই অনেক অনেক সুস্থ ও হাসিখুশী আছেন এবং আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজ Steemit এনগেজমেন্ট চ্যালেঞ্জ সিজন ১০ সপ্তাহ ২ এর "Steem For Bangladesh" সম্প্রদায় দ্বারা আয়োজিত এনগেজমেন্ট চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। "Steem For Bangladesh "এই এনগেজমেন্ট চ্যালেঞ্জটির মূল বিষয় হলো " My favourite cake" এতো সুন্দর একটি বিষয়ের উপর এনগেজমেন্ট চ্যালেঞ্জে অংশ নিতে পেরে আমি খুব আনন্দিত এবং এই চমৎকার বিষয়টির উপর আমি আমার পোস্টটি সবার মাঝে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি এবং আশা করছি সবার কাছে এটি ভালো লাগবে।
কেক এমন একটি পুষ্টিকর খাবার যেটি অপছন্দের কিছু নেই।আমি অনেক ফ্লেভারের কেক পছন্দ করি তার ভেতর ভ্যানিলা ফ্লেভারটি বেশি পছন্দের।
হ্যাঁ,আমার পছন্দের কেকটি আমি বাসায় বানায়। আমি এই পর্যন্ত নিজের বাসায় বানিয়েছি চার বার এবং অন্যদের দুইবার বানিয়ে দিয়েছি।এগুলোে ভেতর চকলেট কেকটি বানিয়েছিলাম একবার ও ভ্যানিলা কেক বানিয়েছি বাকি সব বারে। চকলেট কেকটি মাত্র একবার বানানোর কারন হলো এই কেকটি বানাতে গিয়ে প্রথমবার কোন ভাবে সফল হতে পারিনি কিন্তু ভ্যানিটা কেকটি প্রায় প্রত্যেক বার সফল হয়েছি।
- এক কাপ ময়দা।
- এক কাপের থেকে কিছুটা কম চিনি।
- এক কাপের চার ভাগের তিন ভাগ সয়াবিন তেল।
- এক চা চামচ বেকিং পাউডার।
- ৪ টা ডিম
- সামান্য পরিমানে লবন।
- চার চা চামচ গুড়া দুধ
- এক চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স
আমি বড়িতে যেভাবে ভ্যানিলা কেক তৈরি করি সেটি শেয়ার করছি-
প্রথমে একটি পাত্রে চারটি ডিম ভেঙে কুসুম গুলোকে আলাদা করে নিয়ে সাদা অংশটুকু একটি ইলেক্ট্রিক বিটারের সাহায্যে ফোম করে তার ভেতর চিনি দিয়ে আবার বিট করে নিই।
তারপর পুনরায় কুসুমগুলোকে এবং তেল একসাথে মিশিয়ে আবার দুই মিনিটের মতো বিট করি।
সামান্য লবন মিশিয়ে এক কাপ ময়দা ও চা চা চামচ বা তার সামান্য কম গুঁড়াদুধ একটি চালনের সাহায্যে চেলে ডিমের সেই মিশ্রনের ভেতর দিয়ে একটি চামচ বা অন্য কিছুর সাহায্যে ভালো ভাবে স্মুদ করে মিশিয়ে নিয়ে এক চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স দিই।এতে করে ভ্যানিলার সুন্দর একটি ফ্লেভার আসবে এবং ডিমের কোন কাঁচা গন্ধ থাকবে না।
এবার নিচের পছন্দ অনুযায়ী যে কোন শেইপএর একটি পাত্রে কাগজ বিছিয়ে তাতে কিছুটা তেল মেখে সেই মিশ্রনটি ঢেলে দেই।
এবার একটি গ্যাসের চুলার উপর একটি মোটা কোন লোহার পাত্রের উপর স্টিলের স্টান বসিয়ে প্রথমে হাই হিটে ৩/৪ মিনিটের মতো গরম করি এরপর কেকের পাত্রটি বসিয়ে দেই তার উপর একটি ঢাকনা দেই।এবং চুলার জ্বালটি মিডিয়াম করে দিয়ে ৪০ মিনিটের মতো অপেক্ষা করি।
- ৪০ মিনিট পর ঢাকনাটা খুলে কেকের অবস্থা দেখি একটি টুটপিক কেকের মধ্যে বসিয়ে দিয়ে আবার তুলে দেখি যে টুটপিকটি ক্লিন আসছে কিনা। যদি ক্লিন আসে তাহলে কেকটি সম্পূর্ণ তৈরি।আর যদি টুটপিকে মিশ্রনটি লেগে থাকে তাহলে আরও ৫মিনিটের মতো চুলাতে রাখি। নিচের ছবির কেকগুলো আমার তৈরি করা বাসায়।
আমি সাধারণ যে বিশেষ সময় গুলোতে বাসায় কেক তৈরি করি :
আমি সাধারণত কেক তৈরির সময় হিসিবে বেছে নেই বিকাল।এবং এই কাজটি আমি বেশিরভাগ শুক্রবারে করি কারন এদিনে আমি অনেকটা ফ্রি থাকি। এই দিন এবং সময়টিতে আমার এই ধরনের কাজ করতে অনেক ভালো লাগে।
কেক যে অন্যান ডেজার্টের তুলনায় বেশি জনপ্রিয় তাতে কোন সন্দেহ নেই।কেক একটি পুষ্টিকর খাবার। কেক তৈরিতে যেসকল উপকরণ দেওয়া হয় তার সবকিছু মিলিয়ে অন্যরকম একটি স্বাদ তৈরি করে।বাড়িতে কেক তৈরি করলে নিজের পছন্দ মতো সব উপকরণ কম বেশি করে তৈরি করা যায়। এছাড়াও এর প্রত্যেকটি উপকরণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়।বিশেষ করে বাচ্চারা এটি বেশ পছন্দ করে। আর কেকে যে ফ্লেভার গুলো দেওয়া হয় সেগুলো কেকের স্বাদ আরও বাড়িয়ে তোলে।সবমিলিয়ে কেক তাই অন্যান্য ডেজার্টের তুলনায় বেশি জনপ্রিয়।
আমি আমার কিছু প্রিয় বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি: @waterjoe, @m-fdo, @hasina78